ব্রেকিং নিউজ

মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে নদীতে ভাসমান খাচাঁয় মাছ চাষে ঝুকছে মৎস্যচাষী

ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে পদ্মা নদীতে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষে ঝুকছে মৎস্যচাষীরা। উপজেলা তীরবর্তী পদ্মা নদীতে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে উপযোগী আকারে খাঁচা স্থাপন করে বানিজ্যিকভাবে মাছ উৎপাদন করছেন দলবদ্ধ মৎস্য চাষীরা।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, রাজশাহী বিভাগের মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্পের সহায়তায় উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসের সার্বিক তত্ত্বধানে উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের টাঙ্গন নামক গ্রাম এলাকার পদ্মা নদীতে খাচাঁ পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করেছে কিছু মৎস্যচাষী। দশ জন জেলের একটি সুফলভোগী দলকে এই প্রকল্পের আওতায় ১০টি খাচার জাল, দড়ি, বাশঁ, ড্রাম, জিআই পাইপ দিয়ে খাচা স্থাপনসহ পোনা ও খাদ্য ক্রয়ের জন্য প্রায় ৪ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।
মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি কামরুল ইসলাম গনমাধ্যমকে বলেন, পদ্মা নদীতে স্থাপিত ১০ জনের একদল মৎস্যচাষী সমবায় ভিত্তিতে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ করছেন। পদ্মানদীর প্রায় ২শ বর্গফুট এলাকায় ১০টি ভাসমান খাঁচায় মানসম্মত তেলাপিয়া প্রজাতীর মাছ চাষ করছেন। ১০টি খাঁচায় ইতিমধ্যে কেজি প্রতি ৬০ পিচ হিসেবে ১০ হাজার মাছের পোনা ছাড়া হয়েছে। বর্তমানে একেকটি মাছের ওজন প্রায় দুইশো গ্রাম থেকে পাচঁশো গ্রাম। আগামী এক মাসের মধ্যে একেকটি মাছের ওজন প্রায় ৩০০-৪০০ গ্রাম হবে এবং উৎপাদিত মাছের বাজার মূল্য প্রায় ৫ লক্ষ টাকার সমমান।
প্রসঙ্গত, ভাসমান খাচাঁয় মাছ চাষ করলে পুকুর কিংবা দিঘীর মতো বড় জলাশয়ের প্রয়োজন হয় না। প্রবাহমান নদীর পানিকে ব্যবহার করেও এ পদ্ধতিতে মাছ উৎপাদন করা সম্ভব। মাছের বর্জ্য প্রবাহমান পানির সাথে অপসারিত হয় তাই পানি কিংবা পরিবেশের দুষন হয় না। নদীর পানি প্রবাহমান থাকায় প্রতিনিয়ত খাঁচার অভ্যান্তরের পানি পরিবর্তন হতে থাকে ফলে পুকুরের চেয়ে অধিক ঘনত্বে মাছ চাষ করা যায়। নতুন উদ্যোক্তা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তার পাশাপাশি পুকুর খননের হাত থেকে উপজেলার কৃষি জমিগুলো রক্ষা পাবে বলে জানান মৎস্য অধিদপ্তর।
দেশে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষের ইতিহাস অনেক পুরানো । উপজেলার মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মা নদীর কিছু কিছু অংশে সারা বছর খাঁচায় মাছ চাষ করে মাছের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। নদীর কিনারায় বসবাসরত মৎস্যচাষীদের সংগঠিত করে মাছের উৎপাদন বাড়ানোর সাথে সাথে খাঁচায় উৎপাদিত মানসম্পন্ন তেলাপিয়া রপ্তানী করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব বলে জানান, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার ওয়ালিউল্লাহ মোল্লা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.