ব্রেকিং নিউজ

ডুমুরিয়ার পশু হাটে পশু প্রচুর,দামও সহনীয়

সেলিম আবেদ, খুলনা প্রতিনিধি
খুলনার ডুমুরিয়ায় ঈদুল আজহা উপলক্ষে হাটগুলোতে কোরবানির গবাদিপশুর বেচাকেনা জমে উঠেছে। হাটগুলোতে গরু উঠছে প্রচুর। এগুলোর দামও রয়েছে সহনীয় পর্যায়ে। ব্যাপারী, ক্রেতা ও হাটের ইজারাদারেরা এই তথ্য দিয়েছেন। ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন পর্যন্ত গরুর দাম তুলনামূলক কম ও সহনীয়। তবে খামারি ও গৃহস্থেরা কেউ কেউ লোকসানের আশঙ্কা করছেন। তাঁরা বলছেন, হাটগুলোতে প্রচুর গরু আমদানি হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন কোরবানি দেওয়ার জন্য গরু কিনলেও ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বড় বড় বাজারের ব্যাপারী ও গরু ব্যবসায়ীরা গরু কিনছেন না। ফলে বেচাবিক্রি আগের বছরগুলোর তুলনায় এবার কম। এই কারণে প্রত্যাশার চেয়ে কম দামে গরু বিক্রি করতে হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত এ অবস্থা থাকলে লোকসান দিয়ে গরু বিক্রি করতে হবে কিংবা অনেক গরু অবিক্রিত থেকে যাবে। গত বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে ডুমুরিয়ার খর্নিয়া বৃহত্তম হাটে গিয়ে দেখা যায়, ভটভটি, নছিমন ও ট্রাকে করে গরু আসছে। এই হাটে ৪০ হাজার থেকে শুরু করে ৩/৪ লাখ টাকার গরু বিক্রি হচ্ছে। পশুর হাট নির্দিষ্ট সীমানা ছাড়িয়ে সড়ক ও পাশের কৃষিজমির মাঠ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে।খর্নিয়া পশুর হাটের ইজারাদারের প্রতিনিধি মেহেদী হাসান বিপ্লব বলেন, ‘গতবারের তুলনায় এবার হাটে গরুর আমদানি বেশি। হাটে এবার ভারতীয় গরু নেই । তারপরও এখানে প্রচুর গরু আনা হয়েছে। দামও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয় পক্ষই দাম নিয়ে সন্তুষ্ট। তবে আমদানির তুলনায় বেচাবিক্রি কিছুটা কম। আগামী হাটে ঢাকা-চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা গরু কিনলে বেচাবিক্রি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলার আংগারদহা এলাকা আবুল কাশেম, তিনি একটি গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। গরুর দাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘৪৫ হাজার টাকায় এই মাঝারি আকারের এড়ে কিনলাম। ধারণা করছি, ২ মণ ১৫ কেজি পর্যন্ত মাংস হতে পারে। গতবার এ ধরনের গরু ৪৮-৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। সে তুলনায় এবার দাম কিছুটা কমই রয়েছে।’উপজেলার রানাই থেকে নিজের খামারে পালন করা ৫ টি গরু নিয়ে বৃহস্পতিবার পশুর হাট খর্নিয়া বাজারে এসেছিলেন মুজিবর শেখ । তিনি বলেন, বড় ছোট মিলে ৬ টি গরু এনেছি । কিন্তু দাম বলছে ৫০ -৯০/ ১ লাখ টাকা। এবার হাটে ঢাকা- বরিশাল, চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা এখনো তেমনভাবে আসেননি। এ জন্য দাম উঠছে না। শেষ হাট পর্যন্ত এ রকম দাম থাকলে এবার গরু বিক্রি করে লাভ হবে না। হাটের ইজারাদারের প্রতিনিধি সাওকাত হোসেন বলেন, খর্নিয়া হাটে ছোট-বড়, মাঝারি সব ধরনের গরু-ছাগল বিক্রি হচ্ছে। কোরবানির সময় প্রতি হাটে এখানে প্রায় ৭ থেকে ১০ কোটি টাকার গরু-ছাগল বিক্রি হয়। এখানে কোরবানির জন্য ৩০ হাজার থেকে শুরু করে ৪/৫ লাখ টাকায় গরু বেচাকেনা হচ্ছে। আর ৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা দামে ছাগল বিক্রি হচ্ছে। গতবারের তুলনায় এবার হাটে গরু-ছাগলের আমদানি বেশি। দামও কিছুটা কম রয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.