ব্রেকিং নিউজ

ডিসিসিআইয়ের সঙ্গে মতবিনিময়ে তুরস্কের উদ্যোক্তারা ‘বিনিয়োগের জন্য দারুণ জায়গা বাংলাদেশ’

বাণিজ্যিক পরিবেশসহ বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ দারুণ গন্তব্য বলে মনে করেন বাংলাদেশে সফরত তুরস্কের ব্যবসায়ীরা। আজ সোমবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠকে তুরস্ক-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলর চেয়ারপারসন হুলিয়া জেডিক এই মন্তব্য করেন।

সোমবার হুলিয়া জেডিক-এর নেতৃত্বে ১৪ সদস্যর একটি বাণিজ্যিক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমানসহ চেম্বারের নেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়ে এই বৈঠক হয়। এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান উপস্থিত ছিলেন।

তুরস্ক-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল-এর চেয়ারপার্সন হুলিয়া জেডিক বলেন, প্রয়োজনীয় যোগাযোগের অভাবে তুরস্কের উদ্যোক্তাদের কাছে বাংলাদেশ নিয়ে ধারণা কম। তুরস্কের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে উদ্ভুদ্ধকরণের লক্ষ্যে সম্প্রতি তুরস্কে একটি ‘বাংলাদেশ রিসার্চ সেন্টার’ স্থাপন করা হয়েছে, যার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরো সম্প্রসারিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, বাংলাদেশের অবকাঠামো, নির্মাণ, রেলওয়ে, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, অটোমোবাইল, স্বাস্থ্যসেবা, মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি, জাহাজ-নির্মাণ, কৃষি প্রভৃতি খাত বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য অন্তত সম্ভাবনাময়। তুরস্কের ব্যবসায়ীরা এসব খাতে বিনিয়োগ করতে পারেন।

দেশটির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, ২০১৯-২০ অর্থবছরের দুদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৬৮ কোটি ৬৪ লাখ ডলার, যেখানে আমদানি ও রপ্তানি ছিল যথাক্রমে ২৩ কোটি ৩৪ লাখ এবং ৪৫ কোটি ডলার, তবে ২০২০-২১ অর্থবছরে তুরস্কে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ ৪৯ কোট ৯৭ লাখ ডলার।

তুরস্কের দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর কেনান কালাইসি বলেন, ২০২১ সালের প্রথম নয় মাসে দুদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য গত বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ বেড়েছে এবং শিগগিরিই বাংলাদেশ-তুরস্কের বাণিজ্য ২০০ ডলারে উন্নীত হবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি, ওষুধ এবং হালকা প্রকৌশলখাত বেশ সম্ভাবনাময়। তুরস্কের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে এসব খাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, তুরস্কের বেশ কিছু কম্পানি ইতোমধ্যে বাংলাদেশে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালাচেছ এবং আশা প্রকাশ করেন আগামীতে এ ধরনের কার্যক্রম আরো সম্প্রসারিত হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.