ব্রেকিং নিউজ

মনোহরদী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি শাকিলের মাধ্যমে ২০ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া ভাইকে ফিরে পেল তার ভাই সুজন

খন্দকার সেলিম রেজা
স্টাফ রিপোর্টোর

দীর্ঘ ২০ বছর পর ফিরে পাওয়া মানসিক ও প্রতিবন্ধী রোগী এটিএম মাসুদ ওরফে
খোকা মিয়াকে দেখতে গিয়েছে মনোহরদী উপজেলা প্রেসক্লাবের প্রতিনিধি দল।মানসিক ও বাক প্রতিবন্ধীকে দেখতে ছুটে যান মনোহরদী উপজেলার বড়চাপা ইউনিয়নের চর তারাকান্দী গ্রামের যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম কাজীমুদ্দীন মাষ্টারের বাড়ীতে। গত শুক্রবার রাতে মনোহরদী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও ভয়েজ বিডি টুয়েন্টি ফোর এর সম্পাদক কাজী শরীফুল ইসলাম শাকিল এর নির্দেশনায় প্রতিনিধি দল মানসিক রোগী খোকা,র শারীরিক খোঁজ-খবর নেন।প্রতিনিধি দলে ছিলেন,মনোহরদী উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার সেলিম রেজা ও মনোহরদী উপজেলা প্রেসক্লাবের ধর্ম বিষয়কসম্পাদক, মাওঃ মোঃএমরুল ইসলাম।
এ সময় তার পরিবার ও বড়চাপা ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার মোঃজুলহাস উদ্দীন এ মহৎকাজে সার্বিক সহযোগীতা করায় মাননীয় শিল্পমন্ত্রী মহোদয়ের একমাত্র সুযোগ্য উত্তরসূরী,মানবতার ফেরীওয়ালা,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম কার্যনির্বাহী সদস্য,মঞ্জুরুল মজিদ মাহমূদ সাদী ও মনোহরদী উপজেলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাজী শরীফুল ইসলাম শাকিলের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং মনোহরদী উপজেলা প্রেসক্লাবের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করেন।খোকার বড় ভাই সুজন মিয়া প্রতিনিধি দলকে জানান যে,সে হারিয়ে যাওয়ার পর আমরা মাইকিং,পোষ্টারিং এবং সংবাদের মাধ্যম অনেক খুঁজাখুঁজি করেছি,কিন্তু কোন ভাবেই তাকে খুঁজে পায়নি,অবশেষে মনোহরদী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি,মনোহরদীর কৃতি সন্তান শাকিল ভাইয়ের ফেইজবুক পোষ্টের মাধ্যমে তাকে খুঁজে পেয়ে মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি,সুজন মিয়া বলেন আব্বা-আম্মা বেঁচে নেই,তারা থাকলে এ মূহুর্তে আরো অনেক বেশী খুশি হতো।
এ দিকে উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী শরীফুল ইসলাম শাকিল প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের এই সন্তানের চিকিৎসা মাননীয় শিল্পমন্ত্রীর উত্তরসূরী,মানবতার ফেরীওয়ালা সাদী সাহেবের সার্বিক সহযোগীতায় করে দিবেন বলে আশ্বস্ত করেন।উল্লেখ্য যে,বিগত দু-মাস আগে নারায়ানগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও ধোলাইপাড় এলাকায় অবস্থিত”আসুন মানুষকে ভালোবাসি”মানবিক সংগঠনটির পরিচালক শাহজালাল,সজীব,দেলোয়ার ও সেলিম এর মাধ্যমে উপজেলার বড়চাপা ইউনিয়নের চর তারাকান্দী গ্রামের যোদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা,মরহুম কাজিমুদ্দীন মাষ্টারের তৃতীয় ছেলে মানসিক রোগী খোকাকে খুঁজে পায়।
পরে সংগঠনটি তার ঠিকানা না পেয়ে প্রথমে শিল্পমন্ত্রী মহোদয়ের সু-যোগ্য সন্তান,সাদী সাহেবকে জানালে তিনি মনোহরদী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতির নাম্বার সংগঠনটিকে প্রদান করেন।পরে তারা বিষয়টি মনোহরদী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতিকে জানালে তিনি ৩০ এপ্রিল মানসিক রোগী খোকার ভিডিও ফেইজবুকে পোষ্ট করলে ২.৫ ঘন্টা যেতে না যেতে ই দীর্ঘ ২০ বছর পরে পরিবার তার সন্ধান পায় এবং ১ লা মে সকালে মানবিক সংগঠনটি তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।পরিশেষে মনোহরদী উপজেলা প্রেসক্লাবের প্রতিনিধি দলের সাথে পরিবারের সদস্যরা বলছেন,সব কিছু থাকার পরও খোকাকে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে কষ্ট করতে হয়েছে।এখন তাকে খুঁজে পেয়ে আমরা খুশি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.