ব্রেকিং নিউজ

বরিশাল ও খুলনা দুই সিটি করপোরেশনেই ভোটের ফলাফলে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।

বরিশাল ও খুলনা দুই সিটি করপোরেশনেই ভোটের ফলাফলে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। নৌকা প্রতীকে ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট পেয়ে বরিশাল সিটির মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত। আর ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ ভোট পেয়ে খুলনা সিটির মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন তালুকদার আব্দুল খালেক।

সোমবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় এ ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, বরিশালে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত নৌকা প্রতীকে ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৮২৮ ভোট।KSRM

অন্যদিকে খুলনা সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৬০ হাজার ৬৪ ভোট।

বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরশনে সোমবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। দুই সিটিতেই সম্পূর্ণ ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হয়। বড় ধরনের কোনো বিশৃঙ্খলা ছাড়াই ভোটগ্রহণ শেষ হয়। ভোটাররা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পেরেছেন। ভোটের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।

বরিশাল সিটিতে মেয়র পদে ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত, জাতীয় পার্টির প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, জাকের পার্টির মিজানুর রহমান, স্বতন্ত্র হিসেবে সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামালের ছেলে সাবেক ছাত্রদল নেতা কামরুল আহসান রুপন।

বরিশালে ৩০টি ওয়ার্ডের ১২৬টি কেন্দ্রের ৮৯৪টি কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সিটি করপোরেশনটিতে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন।

এদিকে খুলনা সিটিতে মেয়র পদে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক, জাতীয় পার্টির এস এম শফিকুল ইসলাম মধু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল, স্বতন্ত্রপ্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান ও জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন।

খুলনায় ৩১টি ওয়ার্ডের ২৮৯টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৭৩২টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এখানে মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন ও পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.