ব্রেকিং নিউজ

ডিসেম্বর মাসেই বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একটা নির্বাচন সামনে, আমাদের পাঁচ বছর পূর্ণ হতে চলছে, হোপফুলি নির্বাচন কমিশন আবাস অনুযায়ী আমাদের ডিসেম্বর মাসেই বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা। জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে আমাদের দেশে রাজনীতিতে, ইলেকশন আসলেই দেখা যায় একটা শঙ্কা, নানা ধরনের গুজব ডালপালা বিস্তার করে।

আজ শুক্রবার সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকগণের এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। যৌথসভার সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন আসলেই দেখা যায় নানা ধরনের গুজবের ডালপালা বিস্তার করে, আজকে আমরা সুস্পষ্ট ভাবে নির্বাচনের দিকে অভিযাত্রা শুরু করেছি। আমাদের দল নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, আজকে আমরা কোনো কর্মসূচি দিলেই কিছু সংবাদ মাধ্যম বিএনপির কথাটাকে প্রতিদ্বন্দ্বী করে। বিএনপি বলছে পাল্টাপাল্টি, আমরা তো পাল্টাপাল্টি সভা, সমাবেশ করছি না। তারা করছে আন্দোলনের পদযাত্রা, আন্দোলনের সমাবেশ। আমরা যেটা করছি সেটা হচ্ছে শান্তির সমাবেশ। বিএনপির সাথে আমাদের অতীতের অভিজ্ঞতা আছে তা সুখকর নয়। ২০১৩ ও ১৪ সালে রাজনীতিতে তারা কত নিষ্কৃষ্টতম নোংরা ভূমিকা পালন করেছে, সেটার প্রমাণ দেশের মানুষ পেয়েছে। নতুন করে দেওয়ার কিছু নাই। আমাদের স্মৃতিটা এখনো জাগে, দেশের জনগণ এতো তাড়াতাড়ি সেই দুঃস্মৃতি ভুলবে না।
তিনি বলেন, আমরা বিএনপিকে প্রথম থেকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে তাদের সাথে প্রতিযোগীতা মূলক সম্পর্ক আমরা চেয়েছি। আমরা কম্পিটিশন চেয়েছি। তারা সব সময়, তাদের জন্ম থেকে বঙ্গবন্ধু হত্যা, জাতীয় চার নেতা হত্যা, একুশে আগস্টের ঘটনা, ২০০১ সাল, সব কিছুতেই তারা আমাদেরকে বরাবরই মনে করে আসছে শত্রু পক্ষ। শত্রুপক্ষ হিসেবে তারা আমাদের সঙ্গে শত্রুতাই করে গেছে। এই শত্রুতার অপরিহার্য সঙ্গ ষড়যন্ত্র। এটা তারা আমাদের সাথে করেছে।

তিনি আরও বলেন, তারা (বিএনপি) গত এক বছর ধরে মাঠে এসেছে, বিশেষ করে ডিসেম্বর..। তারা আন্দোলন করবে, গণঅভ্যুত্থান করবে, ১১ ডিসেম্বর থেকে বেগম জিয়ার নেতৃত্বে দেশ চলবে, তারেক রহমান গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেবে। এসব বড় বড় কথা তারা বলেছে, কিন্তু দেশবাসী লক্ষ্য করেছে যে, আমরা সন্ত্রাসের আশঙ্কায়, বিশেষ করে পুরোনো তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে, তাদের আগুন সন্ত্রাসের আশঙ্কায় আমরা শান্তির সমাবেশ করেছি। যতক্ষণ বিএনপি আন্দোলন করবে আমরা শান্তি সমাবেশ করব।

যৌথ সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, অ্যাড. আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনিবাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী, সানজিদা খানম প্রমুখ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.