ব্রেকিং নিউজ

তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান ড. কামাল

ড. কামাল হোসেন- ফাইল ছবি

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করার দাবি জানিয়েছেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেছেন, দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। তা এ সরকারের সব নির্বাচন প্রমাণ করেছে।

শনিবার রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে গণফোরাম আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেন এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিয়ে আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আমরা নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন আশা করতে পারি। সরকার যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি না মেনে নেয়, তাহলে শক্ত আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

ড. কামাল হোসেন বলেন, আগামী নির্বাচনের জন্য আমরা একটি মঞ্চ করব; অথবা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কার্যকর করার জন্য শিগগিরই শরিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করব। যদিও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট একটি নিষ্ফ্ক্রিয় প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে এবং ওই অর্থে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কোনো অস্তিত্ব এখন নেই। তবু এখনও এটাকে সক্রিয় করার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অবশ্যই তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন এবং নির্বাচন কমিশনকে ঢেলে সাজাতে হবে। আর তা না হলে দেশের সংকট শুরু হবে। জনগণ বিক্ষুব্ধ হলে দেশ ভয়াবহ সংকটের দিকে এগোবে।

গণফোরাম সভাপতি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন আইন গঠনের পক্ষে আমরা। তবে সার্চ কমিটি দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হলে কমিটির সদস্যদের নিরপেক্ষ থাকতে হবে।

সংবিধানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নেই, তাহলে কীভাবে এমন সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, আলোচনার মাধ্যমে এগুলো করা যায়। জনগণের কাছ থেকে দাবি উঠলে এটা হতে পারে।

ড. কামাল বলেন, ডিজেলের দাম বাড়ানোর কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ সবকিছুর মূল্য বাড়িয়েছে। সবকিছু ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। ডিজেলের দাম বাড়ানো সরকারের উচিত হয়নি।

গণফোরামের জাতীয় সম্মেলনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৪ ডিসেম্বর দলের জাতীয় সম্মেলন করার কথা ছিল। তা স্থগিত করা হয়েছে। জানুয়ারির শেষ দিকে দলটির জাতীয় সম্মেলন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আ ও ম শফিকউল্লাহ, কেন্দ্রীয় স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য মফিজুল ইসলাম খান, এস এম আলতাফ হোসেন, সগীর আনোয়ার, মোশতাক আহমেদ, মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.