ব্রেকিং নিউজ

স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার

করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে দেড় বছর বন্ধের পর দেশের স্কুল-কলেজ খুলতে যাচ্ছে রোববার। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে ব্যস্ত সময় পার করছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।

শ্রেণিকক্ষে ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। বেঞ্চ গোছানো হচ্ছে। বারান্দা, আঙিনা সব পরিষ্কার করছেন একাধিক কর্মী।

পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিলেও খোলার পর দীর্ঘ বিরতির কারণে শিক্ষার্থীরা সশরীর ক্লাসে এসে স্বাস্থ্যবিধি কতটা মানতে পারবে, একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানও সেগুলো কতটা বাস্তবায়ন করতে পারবে, সেটাই বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন শিক্ষকেরা।

এদিকে বিদ্যালয় খোলার পর কীভাবে চলবে সে সংক্রান্ত ১৬ দফা নির্দেশনা শুক্রবার প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

নির্দেশনাগুলো হলো- দৈনিক সমাবেশ বন্ধ থাকবে। শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে নিরাপদ দূরত্ব রেখে নিজেদের আসনে বসে হালকা শারীরিক কসরত (পিটি) করবে। কেউ প্রয়োজন মনে করলে পিটি করা থেকে বিরত থাকতে পারবে। শিক্ষার্থীরা জিগজ্যাগ তথা জেড বিন্যাসে বসবে। প্রতি বেঞ্চে একজনের বেশি বসবে না। শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে একই শ্রেণিকে একাধিক দলে ভাগ করে একাধিক কক্ষে ও একাধিক শিক্ষকের সহায়তায় পাঠদান চালাতে হবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত প্রাক-প্রাথমিকের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম সপ্তাহের ৬ দিন চলবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে একদিন আসবে। একই দিনে একই সময়ে সর্বোচ্চ দুটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসার ব্যবস্থা রেখে টিফিন বিরতি ছাড়া শ্রেণি কার্যক্রম চলবে। সর্বোচ্চ ৩ ঘণ্টার মধ্যে শ্রেণি কার্যক্রম শেষ করতে হবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে- শ্রেণিকক্ষ এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় রেখে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে একাধিক শিফট কিংবা সপ্তাহের একেক দিন একেক শ্রেণির বা সর্বোচ্চ দুটি শ্রেণির পাঠদানের ব্যবস্থা রেখে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হালনাগাদ পাঠ্যসূচি অনুসরণ করবে। তবে বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সম্ভব হলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অনুমতি নিয়ে পাঠদান পরিকল্পনা নেওয়া যাবে। শ্রেণি কার্যক্রমে দলীয় কাজ ও দু’জনের কাজের মতো সম্ভাব্য স্বাস্থ্যঝুঁকি সষ্টিকারী শিখনকাজ আপতত বাদ রাখতে হবে।

শিক্ষকরা মাস্ক পরে ক্লাস নেবেন। শিক্ষার্থীদেরও মাস্ক পরা নিশ্চিত করবেন তিনি। এ ছাড়া ক্লাস শেষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারিবদ্ধভাবে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় ত্যাগ নিশ্চিত করতে হবে। সব শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের একত্রে শ্রেণিকক্ষ ত্যাগ করতে দেওয়া যাবে না। শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে একের পর এক কক্ষের শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় ত্যাগ করবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.