ব্রেকিং নিউজ

গোবিন্দগঞ্জে নিম্নমানের বিবর্ণ চাল দ্রুত জব্দ করতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান।

গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধি:(মোঃ রেজাউল করিম)
গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জে অতি নিম্নমানের ও খাওয়ার অযোগ্য চাল ভিজিএফ কর্মসূচিতে বিতরণের অভিযোগ ‌।
বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা গরীব অসহায় মানুষের জন্য ঈদ উপহার হিসেবে ১০ কেজি করে চাল ফ্রি বিতরণ করছেন।
এই ভিজিএফ এর চাল বিতরণ করছেন গোবিন্দগঞ্জের এক নং কামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ।
সেখানে উপস্থিত হয়ে সরেজমিনে জানা যায়, খাদ্য গুদাম কামদিয়া এর মধ্যে শত শত টন খাওয়ার অযোগ্য চাল রয়েছে।
সেই চালের মধ্য থেকে বেছে বেছে তারা ভালো চাল নেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
কিন্তু সব চাল যখন নষ্ট তার মধ্যে ভালো চাল পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম হওয়ায় তারা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
এ ব্যাপারে কামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব দুলু মিয়া জানিয়েছেন নিম্নমানের খারাপ চাল তারা চেননি।
কিন্তু খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার অনুরোধে তারা খাওয়ার অযোগ্য চাল নিয়েছেন।
তারা আরো বলেন খাদ্য গুদাম রক্ষক কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আশ্বস্ত করেন যেগুলো একেবারে নষ্ট বিবর্ণ চালের বস্তা গুলি গুদামে ফেরত নিবেন।
তেনারা আরো বলেন গুদাম থেকে বিবর্ণ নিম্নমানের খাওয়ার অযোগ্য চাল বিতরণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী করেছেন।
উপস্থিত সুবিধা ভোগী নারী পুরুষ গন এই প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন খাওয়ার অযোগ্য চাল তারা নেবে না তারা এর সাথে জড়িতদের বিচার চায়। ভারপ্রাপ্ত গুদাম রক্ষক আসাদুজ্জামান রিপন এই প্রতিনিধিকে বলেছেন যেনতেন ভাবে গুদাম থেকে চাল বিতরণ করতে পারলেই তিনি বেঁচে যাবেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন গোবিন্দগঞ্জ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেনের নিকট থেকে তিনি চার্জ বুঝে নিয়েছেন।
তিনি এই নিম্নমানের চাল কেনার সঙ্গে জড়িত নহে
বলেও দাবি করেন।
এই চালের জন্য তার কিছু হলে বিভাগীয় খাদ্য- কর্মকর্তাকে তিনি দুষলেন ।
কামদিয়া খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব আসাদুজ্জামান আরও বলেন, তার পূর্বের দায়িত্বপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তাগণ নিম্নমানের চাল এনে গুদাম ভরাট করে রেখেছে।
তিনি আরো জানান প্রতি টন চাল ভালো ও খারাপ একখানে ৫০কেজির বস্তা করতে তার তথা ওসি এলএসডির ৫০০০ করে টাকা খরচ হচ্ছে।
তিনি আরো জানান নিম্নমানের চালের বিষয়টি আর সি ফুড তথা রংপুর বিভাগীয় খাদ্য কর্মকর্তা কে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, চাল ভালো হোক আর খারাপ হোক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গন নিয়ে যাচ্ছেন।
সেখানে যেয়ে যদি খারাপ চাল বের হয় তার দায় তিনি নেবেন না। তবে দুই চার বস্তা যেটা খাওয়ার একেবারে অনুপযোগী তা তিনি ফিরিয়ে নিবেন।। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামদিয়া আসাদুজ্জামান রিপন এই প্রতিনিধি কে জানিয়েছেন তার প্রায় চার লক্ষাধিক টাকা গচ্চা দিতে হয়েছে।।
অপরদিকে চাল নিতে আসা ভুক্তভোগী নারী-পুরুষদের দাবি সরকারের দেওয়া চাল ভালো পেতে চায়।
নিম্নমানের চাল মানুষকে খাওয়াইয়ে তাদের নানাবিধ
অসুখ- বিসুখের হাত থেকে রেহাই দিতে ও সংরক্ষিত খাদ্য গুদামে নিম্নমানের খাওয়ার অযোগ্য চাল কিভাবে
খাদ্য গুদামে রয়েছে তা জনগণের সামনে উন্মোচনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মহল।

Leave A Reply

Your email address will not be published.