ব্রেকিং নিউজ

বগুড়া কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অবৈধ নিয়োগ, দুর্নীতি, অনিয়মসহ অর্থ লুটপাটের অভিযোগ 

মো: মেহেদী হাসান রাজীব, বগুড়া :
কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অবৈধ নিয়োগ, দুর্নীতি, অনিয়মসহ অর্থ লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

আজ বৃহস্পতিবার বগুড়া কলেজের শিক্ষার্থীরা 

অধ্যক্ষ এ কে এম মঈন উদ্দিনের অপসারণের দাবিতে শহরের সাতমাথায় মানববন্ধন ও  বিক্ষোভ মিছিল করে। 

এসময় শিক্ষার্থীরা দাবি করে বলেন, মাউশি কর্তৃক নিয়োগ স্থগিত থাকাকালীন সময়ে বিধি বহির্ভূত ভাবে বগুড়া কলেজ অধ্যক্ষ এ কে এম মঈন উদ্দিন অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হন।অধ্যক্ষের নিয়োগ প্রক্রিয়া বৈধ না হওয়ায় গত ২৪ মে ২০১৯ সালে মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে-৭জি-১৪০৪ (ক-৩)/২০০৫ (পার্ট-১)/২৪৬০ স্মারক নং-এ কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়। এসময় অবৈধভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত অধ্যক্ষ তার চাকুরী রক্ষার্থে আওয়ামীলীগ সরকারের নেতাকর্মীদের সাথে আঁতাত করে কলেজের গভর্নিং বডি মনগড়া ভাবে তৈরি করেন। বগুড়া কলেজটি ডিগ্রি কলেজ না হওয়া সত্তেও অধ্যক্ষ অদ্যাবধি গ্রেড-৪ এ বেতন ভাতাদি উত্তোলন করেন। যা সরকারি ভাবে সম্পূর্নরূপে বিধি বর্হিভূত। সরকারি নিয়মনীতির কোন তোয়াক্কা না করে 

অধ্যক্ষ বিধি বর্হিভূত ভাবে মার্কসীট ও প্রশংসা পত্র বাবদ শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে অতিমাত্রায় অর্থ গ্রহন করেন যা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

এছাড়াও কলেজের বিভিন্ন প্রকার আয়-ব্যয়ের টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে নিজের মতামতের কিছু শিক্ষক-কর্মচারী দিয়ে অবৈধ ভাবে বিভিন্ন কমিটি গঠন করে লেনদেন কার্যক্রম পরিচালনা করেন যা বেসরকারি কলেজ পরিচালনায় বিধি বর্হিভূত।

কলেজ অধ্যক্ষ ও সভাপতি আওয়ামীলীগ সরকারের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কলেজের টিউশন ফির প্রায় ১৭,০০০০০/ (সতের লক্ষ) টাকা জোড় পূর্বক স্ট্যাম্পে শিক্ষক-কর্মচারীদের নিজ নিজ নামের পার্শ্বে টাকার পরিমান লিখে স্বাক্ষর নিয়ে উত্তোলন করেন এবং আত্মসাত করেন।

অধ্যক্ষের সুবিধাভোগী আওয়ামীপন্থী শিক্ষক-আব্দুর রাজ্জাক, রবীন্দ্রনাথ বর্মন, সুপ্রীতি দত্ত, গৌতম কুমার সেনকে দিয়ে কলেজের বেশিরভাগ অর্থ সংক্রান্ত কমিটি তৈরি করা হয় যাতে অর্থ লোপাট করতে সুবিধা হয়। এমনকি তারা কলেজে উপস্থিত না হলেও যথাযথভাবে হাজিরা খাতায় উপস্থিতি দেখোনো হয়। যা কলেজ পরিচালনায় অধ্যক্ষের প্রসাশনিক অদক্ষতা ও স্বেচ্ছাচারিতা প্রমান করে।

এ ছাড়াও বগুড়া কলেজ অধ্যক্ষ কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের জোর পূর্বক মুজিব কোট পরিধান করতে বাধ্য করা হয়। এ মুজিব কোট তৈরি করার জন্য তৎকালীন সভাপতি ও অধ্যক্ষ সাহেব প্রচুর অর্থ  হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ তোলেন শিক্ষার্থীরা ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.