ব্রেকিং নিউজ

মধুপুর গড়ের লাল মাটির আশ্বিনা আনারস

এস,এম আব্দুর রাজ্জাক

টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়ের লাল মাটি আনারস চাষের জন্য বিখ্যাত। স্বাদে গুণেও এ এলাকার অনারস অনান্য। লাল মাটিতে আনারস ভাল জন্মে। এখানকার মাটি ও আবহাওয়া আনারস চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। কম খরচে ভাল ফলন পাওয়া যায়। কৃষকদের সাথে কথা বরে জানা যায়, এ অঞ্চলে বছরে ২ ধরনের আনারস চাষ হয়ে থাকে। জয়েন্টকিউ ও হানিকুইন।

বছরে ২ সময়ে বৈশাখ থেকে ভদ্র পর্যন্ত পাওয়া যায় সিজনাল আর আশ্বিন থেকে পৌষ মাস পর্যন্ত পাওয়া যায় আশ্বিনা আনারস। স্বাদে সিজনাল একটু বেশি। আশ্বিন একটু টক তবে গাছে পাকাটা ভাল মিষ্টি হয়ে থাকে। সিজনালটা গাছে ধরে বেশী আর আশ্বিনা ধরে অনেকটা কম। তবে দমের দিক থেকে ২ টাই প্রায় এক সমান। সিজনাল আনারস আসার পর উপযোগি বা বয়স গ্রান্ত গাছে আশ্বিনা আনারস ধরে থাকে। এ আনারসে তেমনটা হরমেন রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় না। খেতেও কিছুটা টক। কোন কোনটা আবার ভাল

স্বদ হয়। এ আনারসের জন্য বাড়তি কোন সারের প্রয়োজন হয় না। মৌসুমী আনারসের জন্য যে সার ব্যবহার করা হয় তাতেই হয়। বাড়তি কোন সার ব্যা পরিষ্কার করার কোন দরকার নেই। শীতকালে আসে বলে এর চাহিদা একটু কম। এ আশ্বিনা আনারসের বেচা কেনা শুরু হয়েয়ছে পুরোদমে।

প্রতিদিন বাজার বসছে মধুপুর গড় এলাকার কয়েক জায়গায়। মধুপুরের জলছত্র ও মোটের বাজার এবং গারোবাজারে প্রতিদিন বেচা কেনা হচ্ছে আশ্বিনা আনারস। ট্রাক ভর্তি করে দেশের বিভিন্ন জেলায় এ আনারসের সমাগম ঘটছে। এ বছর চাহিল মোটামুটি ভাল। দাম ভাল পাচ্ছেন কৃষকরা। প্রতিদিন সকলে থেকে শুরু হয় বাজার চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। সাইকেল ভ্যান রিকসা যোগে বিভিন্ন গ্রামের বাগন থেকে আসে আনারস। এসব তথ্য স্থানীয় কৃষক, পাইকারদের সাথে কথা বলে জনা

যায়। গত মঙ্গলবার জলছত্র আনারস বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আান, রিকসা যেগে আসছে অন্যরস। বাজারে সারি বন্ধ ভাবে আআন সাইকেল সাজানো হয়েছে। পাইকাররা সামা দামি করে কিনছেন আনারস। দাম মিটিয়ে আনারস গুনে বুঝে নিচ্ছেন। চাহিব মতো অনারস কিনে ট্রাকে তোলা হচ্ছে। জলছত্র বাজারেই ট্রাক ও কভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন। পরিবহন পেতে কোন সমস্যা নেই। টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহা সড়কের পাশে গড়ে উঠেছে এই বাজার। বাজারে যেন কান না জমে সেজন্য স্থানীয় এমপি কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ইট বিছিয়ে সুন্দর করে দিয়েছে এখন আর আগের মত যানজট বা কাঁদা হয় না।

আরাম আয়েশে ক্রেতা বিক্রেতা অনারস ক্রয় বিক্রয় করে থাকে। কথা হয় অনারস বিক্রেতা হরমুজ আলীর সাথে, তিনি জানান জলছত্র বালণ্ডে তিন’শ আনারস বিক্রি করতে নিয়ে এসে দুই হাজার সাত’শ টাকা বিক্রি করেছেন। জালাল জনন, চার’শ আনারস ভান যেগে এনে চার হাজার দুই’শ টাকায় বিক্রি করেছেন।

এছাড়াও আরোও কয়েক জন ভানারস বিক্রেতা জানান, সিজিনাল আনারসের চেয়ে আশ্বিনা অনারসের দাম কিছুটা কম। কারণ হিসেবে তারা জানান, এ অনারস খেতে কিছুটা টক অপর দিকে, দূর-দুরান্ত থেকে পাইকার কম আসার কারনে দাম কিছুটা কম পাচ্ছে। পাইকার হাবিজুল ইসলাম জানান, এখন আনারসের দাম কিছুটা কম। দূরের ব্যাপারি আসে কম, স্থানীয় পাইকাররা কিনে মোকামে পাঠায়। বাজারে ১ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত দরে বেচাকেনা হচ্ছে আনারস। মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আর মামুন রাসেল জানান, মধুপুর এলাকায় জয়েন্টকিউ ও কানিকুইন জাতের আনারস চাষ হয়েছে। মধুপুরের সাথে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল থাকার কারনে কৃষিপন্যের জন্য দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা আসে। আশ্বিনা আনারস দামেও ভালো।

Leave A Reply

Your email address will not be published.