ব্রেকিং নিউজ

সাদুল্লাপুরে প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের

গাইবান্ধা থেকে আঃ খালেক মন্ডলঃ গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের কৃ পুর কুটিপাড়া গ্রামে প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ব্যাপারে সাদুলাপুর থানায় শনিবার অভিযোগ দায়ের করা হয়।
অভিযোগে জানা গেছে, কৃষ্ণপুর গ্রামের জনৈক লাল মিয়া (৫০) ও নার্গিস আকতারের (৩০) প্রতিবন্ধী শিশু কন্যাকে তার মায়ের কাছে রেখে ঢাকার পোশাক কারখানায় চাকরি করে। নার্গিসের বিধবা মা তার প্রতিবন্ধী শিশু নাতনিকে নিয়ে বাড়িতে বসবাস করে আসছিল। শিশুটি প্রতিবন্ধী হওয়ায় আরবী পড়া শেখানোর জন্য পাশ্ববর্তী একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করে দেয়। এদিকে প্রতিবেশী আসাদুল ইসলামের পুত্র রাকিব হোসেন (১৬) গত ৭ সেপ্টেম্বর দিনের বেলায় তার ব্যবহৃত একটি বাইসাইকেল নার্গিসের বিধবা মা’র বাড়িতে রেখে যায়। রাকিব ওইদিন রাতে ওই বাড়িতে এসে প্রতিবন্ধী শিশুটিকে ঘরের ভেতরে শুয়ে থাকতে দেখে। এসময় প্রতিবন্ধী শিশুর নানী রান্না ঘরে রাতের রান্না করছিল। এসময় রাকিব হোসেন ঘরের ভেতরে ঢুকে প্রতিবন্ধী শিশুটি ঘরে একা আছে মনে করে তার মুখ চিপে ধরে ধর্ষণ করে। এদিকে প্রতিবন্ধী শিশুর নানী ঘরে তেলের বোতল আনার জন্য গেলে তাকে বেশ কয়েকবার ডাকাডাকি করে। তার সাড়া না পেয়ে নিজেই তেলের বোতল আনার জন্য ঘরের দরজার সামনে আসতেই শিশুটি ব্যথায় চিৎকার করে। এসময় নানী ঘরের মধ্যে ঢুকতেই রাকিব হোসেন তাকে ছেড়ে দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় বটে নানী-নাতনীর আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে লোকজন বিষয়টি জানতে পারে। ফলে ওই রাতেই প্রতিবন্ধী শিশুর মা-বাবাকে খবর দিলে তারা পরদিন সকালে ঢাকা থেকে বাড়িতে চলে আসে। পরে নার্গিস লোকজন নিয়ে আসাদুলের বাড়িতে গিয়ে তার ছেলে রাকিব কর্তৃক ধর্ষণের ঘটনার বিষয়ে জানালে তারা নার্গিসের উপর মারমুখী হয়ে উঠে এবং এ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো কিছু করলে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। নার্গিস আক্তার নিরুপায় হয়ে আরেক প্রতিবেশী ও ভাতগ্রাম ইউপি মেম্বার নজরুল ইসলামের স্মরণাপন্ন হলে ধুরন্ধর ইউপি মেম্বার নজরুল ইসলাম ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য ধর্ষিতার চিকিৎসার কথা বলে গাইবান্ধা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে অন্য অসুখের কথা বলে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে আসে। এ সময় ইউপি মেম্বার নজরুল ইসলাম ভাতগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যানকে নিয়ে নিজেরাই বসে মিমাংসা করে দেয়ার কথা বলে ধর্ষণের আলামত নষ্টের উদ্দেশ্যে কালক্ষেপণ করতে করতে তিনদিন অতিক্রম করে ফেলেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি মেম্বার নজরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমরা মেয়েটাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দিয়ে নিয়ে এসেছি। বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি, আজকে রাতে বসার কথা আছে। ধর্ষণের ঘটনায় থানায় না নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার কারণ কি? তিনি এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে কৌশলে এড়িয়ে যান।

Leave A Reply

Your email address will not be published.