মনোহরদীতে স্কুলছাত্রী আনিকা হত্যার রহস্যের কথা জানান তার খালা পাপিয়া
খন্দকার সেলিম রেজা
স্টাফ রিপোর্টার
নরসিংদীর মনোহরদীতে খালার বাড়িতে ঢুকে স্কুলছাত্রী আনিকা আলমকে (১৫) হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। হত্যার রহস্যের কথা জানান তার খালা পাপিয়া আক্তার (৪৫)।আহত পাপিয়ার জ্ঞান ফিরলে গণমাধ্যমকে তিনি জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে তার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে অর্পার সঙ্গে পরিচয় হয় মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার শাহজাহান কিবরিয়ার ছেলে সৌদি প্রবাসী শাহরিয়ার শাহজাহান ফারদিনের। অর্পাকে তার (ফারদিন) সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য অনেকদিন ধরে অনুরোধ করেন। কিন্তু পাপিয়া বিয়ে দিতে রাজি ছিলেন না।
সোমবার ৪ নভেম্বর কুলাউড়া থেকে মনোহরদী অর্পার বাসায় আসে শাহরিয়ার শাহজাহান ফারদিন।ওই সময় অর্পা বিশ্ববিদ্যালয় কোচিং ক্লাস করতে নরসিংদী ছিলেন।বাসায় ছিলেন তার মা ও খালাতো বোন আনিকা আলম।দুপুরে রান্না করে ফারদিনকে খাওয়া-দাওয়া করানো হয়।পরে বিশ্রাম শেষে পৌনে ৪ টার দিকে অর্পাকে বিয়ে দেওয়ার বিষয়ে মায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় ফারদিনের।এক পর্যায়ে ফারদিনের ব্যাগে থাকা ধারালো চাপাতি দিয়ে পাপিয়াকে এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে।তার চিৎকার শুনে পাশের কক্ষে থাকা আনিকা তার খালাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে।এ সময় তাকেও কোপানো হয়।গলা কেটে যাওয়ায় ঘটনা স্থলেই আনিকার মৃত্যু হয়।পরে পাপিয়া বাসা থেকে বের হয়ে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। এসময় হত্যাকারী ফারদিন পালিয়ে যায়।পরে স্থানীয়রা পাপিয়াকে উদ্ধার করে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।সোমবার মনোহরদী পৌর শহরের সরকারি কলেজ সংলগ্ন আব্দুস সাত্তার মাস্টারের বাসায় এই হত্যাকাণ্ড হয়।আনিকা বেলাব উপজেলার পাটুলি ইউনিয়নের পশ্চিম পোড়াদিয়া গ্রামের শাহাজাদা নূর আলমের মেয়ে।সে খালার বাসায় থেকে কৃষ্ণপুর টেক্সটাইল ভোকেশনাল স্কুলের দশম শ্রেণিতে পড়তেন।মনোহরদী থানার অফিসার ইবনে মো. জুয়েল হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের বাবা শাহাজাদা নূর আলম বাদী হয়ে শাহরিয়ার শাহজাহান ফারদিনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।