ব্রেকিং নিউজ

পলাশবাড়ীতে জনসমাগম স্থানে ময়লা -আবর্জনার দুর্গন্ধে জনজীবন বিপর্যস্ত

গাইবান্ধা থেকে আঃ খালেক মন্ডল: প্রতিনিধি,
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌরশহরের জনসমাগম গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ময়লা-পঁচা-আবর্জনা ভাগারের দুর্গন্ধে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, তৃতীয় শ্রেণীর পলাশবাড়ী পৌরসভাটিতে বিগত দীর্ঘসময় ধরে প্রশাসনিক কার্যক্রম চললেও মূলতঃ ময়লা-পঁচা-আবর্জনা ভাগারের নির্দিষ্ট কোন পয়েন্ট বা ডাষ্টবিন নেই। ফলে পৌরশহরের বাজার ছাড়াও এলাকার বাসা-বাড়ী ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানের পুঞ্জিভূত ময়লা গুলো এভাবেই শহরের যেখানে-সেখানে যত্রতত্র ফেলা রাখায় এ দুরাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সাবেক মেয়র ছাড়াও কাউন্সিলররা তাদের গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের পলাশবাড়ী-গাইবান্ধা সড়কের পাশের্ব যত্রতত্র এসব দুর্গন্ধযুক্ত উচ্ছৃষ্ট ময়লা-আবর্জনা সমূহ স্তুপ আকারে রাখায় পথচারীদের পথচলা দূরূহ হয়ে পড়েছে। পৌরশহরের গাইবান্ধা সড়কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অবস্থিত। সেখান থেকে মাত্র ২শ’ গজ দূরে এমন যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনার ভাগারের স্তুপটি জনজীবন আরো দুর্বিষহ করে তুলেছে।

এদিকে; পৌরশহরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগামী পড়–য়া শিক্ষার্থীরা এসব রাস্তা দিয়ে চলাচল করে থাকে। কিন্তু এসব ময়লা-আবর্জনার ভাগারের দুর্গন্ধে ভূক্তভোগীদের চলাচল দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। বিরাজমান অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও অসহনীয় দুর্গন্ধের কারণে পৌরবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাপন অতিষ্ট হওয়ায় ভূক্তভোগী মহল দায়িত্বশীল কর্তাদের অবগতসহ আপত্তি জানালে দীর্ঘসময়েও তা কার্যকর করা হয়নি।

সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক মো. আল ইয়াসা রহমান তাপাদার জানান, এ পৌরসভায় ময়লা-আবর্জনা রাখার জন্য নিজস্ব কোন ডাষ্টবিন বা জমি নেই। তবে পৌরসভার দু’টি ওয়ার্ডের বাসা-বাড়ীর ময়লা-আবর্জনা সরানোর জন্য পরীক্ষামূলক ভাবে দু’টি ভ্যান চালু করা হবে। আপাতত ময়লা-আবর্জনা গুলো আগের স্থানেই রাখা হবে বলে তিনি জানান।

এসব ময়লা-আবর্জনার ভাগার জনসমুক্ষ থেকে নির্দিষ্ট অন্যত্র স্থানান্তর করতে সর্বস্তরের পৌরবাসী পৌর প্রশাসকের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারি কমিশনার (ভূমি) ছাড়াও দায়িত্বশীল কর্তাব্যক্তিদের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.