গোবিন্দগঞ্জে পূজার ডিউটিতে উপজেলা আনসার ও ভিডিপির প্রশিক্ষক ফজলে রাব্বি রুশোর বিরুদ্ধে টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে
উপজেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষক ফজলে রাব্বি রুশো পূজার ডিউটির নামে ৫০০/= থেকে ১০০০/= টাকা আদায় করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সেই সাথে যাদের সার্টিফিকেট নাই তাদেরকেও
তিনি ডিউটির সুযোগ করে দিয়েছে বলেও ভুক্ত ভোগীদের অভিযোগ।
কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে বড় অফিসার বাছাই করেছেন তোমরা হবে না।
ইউনিয়ন পর্যায়ের কমান্ডার তথা দল নেতাদের মাধ্যমে এসব কাজ করেছেন তিনি।
এক ইউনিয়নের লোক অন্য ইউনিয়নে ডিউটি দেওয়া হয়েছে।
বরং সেই ইউনিয়নই অনেক লোক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রয়েছে।
সর্বোপরি ফজলে রাব্বি রুশোর পকেটে চার লক্ষাধিক টাকা উঠেছে বলে কয়েকজন আনসার ভিডিপি কমান্ডার এই প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন।
রুশোর আশকারায় সার্বক্ষণিক বিভিন্ন তদবিরে ব্যস্ত থাকে আনসার ভিডিপি কমান্ডার সোলায়মান আলী।
সেই সাথে দরবস্তু ইউনিয়নের
কমান্ডার আব্দুস সোবাহান সহ কয়েকজন ইউনিয়ন কমান্ডার ব্যাপক অনিয়ম করতে এই রুশো কে সার্বিক সহযোগিতা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সব মিলিয়ে গোবিন্দগঞ্জ আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ে ফজলে রাব্বি রুশো একছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছেন বলেও উপজেলা চত্বরের বিভিন্ন চায়ের স্টলে গুঞ্জন বিদ্যমান। জানা গেছে, সম্প্রতি দূর্গা পূজা উদযাপনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অংশ হিসেবে উপজেলার ১২৭টি পুজা মন্ডপের জন্য সর্বোমোট ৮১৬ জন আনসার ভিডিপির সদস্যের মধ্যে ২৫৪ জন মহিলা আনসার ভিডিপির সদস্যা। এদের প্রত্যেককের
নিকট থেকে প্রশিক্ষক ফজলে রাব্বি রুশো ৫০০/=থেকে ১০০০/= টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট দফতরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ফজলে রাব্বি রুশো দীর্ঘ সাত বছর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় কর্মরত থাকায় অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সহ অফিসের কাউকে মানেন না। নিজের ইচ্ছামত স্বাধীন চলাফেরা করায় সবাইকে অবজ্ঞা করে চলেন এবং মাঝেমধ্যে অফিসের লোকদের অপমান করেন বলেও বেশ কয়েকবার আলোচনায় এসেছেন।
আরো জানা গেছে, দীর্ঘদিন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় কর্মরত থাকার সুবাদে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় তিনি টাকার পাহাড় গড়েছেন এবং পার্শ্ববর্তী জেলা বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দাড়িদহ নামক স্থানে একটি তিন তলা বিশিষ্ট আলিশান বাড়ি গড়ে তুলেছেন বলেও গুঞ্জন উঠেছে।
এ খবর চাউর হলে
কয়েকজন দলনেতা ও ফজলে রাব্বি রুশোর ক্যাডার তৎপর রয়েছে,কেউ যাতে মুখ খুলতে না পারে সেজন্য চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রেখেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এবিষয়ে প্রশিক্ষক ফজলে রাব্বি রুশোকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি (তিনি) ১৫/২০ জনের নিকট থেকে টাকা নিয়েছেন এবং সেই টাকা তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের খুশি করতে নিয়েছেন বলে, এই প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন।
বিষয়গুলি গোপনে ও প্রকাশ্যে তদন্তের দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী মহল ও সচেতন এলাকাবাসী।

Leave A Reply

Your email address will not be published.