শশুর বাড়ি নিয়ে ফকির আলমগীর পত্নীর আবেগঘন স্ট্যাটাস
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণসংগীত শিল্পী প্রয়াত ফকির আলমগীরের পত্নী কবি ও লেখিকা সুরাইয়া আলমগীর আনারকলি শ্বশুর বাড়ি নিয়ে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন। ফকির আলমগীর এর মৃত্যুর পর তিনি মাঝেমধ্যেই তার স্মৃতি বিজড়িত গ্রামের বাড়িতে যান। পাঠকদের উদ্দেশ্যে স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো।
গত বৃহস্পতিবার খুব সকালে শিকড়ের সন্ধানে নাড়ির টানে ফকির আলমগীর এর স্মৃতি বিজড়িত জন্মস্থান ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার কালামৃধা গ্রামে গিয়েছিলাম।
ফেলে আসা দিন ভালোবাসার কিছু কিছু ঋণের কাছে।
যেখানে রয়েছে সুবিশাল সুশীতল সবুজ প্রান্তর।
পাখি ঢাকা নিশ্চিন্ত ভোর।
এখানের কাঁদা জলে বেড়ে উঠেছেন কিংবদন্তি শিল্পী ফকির আলমগীর।
এখনো কালামৃধার স্বজনের আন্তরিকতায় অতিথিপরায়ণতায়
আমি যেনো সেই ৭৮ সালে চলে যাই
নববধূ হয়ে
আজও সেই আগের মমতা মাখা ভালোবাসা
অটুট রয়েছে
আমি কলি হয়েই আছি ওদের সহজিয়া মনের মন্দিরে।
অশেষ কৃতজ্ঞতা সিরাজ বেপারী বড় ভাবি মায়ার আম্মা, বোন গুলেনুর মেজো বোন শাহানূর অসুস্থ অবস্থায় ৮০ বছর বয়সে তাঁর প্রিয় কলিকে দেখতে এক নজর ছুটে এসেছেন কতো ভালোবাসায়। এসেছে মেয়ে দোলনা মেয়ে জামাই
মায়ার ছেলে তুষার এর আন্তরিকতার যত্ন ভূলবার নয়।
বড় ভাতিজা মানিক এসেছে এসেছে ভাই সোবহন ফকির এসেছেন প্রিয় শিক্ষক কালামৃধা গোবিন্দ স্কুলের মজিবর মাস্টার কতো আন্তরিকতা নিয়ে
এসেছে শিবচর থেকে বড় বোন প্রিয় কোহিনূর বুজির ছেলে বাকী।
এসেছেন চাচাতো ভাই আবু ফকির, লোকমান ফকির বীর মুক্তিযোদ্ধা-
ফকির আলমগীর এর সহযোদ্ধা আজিজুল হক বেপারী। বীর- মুক্তি যোদ্ধা হাজী আবু বকর সিদ্দিক বেপারী।
সর্বোপরী ভাগিনা প্রিয় জায়েম বেপারী বৌ মা পপির সেবা শুশ্রূষা ভূলার নয়। অনেক দোয়া ভালোবাসা তোমাদের জন্য মমতায় ঘেরা কালামৃধার জন্য।
দুপুরে এতিম খানার কিছু সন্তান সহ আত্মীয় স্বজন নিয়ে মিলাদ মাহফিল শেষে সবাই একসাথে খাওয়া দাওয়া করি। গোধূলীর শেষ লগ্নে বিদায়ের বিষাদ বেদনা বুকে চেপে সেই গাঁয়ের হালট যেখানে ফকির আলমগীরের বাঁশির উদাও সুরে কতো দুপুর কেটেছে সেই বড় হালটের প্রান্তরে সকল স্মৃতি সকল মায়া মমতা, আন্তরিকতা পিছনে ফেলে ঢাকা শহরের কোলাহলের ঢাকনা খোলা ভালোবাসায় ফিরে এলাম আবার।