ভারতে কমদামে রপ্তানি হওয়া ইলিশ বরিশালে কিনছে বেশি দামে

বরিশাল: বরিশাল থেকে ইলিশ কেনা হচ্ছে প্রতি কেজি ১৭’শ টাকা দরে। অথচ সেই ইলিশ ভারতে রপ্তানি হচ্ছে ১২’শ টাকারও কম দরে। এটা কেন কিভাবে হচ্ছে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে ধোয়াশা। এর কুশীলব বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক নীরব হোসেন টুটুল।

তিনি ভারতে অবস্থান করে তার পাঁচটি লাইসেন্স এর মাধ্যে এই যজ্ঞ করে যাচ্ছেন। নাহিয়ান এন্টারপ্রাইজ, মাহিমা এন্টারপ্রাইজ, এআর এন্টারপ্রাইজ, তানিশা এন্টারপ্রাইজ ও মাসফি এন্টারপ্রাইজ এর মাধ্যমে শত শত মন ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে ভারতে। আর সেসব ইলিশ রপ্তানি দরের চেয়ে বেশি দামে ক্রয় করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, ‘কোথা থেকে কী হয়, এটা জানা নেই। এ বিষয়ে আমাদের কোনো তদারকিও নেই।’ সরকারি দর ১ হাজার ১৯০ টাকা সত্ত্বেও বরিশাল থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকায় প্রতি কেজি ইলিশ কিনে কীভাবে ব্যবসা করে রপ্তানিকারকেরা—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিষয়টি অস্বাভাবিক।

পোর্ট রোডের একাধিক মৎস্য ব্যবসায়ীর অভিযোগ, টুটুলের লোকজনের দৌরাত্ম্যে মাছের দাম বেড়ে গেছে। বিগত সময়ে টুটুল-সাদিকের প্রভাবে জেলেদের কম দামে ইলিশ বিক্রিতে বাধ্য করায় বরিশাল পোর্ট রোডে ইলিশের বোট আসা অনেকাংশে কমে গেছে। তাঁর দাপটে অন্য ব্যবসায়ীরা ইলিশ রপ্তানি করতে পারতেন না। তাঁরা জানান, বরিশাল নগর বিএনপির অফিস পোড়ানো মামলার আসামি টুটুল। অথচ ভারতে বসে নিয়ন্ত্রণ করছেন ইলিশ ব্যবসা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতে রপ্তানিকারক একটি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার বলেন, হুন্ডির মাধ্যমে ইলিশ রপ্তানি হয়। এই অনৈতিক পন্থা সবাই জানেন। কিন্তু নিয়ন্ত্রণে আনেন না।

বরিশাল মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস জানান, আমাদের দপ্তর মাছের আমদানি, সংরক্ষণ ও অন্যান্য বিষয়ে কাজ করে। কিন্তু দরের বিষয়ে বানিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করে। তবুও আমরাও বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।

এসব বিষয়ে জানতে টুটুলের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তাঁর সাড়া পাওয়া যায়নি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.