শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে সীমান্ত মডেল কলেজের সভাপতি মজিবুর রহমানের নিয়োগ বাণিজ্য সহ নানা দূনীর্তির অভিযোগ

গোলাম রব্বানী—টিটু:(শেরপুর)প্রতিনিধি: শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ভারুয়া গ্রামে ২০১৩ সালে শিক্ষার আলো ছড়াতে সীমান্ত মডেল কলেজটি এলাকাবাসীর সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত হয় । ২০১৪ সালে মজিবুর রহমান কলেজের সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত হয় । সভাপতি বনে যাওয়ার পর থেকে ১০ বছরের দায়িত্ব পালনে নিয়োগ বাণিজ্য সহ পারিবারিক ভাবে ৯জনকে বিভিন্ন পদে চাকরি দিয়েছেন । নিয়োগ বাণিজ্য করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এতেও শান্ত না হয়ে তার দূনীর্তি ঢাকতে গত ৭/৭/২৪ ইং তারিখে ওই কলেজের ছাত্রী ফেরদৌসী তার মেয়েকে সভাপতির দায়িত্ব দেয় । ৫ ই আগস্ট সরকার পতনের পর অন্তর্বতীকালীন সরকার কমিটি বাতিল ঘোষণা করলে তার কপালে ভাজ পড়ে যায় । সে ওই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব থাকায় দলের প্রভাব খাটিয়ে কলেজে আধিপত্য বিস্তার করার জন্যে উঠে পড়ে লেগেছে । তার অনিয়মের বিচার চেয়ে ১৭/৯/২০২৪ ইং তারিখে কলেজের পক্ষ থেকে ১২জন স্টাফ সাক্ষর করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন । অভিযোগে প্রকাশ প্রতিষ্ঠাকালিন অধ্যক্ষ শাহিনূর ইসলামের বিরুদ্ধে সকল শিক্ষক কর্মচারিদের চাকরির ভয়ভীতি প্রদর্শন করে গত ২১/৬/২৩ ইং তারিখে জোরপূর্বক তাদের জিম্মি করে অধ্যক্ষর অনাস্থা পত্রে সাক্ষর গ্রহণ করে । পরবতীর্ ২৫/৬/২৩ইং তারিখে অধ্যক্ষ শাহিনুর ইসলামের নিকট থেকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে সকল স্টাফদের সামনে পদত্যাগ পত্রে সাক্ষর নিয়ে লাঞ্চিত করে কলেজ থেকে বাহির করে দেয়া হয় । ওই সময় সকল শিক্ষক কর্মচারী ও উপস্থিত কমিটির সামনে প্রতিয়মান হয় অধ্যক্ষ শাহিনূর ইসলামের নিকট কলেজের আয় /ব্যায় হিসাব করে কোন অর্থ আত্মসাতের প্রমান পাওয়া যায়নি । সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমানের নিকট বিভিন্ন সময়ে কলেজের মোটা অংকের অর্থ জমা রয়েছে । সকল শিক্ষকদের সম্মাতিক্রমে আবুল কালাম আজাদকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে সিদ্বান্ত গ্রহণ করা হলেও প্রভাব খাটিয়ে তাকে দায়িত্ব না দিয়ে জুনিয়র প্রভাষক ও নিবন্ধন বিহীন মুন্নাস আলীকে দায়িত্ব দেয় সাবেক সভাপতি । মুন্নাস আলী অধিকাংশ শিক্ষকদের সাথে অসদা চরণ করে । আবার জুনিয়র প্রভাষক আব্দুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত অদ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব দেয় । অতচ এখন পর্যন্ত মুন্নাস নিজেই নিয়মকে তোয়াক্কা না করে অধ্যক্ষর সিল ব্যবহার করে সকল কাজকর্ম করে আসছে । সভাপতির পদ ব্যবহার করে ও আওয়ামীলীগের দলীয় দাপটে তার নিকটস্থ আত্বীয় তার ভাই আতিকুর রহমান অফিস সহকারী, বোন আমেনা বেগম সহকারী গ্রন্থাগার, মেয়ের জামাই মোক্তার হোসেন অফিস সহকারী, মেয়ের জামাই সাজেদুল ইসলাম অফিস সহকারী বর্তমান সিঙ্গাপুর প্রবাসী, জামাই জাহিদ হাসান ল্যাব সহকারী, পুতরা রবিউল ইসলাম অফিস সহায়ক, ঝিয়ারি রাশেদা পরিচ্ছন্নকর্মী, ঝিয়ারি জামাই রবিউল ইসলাম অফিস সহায়ক ও রফিকুল ইসলাম নৈশ্য প্রহরী পদে এদেরকে কলেজ জরিপ বেনবেইজে নাম দেয় । জামাই সাজেদুল সিঙ্গাপুর থেকে কলেজে চাকরী করছেন এটা জন মনে প্রশ্ন উঠেছে । এ ছাড়াও মোটা অংকের টকার বিনিময়ে মনজিল হোসেনকে অফিস সহায়ক পদ থেকে তাড়িয়ে পুতারা মোখলেছুর রহমানকে দেয় , নূরে আলমকে বাদ দিয়ে ঝিয়ারি জামাই রবিউলকে অফিস সহায়ক পদে নেয়া হয় । জীব বিজ্ঞান পদে শাহাজালালের পরিবর্তে শেরপুর আরমানকে নেয়া হয় । হেলানা পারভীনকে বাদ দিয়ে যুক্তিবিদ্যায় বিদ্যুৎ কুমার চক্রবতীর্কে নেয়া হয় । ক্ষমতার অপব্যবহার করে যাহা অনিয়মের মধ্য দিয়ে কলেজটি অতিবাহিত হয়েছে । বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহিনূর ইসলাম বলেন প্রতিষ্ঠানটি এমপিও ভূক্ত হয়নি । অনেক কষ্ট করে টাকা পয়শা খরচ করে কলেজটি সবার সহযোগিতায় ভালোই চলছিল । সভাপতি আওয়ামীলীগের দাপট দেখিয়ে শিক্ষার পরিবেশকে বিনিষ্ট করার লক্ষ্য নিয়ে মামলা ও মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে । আমার এলাকায় কলেজটি প্রতিষ্ঠার জন্যে কোন সুযোগ সূবিধা গ্রহণ করি নাই সহযোগিতা করে আসছি তবুও আমাকে জোরপূর্বক নাটক সাজিয়ে পদত্যাগ পত্রে সাক্ষর নিয়েছে। আমাকে নিয়ে যে প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে তা মিথ্যা কাল্পনিক বানোয়াট । কলেজের জমি বাবদ নগদ ৬ লাখ টাকা দিয়ে ও আপন ভাই বোন দুইজন এবং আরো একজনকে চাকরি দেওয়ার শর্তে কলেজের নামে সভাপতি জমি লিখে দিয়ে প্রতিষ্ঠাতার পদটিও দখলে নেয় । সভাপতি মজিবুর রহমান জানায় ঘটনা তদন্ত হলে আমার কোন দূনীর্তির প্রমান পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নিবে তারা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল জানান অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে । এ নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা তথ্য আনতে গেলে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনা প্রকাশ হলে কলেজের সাবেক সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমানের পেতাত্তারা হুমকি, তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা ও কুটক্তি করে হুমকি প্রদর্শন করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কমেন্ট করে । কলেজটির সার্থে এবং শিক্ষার মান ধরে রাখার জন্যে গস্খামবাসীরা সঠিত তদন্ত করে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করার জোর দাবি জানিয়েছেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.