ব্রেকিং নিউজ

বিশ্বনাথ আলিয়া মাদ্রাসায় লেখাপড়ার সুষ্ঠু-সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিতের দাবিতে স্মারকলিপি

বিশ্বনাথ(সিলেট)প্রতিনিধি :
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার (আলিয়া মাদ্রাসা) অধ্যক্ষকে তার পদ থেকে জোরপূর্বক অপসারণের চেষ্টা এবং পরবর্তিতে ধারাবাহিকভাবে মাদ্রাসায় অপ্রীতিকর ঘটনায় বিঘ্নিত হওয়া পড়ালেখার পরিবেশ ফের সুষ্ঠু পরিবেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরে স্বারকলিপি দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) তারা এই স্মারকলিপি প্রদান করে।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করে, গত ২৬ আগস্ট থেকে মাদ্রাসায় নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’র ব্যানারে আন্দোলন করা হচ্ছে। আন্দোলনের সময় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নুমান আহমদকে অবমাননা করে পতদ্যাগের দাবি জানানো হয়। সে সময় থেকে মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে প্রতিদিন কোনো না কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। আমরা সাধারণ ও মাদ্রাসার প্রকৃত শিক্ষার্থী হিসেবেও চাই যে, মাদ্রাসায় অনিয়ম, অবমূল্যায়ন হয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আমরাও চাই যৌক্তিক সমাধান। কিন্তু, এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্র হিসেবে আমরা আমাদের প্রাণের প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীঅপমান হোন-সেটি চাই না, আশাও করি না। এমনকি আমরা কোনো শিক্ষক-কর্মচারীর লাঞ্ছনা-বঞ্চনা কিংবা পদত্যাগের পক্ষে নই। আমরা কেবলমাত্র আমাদের ন্যায্য অধিকার চাই। আন্দোলনের মাধ্যমে যে লাঞ্চনা, অপমান ও শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্ন হওয়ার মতো যা ঘটছে তা অনভিপ্রেত।

স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়, আন্দোলনের এক পর্যায়ে যারা অধ্যক্ষের পদত্যাগসহ নানা ধরণের দাবি তুলছেন, তাদের মধ্যে হাতেগুনা দু’চারজন ছাড়া কেউ মাদ্রাসা বা কোনো প্রতিষ্ঠানেরও ছাত্র না। তারা বহিরাগত। তাই আমরা মনে করছি, এ ঘটনায় ভিন্ন কোনো কারণ থাকতে পারে। এটি অনুধাবন করে কোনো শিক্ষার্থী এর প্রতিবাদ করতে গেলে তাদেরকে শারীরিক নির্যাতনসহ হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়।

স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা ১৪টি দাবি উপস্থাপন করে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, মাদ্রাসা প্রশাসন কর্তৃক কোনো শিক্ষার্থীকে কোনোরূপ হয়রানি করা যাবে না। মাদ্রাসায় বহিরাগতদের আধিপত্য বিস্তার ও বিশৃঙ্খলা রোধ করে লেখাপড়ার সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। বহিরাগতদের দ্বারা কোনো শিক্ষক, কর্মচারী বা শিক্ষার্থী লাঞ্ছিত হওয়া কঠোরভাবে দমন করে নিজস্ব স্বকীয়তা রক্ষায় সচেষ্ট হতে হবে। প্রশংসাপত্র, ছাড়পত্র, নম্বরপত্র ও সনদপত্র প্রাপ্তি একজন শিক্ষার্থীর মৌলিক অধিকার। এটি প্রদানে কোনোরূপ বিলম্ব বা বারবার কালক্ষেপণ করা যাবে না। অতিরিক্ত ফি নেওয়া যাবে না।

স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীদের পক্ষে স্বাক্ষর করেন কামিল ১ম বর্ষের মো. ছাব্বির হোসেন, ফাজিল ১ম বর্ষের ইসলাম উদ্দিন, আউয়াল হোসেন পারভেজ, ২য় বর্ষের মিনহাজুর রহমান, আলিম ২য় বর্ষের আবিদুর রহমান প্রমুখ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.