ব্রেকিং নিউজ

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে অবৈধ বালু উত্তোলন চলছেই

গোলাম রব্বানী—টিটু:(শেরপুর)প্রতিনিধি :শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় দীর্র্ঘদিন থেকে মহারশি নদী ও গারো পাহাড়ের রাংটিয়া রেজ্ঞের বিভিন্ন স্পট থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন কার্যক্রম চলে আসছে। তা বন্ধে উপজেলা প্রশাসন বিগত সময়ে জেল, জরিমানা ও মেশিন ভাঙচুরের ঘটনা ভ্রাম্যমান অদালতের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়েছে তা অব্যাহত রয়েছে । তবুও বালু খেকোরা শান্ত না হয়ে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে চুরি করে বালু উত্তোলন করে আসছে । মহারশি নদীর বালু উত্তোলনের জন্যে আসাদুজ্জামান স্বপনকে প্রায় দেড় কোটি টাকা ইজাারা মূল্য নির্ধারণ করে শেরপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে ইজারা প্রদান করা হয় । ইজারাদার সীমানার বাইরে থেকেও ইজারাদার স্বপন বালু উত্তোলন করছে বলে এলাকাবাসীর মৌখিক অভিযোগ রয়েছে । এ ছাড়াও ইজারাদার সিমানার বাইরে যেখানে বালু উত্তোলন করা হয় তাকে অবৈধ পন্থায় ইজারা দিতে হয় । নদীর পাড় ও মহারশি নদীর উপর দুইটি ব্রিজের নিচ থেকে বালু ইত্তোলনের ফলে হুমকির সম্মুখিন পড়েছে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট করে বালু ইত্তোলনের মহৎসব চলে আসছে । রাতের আধাঁরে অবৈধ বালুর ট্রাক ও ট্রলি দিয়ে বালু পাচার করে থাকে একটি সিন্ডিকেট । বালু খেকোদের সাথে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে জনৈক্য খোরশেদ আলম চাঁদা গ্রহণ করে থাকে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে । তার চাঁদা বন্ধ ও গ্রেপ্তারের দাবিতে উপজেলার সামনে ২০১৬ সালে মানববন্ধন করে বালু শ্রমিক সংগঠনের ব্যানারে । ওই বছর তার বিরুদ্ধে উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় চাঁদাবাজি হিসাবে রেজুলেশন লিপিবদ্ধ হয় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারে নিকট স্বারকলিপি প্রদান করেন শ্রমিকরা । এ ছাড়াও বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয় । সে সেচ্ছাসেবকলীগের ক্যাডার হিসাবে বিগত ১৫ বছর রামরাজত্ব কায়েমের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কারণে । এখন আবারও চাঁদাবাজি রাজত্ব কায়েম করার জন্যে সারা উজেলায় চুষে বেড়াচ্ছে । বালুর বৈধ ইজারা নেওয়ার ব্যাপারে ইজারাদার আসাদুজাজামানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি । উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম রাসেল জানান অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে তা অব্যাহত রয়েছে ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.