ব্রেকিং নিউজ

বিশ্বনাথে তহসিলদারের বিরুদ্ধে ব্যাপক  ঘুষ দুর্নীতি অভিযোগ

এস.পি.সেবু

বিশ্বনাথ(সিলেট)প্রতিনিধি :
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়ন ও দৌলতপুর ইউনিয়নের যৌথ ভূমি অফিসের তহসিলদার (ভারপ্রাপ্ত, ভূমি সহকারি কর্মকর্তা) সত্যপ্রিয় ভট্টাচার্য্যরে বিরুদ্ধে ঘুুষ-দুুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ঘুষ ছাড়া কোন কাজই করেন না তিনি। চাহিদা মতো উৎকুচ পেলেই মন দেন কাজে। যোগদানের পর থেকে ভূমি অফিসে কায়েম করেছেন দূর্নীতির রামরাজত্ব। সেবা প্রত্যাশিদের সকল কাজেই গুণতে হয় সেলামি। তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ একালাকাবাসির।

তারা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করলেও, বহাল তবিয়তে রয়েছেন তিনি

জানা গেছে, তহসিলদার সত্যপ্রিয় ভট্টাচার্য্য যোগদানের পর থেকে সেবা প্রত্যাশী লোকজনের কাছ থেকে অতিরিক্ত খাজনা আদায়, নামজারি, দাখিলাসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করে দেয়ার কথা বলে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ। আগে টাকা না দিলে সরেজমিন তদন্তে যান না কারো অভিযোগের।

ভূক্তভোগী ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের কৃষক করিম অভিযোগ করে বলেন, তিনির মাধ্যমে জালিয়াতি করে জাল দলিলে একটি নামজারি সম্পাদন করা হয়। বিষয়টি আমরা জানতে পেরে আপত্তি জানিয়ে নামজারি বাতিলের জন্যে আবেদন করি। এটাতেও তিনি ধাপে ধাপে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেন। আজিজনগর কাদিপুর গ্রামের ফয়জুল হক ও স্থানীয় রাজমিস্ত্রী আজর আলীসহ বেশ কয়েকজনের অভিযোগ, বিভিন্ন সময় সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় আমরা অভিযোগ দিলেও তিনি টাকা ছাড়া তদন্তে আসেন না। আর নামজারি রির্পোটের জন্য যোগাযোগ করলে, প্রথমেই নানা ছলে ভুলত্রুটি ধরে রির্পোট দিতে গড়িমসি শুরু করেন। পরে যোগাযোগ করে চুক্তি করে এলেই পক্ষে রির্পোট দিয়ে দেন তিনি। আর খাজনার নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত আদায় করে পকেট ভরেন তিনি। আমরা এলাকাবাসি এসব অভিযোগ লিপিবদ্ধ করে, গেল ৩ ও ১৪ মার্চ পৃথক ভাবে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে দিয়েও কোন প্রতিকার পাইনি।
তহসিলদার সত্যপ্রিয় ভট্টাচার্য্য সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কেউ যদি ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল করতে না পারে, তখনই সে তার কাছে অপরাধী হয়ে যায়। হয়তো নির্দিষ্ট কিছুু মানুষের কাছে আমি অপরাধী কিন্তু পুরো এলাকাবাসি জানে আমি কেমন। উনারা ডিসি স্যার ও কমিশনার স্যারের অফিসে অভিযোগ দিয়েও, শুনানীতে যাননি। আমি এখনও রাজি, তারা শুনানীতে আসুন, স্বাক্ষী প্রমাণ উপস্থাপন করুন। আমি অভিযুক্ত হলে সেচ্ছায় মাথা পেতে নেব।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আলাউদ্দিন কাদের বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ আমার কাছে অভিযোগ করলে, আমার মতো করে বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।

Leave A Reply

Your email address will not be published.