ব্রেকিং নিউজ

কাশিমপুরে ৩জন চাইনিজ নাগরিক কর্তৃক বাংলাদেশী নারী ধর্ষণ।থানায় মামলা

স্টাফ রিপোর্টারঃ

গাজীপুর মহানগরের মোজার মিল,লাল বাল্ডিং সাকিনস্থ ভাড়া বাসায় ৩জন চায়না নাগরিক কর্তৃক বাংলাদেশী নারী ধর্ষণ হয়েছে বলে জানা গেছে।

মামলা সুত্রে জানা গেছে,ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার কুরগাঁও গ্রামের আমির উদ্দিনের মেয়ে বানু গত অনুমান ১ মাস পূর্বে ওয়াং চাও ইয়াং @আব্দুর রহমান চাইনিজ নাগরিকের সহিত ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গাজীপুর কাশিমপুর থানার মোজার মিল,লাল বিল্ডং সাদিকুল এর বিল্ডং বাড়ির ৬ তলার ভাড়া বাসায় শান্তি পূর্ণ ভাবে বসবাস করা কালে গত ইং ২৩/০৮/২০২৪ তারিখ অনুমান সন্ধ্যা ০৭.৩০ ঘটিকার সময় (বাদীনি বানুর) স্বামী ওয়াং চাও ইয়াং @আব্দুর রহমান ও তার বন্ধু পাশের ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়া ইয়াং জিং (চাইনিজ নাগরিক) বাসায় একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া শেষে করে সে তাদের রুমে চলে যায়। অতঃপর তারা স্বামী স্ত্রী দুজনেই তাদের রুমে পড়ে এবং রাত আনুমান ৯.৪৫ মিনিটে তাদের শারীরিক সম্পর্ক হয়।অতঃপর তার স্বামী পাশের রুমে আসলে কিছু সময় পরে বানু ঘুমিয়ে পড়েন।
ইং ২৩/০৮/২০২৪ তারিখ রাত আনুমান ১০.৪৫ মিনিট ইয়ার জিং অনাধিকারে বানুর ঘরে প্রবেশ করিয়া তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় জাপটাইয়া ধরে এতে তার ঘুম ভেঙে যায় এবং বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে সে জোর পূর্বক তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করে চলে যায়। পরবর্তীতে একই তারিখ রাত আনুমান ১১.৪৫ মিনিটে ওয়াং জাওফিং অনাধিকারে বানুর ঘরে প্রবেশ করিয়া তাকে জাপটাইয়া ধরে খাটের উপর শোয়াইয়া পরনের কাপড় খুলিয়া তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। উক্ত ঘটনার বাদীনির স্বামী পাশের রুমে থেকে ধর্ষকদের সহায়তা করে এবং বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য তাকে দেয় বলে ও মামলায় উল্লেখ করেছেন বাদীনি বানু।

সরজমিনে জানা যায়, ইং ২৫/০৮/২০২৪ তারিখ রবিবার রাত আনুমানিক ০৮.০০ ঘটিকায় আশুলিয়া থানার ডিএসবি এস আই মোমিন কর্তৃক সাংবাদিক মোঃ রবিউল ইসলামের তথ্য অনুযায়ী কয়েকজন সাংবাদিক উপরোক্ত ঠিকানায় গিয়ে স্থানীয় কাশিমপুর থানা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক মারুফের সহায়তায় সাদিকুল এর বাড়ির গেটের সামনে থেকে ভুক্তভোগী বানুকে উদ্ধার করা হয়। এবিষয়ে উদ্ধারকৃত বানুকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন,বগাবাড়ী কাঁচা বাজার সংলগ্ন কানু লাল নাথ@ পলাশের সহায়তায় নাটোর জেলার সিংড়া থানার শেরকুল ইউনিয়নের খরমকুরী গ্রামের মাহফুজ ও তার পরিচিত বোন চাইনিজ নাগরিকের স্ত্রী নীলার মাধ্যমে আমার সঙ্গে তাদের পরিচয় হয় এবং আমাকে নিয়ে শান্তি পূর্ণ সংসার করবে মর্মে আমি তাকে বিয়ে করতে রাজি হই। তখন তিনি নোটারী পাবলিক এভিডেভিড মুলে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক আমাকে বিবাহ করে এবং নাম রাখেন ওয়াং চাও ইয়াং @আব্দুর রহমান। এভাবে শান্তি পূর্ণ ভাবে প্রায় ১মাস বসবাস কালে গত ইং ২৩/০৮/২০২৪ তারিখ অনুমান সন্ধ্যা ০৭.৩০ ঘটিকার আমার স্বামী ওয়াং চাও ইয়াং @আব্দুর রহমান ও তার বন্ধু পাশের ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়া ইয়াং জিং (চাইনিজ নাগরিক) বাসায় একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া শেষে করে সে তাদের রুমে চলে যায়। অতঃপর আমরা স্বামী স্ত্রী দুজনেই আমাদের রুমে শুয়ে পড়ি এবং রাত আনুমান ৯.৪৫ মিনিটে আমাদের শারীরিক সম্পর্ক হয়। তারপর আমার স্বামী পাশের রুমে আসলে কিছু সময় পরে আমি ঘুমিয়ে পড়ি।
ইং ২৩/০৮/২০২৪ তারিখ রাত আনুমান ১০.৪৫ মিনিট ইয়ার জিং অনাধিকারে আমার ঘরে প্রবেশ করিয়া আমাকে ঘুমন্ত অবস্থায় জাপটাইয়া ধরে এতে আমার ঘুম ভেঙে যায় এবং আমি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে সে আমাকে জোর পূর্বক আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করে চলে যায়। পরবর্তীতে একই তারিখ রাত আনুমান ১১.৪৫ মিনিটে ওয়াং জাওফিং ও অনাধিকারে আমার ঘরে প্রবেশ করিয়া আমাকে জাপটাইয়া ধরে খাটের উপর শোয়াইয়া পরনের কাপড় খুলিয়া আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমাকে জোর পূর্বক ধর্ষন করে চলে যায়। আমি যেন রুম থেকে আর বের হতে না পাড়ি এবং এবিষয়ে কাউকে কিছু বলতে এজন্য আমার স্বামী আমাকে ঘরের গেট আটকাইয়া দিলে আমি ঘরের মধ্যে আটকা অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়ি। এবং ঘরে আটকা অবস্থায় মোবাইলের মাধ্যমে আমি জানতে পারি যে, চাইনিজরা বাংলাদেশের নারীদের বিয়ে করে সুকৌশলে ২/১ মাস সংসার করে ভিসা,পার্সপোর্ট সঠিক নিয়ম মেনে চায়না পাঠিয়ে দিয়ে তাদের কে ঐ দেশে বিক্রি করে দেয়। তখনই আমার সন্দেহ হয় যে আমি নারী পাচারকারী চক্রের হাতে পড়েছি।এই কারণে আমাকে কৌশলে ঘরে আটকে রেখেছে। যেহেতু আমার পার্সপোর্ট হয়ে গেছে ভিসার প্রসেসিং চলছে। এমতাবস্থায় আমি প্রশাসনের কিছু দপ্তরে ফোন দিয়ে তাদের কোন সহায়তা না পেয়ে খুব অসহায় হয়ে পড়ি। তিনি আরও বলেন,আমাকে চায়নাদের দেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য ঢাকা পার্সপোর্ট অফিসে নিয়ে গিয়েছিল এবং পার্সপোর্ট ও হয়ছিল। সেখানে এক পুলিশ ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয় হয়ছিল সে আমাকে তার নাম্বারটা দিয়ে বলেছিলেন কোন সমস্যা মনে হলে যেন তাকে ফোন দেই। এমতাবস্থায় আমি সেই পুলিশ ভাইকে বিষয়টি খুলে বলি তিনি দেখছি বলে ফোন কেটে দেন এবং কিছু সময় পরে আমাকে সাংবাদিকরা ফোন দেয় এবং আমি তাদেরকে আমার ঠিকানা বলে দেই তারা আমার ঠিকানা ডালাসসিটির লাল বিল্ডিং এর ঠিকানা অনুযায়ী আসলে আমি এই ৬ তলা বিল্ডিং থেকে লাল ওড়না দিয়ে সিগনাল দিলে সাংবাদিকরা আমাকে ফোন দিয়ে নিচে নামতে বলে তখন আমি সুকৌশলে নিচে নেমে আসলে তারা আমাকে আমার বাসার গেইটের সামনে থেকে উদ্ধার করে। পরে আমি কাশিমপুর থানায় যাই কিন্তু তারা আমাকে কোন সহায়তা না করে দায়িত্বরত কর্মকর্তা অশালীন নানা প্রকার গালাগালিসহ অপমান জনক কথা বার্তা বলে সময় ক্ষেপণ করার একপর্যায়ে থানার সামনে রাস্তায় বসে অনশন করি। বিষয়টি সাংবাদিকদের দৃষ্টি গোচর হলে সাংবাদিকগণ থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তার বক্তব্য নিতে গেলে তিনি বক্তব্য না দিয়ে ঘটনা স্থান পরিদর্শনে টিম পাঠাবেন বলে আস্বস্ত করে গড়িমসি ও সময় ক্ষেপণ করে রাতশেষে অবশেষে ২৬/০৮/২০২৪ ইং অনুমান ভোর ৪.৩০ মিনিটে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মঞ্জুরুল এর নেতৃত্বে কাশিমপুর থানা পুলিশের একটি টিম সাংবাদিক ও ভিকটিমকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের বিষয়ে ভিকটিম বানুকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এখানে পুলিশের যে কর্মকর্তা তদন্তে এসেছেন তারা এখানে পক্ষ পাতিত্ব দ্বায়সারা তদন্ত করেছেন। কেননা তারা বাসার গেইটের সামনে এসে সাংবাদিকদের নাম ঠিকানা লেখা নিয়ে ব্যস্তছিল। অপরাধীদের হাতে পেয়েও তাদের গ্রেফতার না করে খোশগল্প করে সময় ক্ষেপণ করে তদন্তের নামে তালবাহানা করেছে। আমার পার্সপোর্ট,বিয়ের কাবিননামা সহ প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্রাদি অপরাধীদের কাছে জিম্মি থাকলেও তা এখনও উদ্ধার করা হয় নি। বরং পুলিশের সামনেই অপরাধীদের দ্বারা আমাকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এবিষয়ে সাংবাদিকদের জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, এস আই মঞ্জুরুল তদন্তের নামে সময় ক্ষেপণ করে। ভোর হওয়ার পর মসজিদের নামাজ আদায় করে লোক জন আসলে আওয়ামী লীগের নামধারী নেতা আঃ ছালাম ও যৌন উত্তেজক ঔষধ ব্যবসায়ী নামধারী সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী সিমান্ত তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মঞ্জুরুলের জোগসাজসে তারা সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয়ে উঠেন। একপর্যায়ে কাশিমপুর থানা প্রেসক্লাবের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুর আলম সিদ্দিকী মানুর সঙ্গে বাড়ি ওয়ালা সাদিকুল ও আঃ সালামের নেতৃত্বে নামধারী সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী সিমান্তের ধাক্কাধাক্কি শুরু করলে ঘটনাস্থলের উপস্থিত লোকজন কাশিমপুর থানা প্রেসক্লাবের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুর আলম সিদ্দিকী মানু,সাংবাদিক মোঃ রেজাউল করিম ও ভিকটিম বানুকে অটোরিকশা যোগে পাঠিয়ে দিলেও আরোও ৩ জন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে থেকে যায়। তাদেরকেও থানা পুলিশের সম্মুখে অমানবিক ভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে এবং এই ধর্ষনের ঘটনার সকল ডকুমেন্টসসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস ডিলিট করে দিয়ে অপুরনীয় ক্ষতি সাধন করেছে। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে থানায় এসে জানা গেছে, তদন্তের সকল অপকর্ম ঢাকতে থানা পুলিশের কর্মকর্তাদের জোগসাজসে আঃ ছালামের নেতৃত্বে বাড়ি ওয়ালা সাদিকুলকে বাদী করে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

এবিষয়ে কাশিমপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলামকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ভিকটিমের এজাহারসহ সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ও দেন বিষয়টা দেখছি বলে সান্ত্বনা বাণী শুনিয়ে দেন।

এরপর ভিকটিমের এজাহার নিয়েও হয় থানা পুলিশের নানা নাটক ২৬/০৮/২০২৪ইং তারিখে ভিকটিমকে ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য থানা পুলিশ হেফাজতে নিলেও নানা নাটকীতায় ২৭/০৮/২০২৪ তারিখে ফরেনসিক রিপোর্ট জন্য শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ না নিয়ে নেওয়া হয়েছে ২৮/০৮/২০২৪ ইং তারিখে যা ভিকটিম বানু গভীর ষড়যন্ত্রের শিকারে পড়তে যাচ্ছিলেন বলে তিনি মনে করেন এবং বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।

অবশেষে এজাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কাশিমপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, ভুক্তভোগী বানু কাশিমপুর থানায় এসে যে এজাহার দায়ের করেন। তার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী ২০২০) এর ৯(৩)/ ৩০ ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মামল নং ০৪/২৭-০৮-২০২৪ইং। পরে ভুক্তভোগী বানু কে ফরেনসিক রিপোর্ট এর জন্য শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ এ প্রেরণ করা হয়েছে।

চাইনিজ নাগরিকদের বিষয়ে এলাবাসীকে জিজ্ঞেস করলে নাম না জানাতে কিছু অনিচ্ছুক ব্যক্তি বলেন,চায়না নাগরিকরা বাংলাদেশে বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসা বাণিজ্য করতেছে, কিছু কিছু চাইনিজ বাংলাদেশি মুসলিম মেয়েদেরকে বিয়ে করতেছে। এদের মধ্যে অনেকেই প্রতারণা করছে, বাঙালি মেয়েদের কে বিদেশে পাচার করছে। এটিএন নিউজে এ বিষয়ে একটা নিউজ হয়েছে এর আগে, গাজীপুরের কাশিমপুরের ঘটনাটি হুবহু তাই।

ঘটনা : ভুক্তভোগীর বক্তব্য অনুযায়ী, গাজীপুরের কাশিমপুর ডালাসসিটি এলাকায়, প্রতারক কয়েকজন চাইনিজ নাগরিক সেখানে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে, তাদের মধ্যে একজন এক মুসলিম বাঙালিকে বিয়ে করেছে, সেই মহিলাও এই চক্রের সক্রিয় সদস্য। নাম নিলা, নিলার মালিকানাধীন এখানে দুটি ফ্যাক্টরি রয়েছে সেখানে চুলের ক্যাপ তৈরি করেন তারা।

যেভাবে বাঙ্গালী নারী সংগ্রহ করা হয়: – এদের বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে মহিলা ও পুরুষ এজেন্ট নিয়োগ করা আছে, যারা মহিলা গার্মেন্টস কর্মীদের বিভিন্ন প্রলোভনে চাইনিজ নাগরিককে বিয়ে করতে রাজি করানোর কাজ করে থাকে, তাদের টার্গেট সাদাসিধা এবং অতি দরিদ্র পরিবারের মেয়েরা।

দালালরা যেভাবে সখ্যতা তৈরি করে :- একসাথে কাজ করার সুবাদে এরা সহজেই ভিকটিমের সাথে মিশে যেতে পারে, তারা প্রস্তাব দেয় অমুক চাইনিজ তোমাকে পছন্দ করেছে বিয়ে করতে চায়, এরপর তারা সেই চাইনিজ কে নিয়ে কয়েকজন মিলে মেয়ে দেখতে যায়, মেয়ে দেখে ফিরে আসার সময় মেয়ের হাতে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকাও দিয়ে দেয় (মেয়ে দেখার দক্ষিণা) এরপর মেয়ে দেখে চাইনিজরা বের হয়ে গেলে সেই এজেন্ট মেয়েকে বলে, সে তোমাকে অনেক পছন্দ করেছে সে তোমাকেই বিয়ে করতে চায়, তুমি চাইলে সে তার ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম হতে রাজি আছে। একথা শোনার পর ভিকটিম ভাবে, আমার জন্য ধর্ম ত্যাগ করতেছে, বিদেশি নাগরিক, নানান রকম সুযোগ-সুবিধা, বিয়ে করা যায়। এই ভেবে ভিকটিম রাজি হয়ে যায়। এরপর তাদের নিজস্ব কাজী থাকে উকিল থাকে, তারা মেয়ের সামনেই সেই চাইনিজকে মুসলিম করে, বিয়ে পড়ায়,(সত্য হতে পারে আনার নাটকও হতে পারে) এরপর তারা একসাথে সংসার করতে থাকে, কিছুদিন পর তার পাসপোর্ট তৈরি করে এবং তার সাথে চায়না নিয়ে যায়, এরপর আর সেই বউয়ের কোন খোঁজ খবর পাওয়া যায় না।

ভিকটিমের এর তথ্য অনুযায়ী কাশিমপুরের এই প্রতারক চক্র ৪ থেকে ৫ জন নারীকে পাচার করেছে, তবে আমার কাছে সুনির্দিষ্ট কোন প্রমান না থাকায় সেগুলো নিয়ে জোড়ালো ভাবে কিছু বলতে চাচ্ছি না।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নানা নাটকীয়তার মাঝে ভিকটিম বানুর মামলা রেকর্ড হলেও রেকর্ড হয়নি জঘন্যতম অপরাধ ধর্ষক ও আন্তর্জাতিক নারী পাচারকারী চক্রের হাত থেকে জীবনবাজি রেখে বানুকে উদ্ধার করতে যাওয়া সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ। লাঞ্ছিতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার তারা এখনও কাশিমপুর থানার সম্মুখে ঘোরাঘুরি করছে। এনিয়ে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে নানা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সাংবাদিক লাঞ্ছিতকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ,নারী পাচারকারী চক্রের মুল হোতাসহ ধর্ষক ৩ চাইনিজ নাগরিক ও সাংবাদিক লাঞ্ছিতকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দসহ এলাকার সচেতন মহল।

Leave A Reply

Your email address will not be published.