সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আসামীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন
রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পানিহার এলাকায় চলতি বছরের গত ৭জুন মারপিটের ঘটনা ঘটে। এতে পানিহার গ্রামের ওবাইদুল রহমান এর ছেলে হিমেল আহত হন। এবিষয়ে কোর্টে মামলা হয়েছে। বর্তমানে আসামীরা াজমিনে রয়েছে। এ নিয়ে শনিবার বেরা সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশন রাজশাহী শাখা কার্যালয় আহতের বড় ভাই ইমন আলী সংবাদ সম্মেলন করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তারা সাধারণ কৃষিজীবী মানুষ। জমি চাষ করে জীবন নির্বাহ করেন। গত ৭জুন ২০২৪ইং তারিখ শুক্রবার পানিহার এলাকায় নিজ জমিতে চাষাবাদ করার জন্য তিনি ও তার ভাই হিমেল মিলে কাজ করছিলেন। কাজের ফাঁকে বিশ্রাম নেয়ার জন্য পানিহার গ্রামের পূর্ব দিকে পানিহার মৌজা সল্লাপুকুরের দক্ষিণপাড়ে আমবাগানে বসে অবস্থান করাকালে দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে আসামী মিলন অরফে আসাদুজ্জামান(৩০), পিতা-মনিরুজ্জামান ও আসামী মনিরুজ্জামান(৫৫), পিতা-ওয়াহেদ আলী সর্ব সাং- পানিহার, উপজেলা-গোদাগাড়ী, রাজশাহী, একই স্থানে আরাম করার জন্য ঘটনাস্থলে আসেন। আর পূর্ব হতে আরেক আসামী একই এলাকার মৃত-নুর মোহাম্মদ এর ছেলে রহিমমুদ্দীন ঘটনাস্থলে বসে ছিলেন।
হিমেল মনিরনুজ্জামানকে বলেন, দাদা আপনার ছেলেকে দিয়ে কেন তার ছোটভাইয়ে বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিলেন। তিনিতো এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। এই কথা বলায় আসামীরা তার সাথে তর্কে জড়ান এবং মারমুখি আচরন করেন। এক পর্যায়ে তিন ছোট ভাইয়ের হয়ে ক্ষমা চাইলেও তারা ক্ষমা না করে আসামীরা আমরছোট ভাইয়ের হাতে থাকা কোদাল কেড়ে নিয়ে হিমেল এরম মাথায় কোপ দিতে গেলে হিমেল মাথা সড়িয়ে নিলে কোদালের কোপ হিমেল এর বাম পায়ের বুড়া আঙ্গুলে লেগে কেটে যায়। আঙ্গুলটি চামড়ার সাথে লেগে থাকে মাত্র। এ পর্যায়ে তারা চিৎকার শুরু করলে জমিতে কাজ করা অন্যান্য ব্যক্তিরা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হিমেল রামেক হাসপাতালের ৩১নং ওয়ার্ডের ২নং ইউনিটে ৭জুন ২০২৪ হতে ১০জুন ২০২৪ইং তারিখ পর্যন্ত চিকিৎসা নেই।
তিনি আরো উল্লেখ করেন চিকিৎসা শেষে হিমেলকে ১০ জুন ছাড়পত্র দেন ডাক্তার। ছাড়পত্রে স্পস্ট ভাবে আঘাতের কারনে তার ইনজুরি হয়েছে উল্লেখ করলেও, অজানা কারনে ছাড়পত্রের অপর পৃষ্ঠায় দূর্ঘটনা কারনে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে মর্মে উল্লেখ করা হয়। এখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সম্পূর্নভাবে বিবাদী পক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এই মিথ্যা প্রতিবেদ দেন। যা সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। তিনি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এই মিথ্যা প্রতিবেদনের কারনে তারা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার পথে চলে গেছেন । তিনি ঐ ডাক্তারেরও শাস্তির দাবী জানান।
এদিকে মামলার আইও গোদাগাড়ী থানার এস.আই রেজাউল করিমকে (বিপি-৭৬৯৬০৭৩১৮৪, প্রতিবেদন দিতে বললে তিনি ত্রিশ হাজার টাকা দাবী করেন। যার কল রেকর্ড তার নিকট রয়েছে বলে জানান। টাকা না দিলে মামলা ভিন্ন দিকে নিয়ে যাবেন বলে হুমকী দেন। প্রকৃত পক্ষে রেজাউল করিম আসামীদের পক্ষ হতে মোটা অংকের টাকা খেয়ে প্রকৃত প্রতিবেদন না দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুমকী দেন।
ছাড়পত্রে উল্লেখিত মিথ্যা প্রতিবেদন সংশোধন করে দেয়ার জন্য রামেক হাসপাতালের পরিচালক বরাবরে আবেদন করলে পরিচালক আবেদনের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য নির্দেশনা দিলেও অজ্ঞাত কারনে তা আর মেডিকেল থেকে প্রদান না করে আবেদন পত্রটি ফেরত দেন। কিন্তু এটা সংশোধন করার জন্য তার নিকট থেকে ৫০০০টাকাও তারা নেন। এরপরেও তারা ব্যবস্থা নেননি। তিনি এরও বিচার দাবী করছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উল্লেখ করেন বিজ্ঞ বিচারক রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ছাড়পত্রে প্রদানকত মিথ্যা প্রতিবেদন সঠিক করে দেয়া এবং আইও রেজাউল করিমকে আদালতে এসে ব্যাক্ষা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। স্সোথে মামরা পিবিআইতে স্থানান্তরিত করেছেন বলে জানান তিনি। লেখনির মধ্যেমে অত্র সমস্যাগুলো তুলে ধরে ন্যায় বিচার পাওয়ার পথ সুগোম করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। সেইসাথে আসামীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবী জানান।সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আসামীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন
রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পানিহার এলাকায় চলতি বছরের গত ৭জুন মারপিটের ঘটনা ঘটে। এতে পানিহার গ্রামের ওবাইদুল রহমান এর ছেলে হিমেল আহত হন। এবিষয়ে কোর্টে মামলা হয়েছে। বর্তমানে আসামীরা াজমিনে রয়েছে। এ নিয়ে শনিবার বেরা সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশন রাজশাহী শাখা কার্যালয় আহতের বড় ভাই ইমন আলী সংবাদ সম্মেলন করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তারা সাধারণ কৃষিজীবী মানুষ। জমি চাষ করে জীবন নির্বাহ করেন। গত ৭জুন ২০২৪ইং তারিখ শুক্রবার পানিহার এলাকায় নিজ জমিতে চাষাবাদ করার জন্য তিনি ও তার ভাই হিমেল মিলে কাজ করছিলেন। কাজের ফাঁকে বিশ্রাম নেয়ার জন্য পানিহার গ্রামের পূর্ব দিকে পানিহার মৌজা সল্লাপুকুরের দক্ষিণপাড়ে আমবাগানে বসে অবস্থান করাকালে দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে আসামী মিলন অরফে আসাদুজ্জামান(৩০), পিতা-মনিরুজ্জামান ও আসামী মনিরুজ্জামান(৫৫), পিতা-ওয়াহেদ আলী সর্ব সাং- পানিহার, উপজেলা-গোদাগাড়ী, রাজশাহী, একই স্থানে আরাম করার জন্য ঘটনাস্থলে আসেন। আর পূর্ব হতে আরেক আসামী একই এলাকার মৃত-নুর মোহাম্মদ এর ছেলে রহিমমুদ্দীন ঘটনাস্থলে বসে ছিলেন।
হিমেল মনিরনুজ্জামানকে বলেন, দাদা আপনার ছেলেকে দিয়ে কেন তার ছোটভাইয়ে বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিলেন। তিনিতো এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। এই কথা বলায় আসামীরা তার সাথে তর্কে জড়ান এবং মারমুখি আচরন করেন। এক পর্যায়ে তিন ছোট ভাইয়ের হয়ে ক্ষমা চাইলেও তারা ক্ষমা না করে আসামীরা আমরছোট ভাইয়ের হাতে থাকা কোদাল কেড়ে নিয়ে হিমেল এরম মাথায় কোপ দিতে গেলে হিমেল মাথা সড়িয়ে নিলে কোদালের কোপ হিমেল এর বাম পায়ের বুড়া আঙ্গুলে লেগে কেটে যায়। আঙ্গুলটি চামড়ার সাথে লেগে থাকে মাত্র। এ পর্যায়ে তারা চিৎকার শুরু করলে জমিতে কাজ করা অন্যান্য ব্যক্তিরা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হিমেল রামেক হাসপাতালের ৩১নং ওয়ার্ডের ২নং ইউনিটে ৭জুন ২০২৪ হতে ১০জুন ২০২৪ইং তারিখ পর্যন্ত চিকিৎসা নেই।
তিনি আরো উল্লেখ করেন চিকিৎসা শেষে হিমেলকে ১০ জুন ছাড়পত্র দেন ডাক্তার। ছাড়পত্রে স্পস্ট ভাবে আঘাতের কারনে তার ইনজুরি হয়েছে উল্লেখ করলেও, অজানা কারনে ছাড়পত্রের অপর পৃষ্ঠায় দূর্ঘটনা কারনে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে মর্মে উল্লেখ করা হয়। এখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সম্পূর্নভাবে বিবাদী পক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এই মিথ্যা প্রতিবেদ দেন। যা সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। তিনি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এই মিথ্যা প্রতিবেদনের কারনে তারা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার পথে চলে গেছেন । তিনি ঐ ডাক্তারেরও শাস্তির দাবী জানান।
এদিকে মামলার আইও গোদাগাড়ী থানার এস.আই রেজাউল করিমকে (বিপি-৭৬৯৬০৭৩১৮৪, প্রতিবেদন দিতে বললে তিনি ত্রিশ হাজার টাকা দাবী করেন। যার কল রেকর্ড তার নিকট রয়েছে বলে জানান। টাকা না দিলে মামলা ভিন্ন দিকে নিয়ে যাবেন বলে হুমকী দেন। প্রকৃত পক্ষে রেজাউল করিম আসামীদের পক্ষ হতে মোটা অংকের টাকা খেয়ে প্রকৃত প্রতিবেদন না দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুমকী দেন।
ছাড়পত্রে উল্লেখিত মিথ্যা প্রতিবেদন সংশোধন করে দেয়ার জন্য রামেক হাসপাতালের পরিচালক বরাবরে আবেদন করলে পরিচালক আবেদনের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য নির্দেশনা দিলেও অজ্ঞাত কারনে তা আর মেডিকেল থেকে প্রদান না করে আবেদন পত্রটি ফেরত দেন। কিন্তু এটা সংশোধন করার জন্য তার নিকট থেকে ৫০০০টাকাও তারা নেন। এরপরেও তারা ব্যবস্থা নেননি। তিনি এরও বিচার দাবী করছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উল্লেখ করেন বিজ্ঞ বিচারক রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ছাড়পত্রে প্রদানকত মিথ্যা প্রতিবেদন সঠিক করে দেয়া এবং আইও রেজাউল করিমকে আদালতে এসে ব্যাক্ষা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। স্সোথে মামরা পিবিআইতে স্থানান্তরিত করেছেন বলে জানান তিনি। লেখনির মধ্যেমে অত্র সমস্যাগুলো তুলে ধরে ন্যায় বিচার পাওয়ার পথ সুগোম করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। সেইসাথে আসামীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবী জানান।