রাজশাহী ব্যুরো : নগরীর বোসপাড়া, আহাম্মদপুরসহ নগর জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে একটি চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট। এর নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক কাউন্সিলার ও বিএনপি মহানগর কমিটির যুগ্ম আহবায়ক বজলুল হক মন্টু। নগরীর কালু মিস্তিরির মোড় কেন্দ্রিক এই সিন্ডিকেটের সদস্য সংখ্যা অর্ধশত। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এই সিন্ডিকেট।
নিজের বাড়ির কাজ করানোর সময় এ সিন্ডিকেটের বাধার মুখে পড়েন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব ও জিটিভির স্টাফ রিপোর্টার রাশেদ রিপন। গত বৃহস্পতিবার সকালে মন্টু তার বাড়ির মিস্ত্রিরিদের কাজ করতে বাধা দেন। তিনি জানান এই বাড়ির আগের মালিকের ছেলে মাহিনের কাছে তারা তিন লাখ টাকা পাবেন। তাকে হাজির করে সেই টাকা তুলে দিতে হবে। না হলে তারা এখানে কাজ করতে দিবেন না। এসময় তিনি রাশেদ রিপনকে হুমকি দিয়ে বলেন এটা না করলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নিউজ করেছেন এই মর্মে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। এসময় মন্টুর সঙ্গে সিন্ডিকেট সদস্য রজব আলী এবং রাজা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় এখানে উপস্থিত রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান শ্যামল এর তীব্র প্রতিবাদ জানান।
শুক্রবার সকালে রাশেদ রিপনকে মোবাইলে হুমকী দেয় চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের সদস্য মীর সালাউদ্দিন সুলতান রাজা। সে আহাম্মদপুর এলাকার মীর জালালউদ্দিনের ছেলে। এসময় তিনি চাঁদা না দেয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখতে হবে বলে জানান। রিপন কত বড় সাংবাদিক হয়েছেন তা দেখে নেয়া হবে। এ বিষয়ে বোয়ালিয়া থানায় একটি অভিযোগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিএনপির কেন্দ্রিয় কমিটির ত্রাণ ও পূনর্বাসন বিষয়ক সহ সম্পাদক ও সাবেক মহানগর সম্পাদক শফিকুল হক মিলন বলেন, বিএনপি দলগতভাবে এই অপতৎপরতার বিরুদ্ধে। সারাদেশে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এই চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্প্রতি আহাম্মদপুর মসজিদের পাশে একটি বাড়ির নির্মাণ কাজে এই সিন্ডিকেট বাধা দেয়। চাঁদা আদায় করে তাদের নির্মাণ কাজ শুরু করতে দেয়া হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ হেলাল উদ্দিন © সর্বস্বত্ত সংরক্ষিত
Copyright © 2023 স্বাধীন বাংলা নিউজ | তথ্য মন্ত্রনালয় নিবন্ধন নং-১৭৯