ব্রেকিং নিউজ

প্রতিবন্ধী স্বামীর পরিবারকে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি।

মোঃ রেজাউল করিম :
প্রতিবন্ধী স্বামীর পরিবারকে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি। দাবিকৃত টাকা না পাওয়ায় প্রতিবন্ধী স্বামীকে মারধরসহ পরিবারের সকলকে নানাবিধ হয়রানির হুমকি

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জিবনপুর(খরিয়াবাদা)গ্ৰামের সাইদুল ইসলামের পুত্র (ঢাকার জিরাবো স্থানে অবস্থানরত)গার্মেন্টস কর্মী বাকপ্রতিবন্ধী মোঃ রশিদুল ইসলামের নববধূ মোছাঃ সাবিনা বেগম (সাধনা) তার স্বামীর নিকট থেকে বিভিন্ন অযুহাতে টাকা দাবি করে কিন্তু নববধূ দাবিকৃত টাকা না পাওয়ায় প্রতিবন্ধী স্বামীকে মারধরসহ পরিবারের সকলকে নানাবিধ হুমকি ধামকি ও পুলিশি হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে বলে জানা গেছে।

সরেজমিনে জানা গেছে, সাইদুল ইসলাম স্ত্রী সন্তানসহ পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার জিরাবো নামক স্থানে গার্মেন্টসের চাকরির সুবাদে থাকেন। সেখানে তার গার্মেন্টসে কর্মরত বাক প্রতিবন্ধী প্রাপ্ত বয়স্ক বিবাহ যোগ্য পুত্র সন্তান থাকায় তার জন্য বিভিন্ন জায়গায় পাত্রী খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের মহিচরণ (মাদারিপাড়া)গ্ৰামের আঃ ছাত্তারের কন্যা মোছাঃ সাবিনা বেগম (সাধনার) সঙ্গে কলেজ ষ্টেশন কথিত বুছু ঘটকের মাধ্যমে বাক প্রতিবন্ধী মোঃ রশিদুল হকের ১৯/০৪/২০২৪ ইং তারিখে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে নববধূ মোছাঃ সাবিনা বেগম (সাধনা) কে সাথে নিয়ে ২০/০৪/২০২৪ ইং তারিখে মোঃ সাইদুল ইসলাম তার পরিবারসহ ঢাকার জিরাবো স্থানে আসেন।

বাক প্রতিবন্ধী মোঃ রশিদুল হক নববধূ মোছাঃ সাবিনা বেগম (সাধনা) কে পরিবারসহ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার একপর্যায়ে ১৬/১৭ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর শুরু হয় নববধূ মোছাঃ সাবিনা বেগম (সাধনা) অযৌক্তিক ভাবে নানা কারণে বাকপ্রতিবন্ধী স্বামীর নিকট টাকা দাবি । স্বামী তার দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করায় নববধূ তার প্রতিবন্ধী স্বামীকে মারধর করে তার শ্বাশুড়ির সঙ্গে কারণে অকারণে নানাবিধ মামলার হুমকি ধামকিসহ ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি করে পরিবারের মধ্যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে আসছে। এবিষয়ে নববধূ মোছাঃ সাবিনা বেগম (সাধনার) গ্ৰামের বাড়িতে তার বাবা মায়ের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনারা ঢাকার নবিনগর ধামরাইয়ে অবস্থানরত এক চাচা-চাচীর কথা বলে তিনারা মুঠোফোনে নববধূর শ্বশুর -শ্বাশুড়ীর সাথে কথা বলে বলেন, তারা জিরাবো নববধূ মোছাঃ সাবিনা বেগম (সাধনা) কে দেখার জন্য আসবেন না এবং নববধূ মোছাঃ সাবিনা বেগম (সাধনা) নাকি খুব খারাপ প্রকৃতির মেয়ে এর আগেও এই মেয়ে এরকম অপৃতিকর ঘটনা ঘটিয়েছে এরকম খারাপ প্রকৃতির মেয়ের কোন দায় দায়িত্ব তারা নিতে পারবেন না বলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করার জন্য নিষেধ করে দেন। এবিষয়ে পুনরায় নববধূ মোছাঃ সাবিনা বেগম (সাধনা)’র বাবা মায়ের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনারা তার গার্ডিয়ান হিসাবে নারুয়ামালা ইউনিয়নের সাবেক মহিলা মেম্বার মনোয়ারা বেগম কে দেখিয়ে দেন। এবিষয়ে মনোয়ারার স্বামী মোঃ মুসার সঙ্গে দেখা করলে তিনি বলেন, এই মেয়েকে শাসন করে কোন লাভ হবে না পূর্বে থেকেই এই মেয়ে উশৃঙ্খল আলোচনা সাপেক্ষে এর একটা বিহিত করেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, নববধূ মোছাঃ সাবিনা বেগম (সাধনা)’র পরিবার সাবেক মহিলা মেম্বার মনোয়ারা বেগমের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। ইতিপূর্বেও একাধিকবার এই নববধূ মোছাঃ সাবিনা বেগম (সাধনা)’র বিবাহ হয় এবং এই মহিলা মেম্বার মনোয়ারা বেগমের নেতৃত্বে সেই পরিবারের গুলোতে এই নববধূ মোছাঃ সাবিনা বেগম (সাধনা) তাদেরকে ও মামলা হামলাসহ বিভিন্ন হয়রানি করে তাদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু এলাকাবাসী আমাদের প্রতিনিধিকে জানান। এলাকাবাসী আরও বলেন, এই মহিলা মেম্বার মনোয়ারা বেগমের নেতৃত্বে তার অনৈতিক ক্ষমতা দেখিয়ে এই মোছাঃ সাবিনা বেগম (সাধনা) মেয়েটা এলাকার ছেলেদের নষ্ট করছে এবং বিভিন্ন ভাবে ছেলের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা করে। বর্তমানে যে পরিবারে মোছাঃ সাবিনা বেগম (সাধনা)’র বিয়ে হয়েছে সে পরিবারের নিকট থেকেও এই মহিলা মেম্বার মনোয়ারা বেগমের নেতৃত্বেই মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা করছে। এরা এই মেয়েকে বিয়ে দেওয়া নামে মোটা অংকের দেনমোহরানা করে বিয়ে সম্পন্ন করে এবং কয়েক দিনের মধ্যেই ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি করে সেই পরিবারের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।এই পরিবার এটা একপর্যায়ে পেশাদারিত্বে পরিনত করে এলাকার ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।

এবিষয়ে নববধূ মোছাঃ সাবিনা বেগম (সাধনা)কে জিঞ্জাসা করলে তিনি বলেন, আমার কোন ভাই নাই।বাবা তাবলীগ জামাতের সাথে থাকে। তিনি সব সময় বাড়িতে থাকেন না।আমাদের পরিবারের গার্ডিয়ান আমার খালা মনোয়ারা বেগম তার কথাতেই সব কিছু ঠিক হয়। তিনি এখানে পুলিশ পাঠিয়ে আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাবেন মর্মে নানাবিধ হুমকি ধামকি দিয়ে থাকেন। এবং তিনি এখানে আর সংসার জীবন যাপন করবেন না তাকে দেনমোহরানার টাকা বুঝিয়ে দিলেই এখান থেকে বাবার বাড়ি চলে যাবেন। তা নাহলে তিনি নারী নির্যাতনের মামলা সহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে আমাদের প্রতিনিধির নিকট নববধূ মোছাঃ সাবিনা বেগম (সাধনা) এসব কথা বলেন।

এবিষয়ে বাক প্রতিবন্ধী মোঃ রশিদুল ইসলামের বাবা মাকে জিজ্ঞেস করলে তিনারা বলেন, ঘটকের অদৃশ্য শক্তির কাছে হার মেনে কোন কিছু বোঝা পরামর্শ করার সুযোগ না দিয়ে সকল তথ্য গোপন এই সুকৌশলে আমার বাকপ্রতিবন্ধী ছেলের সঙ্গে এই বিয়ে সম্পন্ন করে আমাদেরকে ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে। এই মেয়ের পূর্বেও একাধিকবার বিয়ে হয়েছিল এবং তাদের নিকট থেকেও মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কিন্তু আমাদের কে এসব বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি জানার সুযোগ ও দেই নি।আমরা এই মেয়ের পরিবারের নিকট থেকে কোন যৌতুক নেই নি। কিন্তু জোরপূর্বক মোটা অংকের দেনমোহরানার কাবিননামায় তুলে সেই টাকার জন্য বারবার দাবি করছে। অন্যথায় নারী নির্যাতনের মামলা সহ নানা বিধ হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আমরা গরীব মানুষ এতো টাকা দেওয়ার সামর্থ আমাদের নেই। বিষয়টি সমাধানের জন্য আমারা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নববধূ মোছাঃ সাবিনা বেগম (সাধনা) ঢাকার জিরাবো স্থানে অবস্থান করছেন। ২/১ দিনের মধ্যে তার বাবার বাড়ি বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের মহিচরণ (মাদারিপাড়া) গ্ৰামে আসবেন বলে তাদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবন্ধী পরিবারকে অনৈতিক ভাবে মিথ্যা মামলা ও নানাবিধ হয়রানি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকার সচেতন মহল।

Leave A Reply

Your email address will not be published.