ব্রেকিং নিউজ

মহেশপুরে বয়স্ক ভাতার টাকা আত্মসাৎ,ইউপি সদস্যের ছেলের নম্বরে ঢোকে অন্যের ভাতার টাকা

শামীম খান জনী,ঝিনাইদহ ।
শারীরিক অসুস্থ্য আলী আহম্মদ আশায় আছে বয়স্ক ভাতার টাকা পেলে ওষধ কিনতে খরচ করবে। কিন্তুু দেড় বছর পার হয়ে গেলেও তার নাম্বারে কোন টাকা ঢোকে না। কারণ জানতে একাধিকবার ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউপি সদস্যের কাছে গিয়েও কোন লাভ হয়নি। পরে জানতে পারেন তার বয়স্ক ভাতার টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করছেন ইউপি সদস্য আজিজুর রহমান। এমন ঘটনা ঘটেছে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের গাড়াপোতা গ্রামে।
সরজমিনে ও অভিযোগ সূত্রে জানায়ায়, ভাতার কার্ডে আলী আহম্মদের নাম থাকলেও কৌশলে আলী আহম্মদের নম্বরের জায়গায় নিজের ছেলের নম্বর দিয়েছেন ওই ইউপি সদস্য। যে কারণে কার্ড প্রাপ্তির দেড় বছরের সকল টাকা ঢুকেছে ছেলের নগদ নম্বরে। এদিকে নিজের নম্বরে কোন টাকা না আসায় মহেশপুর সমাজ সেবা অফিসে গিয়ে জানতে পারেন তার নম্বরের জায়গায় ইউপি সদস্যের ছেলে আসাদুজ্জামানের নম্বর দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে আরো অনেক কার্ডে ভুক্তভোগীর নম্বরের জায়গায় নিজের পরিবারের লোকজনের নম্বর দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। গত ১ জুলাই টাকা আতœসাতের বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তোভোগী আলী আহম্মদের ছেলে জাকির হোসেন।
আলী আহম্মদ বলেন, আজিজুর রহমান ইউপি সদস্য নির্বাচিত হবার পর পরই আমার কাছ থেকে ভোটার আইডি কার্ড চেয়ে নিয়ে আমাকে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেন। পরবর্তীতে সবার মোবাইলে টাকা আসলেও আমার মোবাইলে কোন টাকা আসেনি। কারণ জানতে একাধিকবার ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউপি সদস্যের কাছে গিয়েও কোন লাভ হয়নি। যেকারণে স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্যকে নিয়ে উপজেলা সমাজ সেবা অফিসে গিয়ে দেখতে পাই আমার নম্বরের জায়গায় ইউপি সদস্যের ছেলে নম্বর রয়েছে এবং অফিস জানান এতদিন ওই নম্বরেই টাকা ঢুকেছে। বিষয়টি জানা জানি হলে ইউপি সদ্যস্যের ছেলে নম্বর পরিবর্তন করে আমার নম্বর দিয়েছে। তবে নম্বর পরিবর্তন করলেও দেড় বছরে আমি কোন টাকা পাইনি।
ইউপি সদস্য আজিজুর রহমান বলেন, যে কোন কারণ বসত আলী আহম্মদের মোবাইল নম্বরের জায়গায় আমার ছেলে নম্বর হয়ে গিয়েছিলো। পরবর্তীতে মিমাংসার মাধ্যমে ভুক্তোভুগীকে টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।
বাঁশবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা জিন্টু বলেন, বয়স্ক ভাতাভোগীর মোবাই নম্বরের জায়গায় ইউপি সদস্যের ছেলের নাম্বর দেওয়া হয়েছে এটা অসম্ভব। যদি ইউপি সদস্য আজিজুর রহমান এমন কাজ করে থাকেন তাহলে সে অন্যায় করেছে।
সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, যাতে করে কার্ডধারী তার প্রাপ্ত টাকা ফিরে পেতে পারে সেব্যাপারে ইউপি সদস্যকে বলা হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.