গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ইউপি চেয়ারম্যান এর বিভিন্ন অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ করায় হত্যার হুমকি:
(মোঃ রেজাউল করিম) গাইবান্ধা প্রতিনিধি।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ৯ নং হরিনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কবির হোসাইন জাহাঙ্গীরের বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিক রাব্বি মিয়াকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গত ২৩/৬/২০২৩ ইং সন্ধ্যা অনুমান ৭.০০ ঘটিকায় অতি দরিদ্রদের জন্যে ১২০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পে নিযুক্ত প্রতিটি গ্রুপের লেবার সর্দারদের ইউপি কার্যালয়ে ডেকে নেন চেয়ারম্যান কবির হোসাইন জাহাঙ্গীর।
তিনি লেবার সর্দারদের জানান আগামী প্রকল্পে যদি কাজ করতে চান তবে প্রত্যেক লেবার প্রতি ১০ হাজার টাকা করে দিতে হবে, অন্যথায় তাদের নাম কর্তন পূর্বক নতুন করে যারা টাকা দেবে তাদের নিযুক্ত করা হবে।
এরই ধারাবাহিকতায় লেবার সর্দারগণ নিজ নিজ ওয়ার্ডে সকল লেবারদের ডেকে নিয়ে চেয়ারম্যান এর দাবির বিষয়ে জানালে লেবাররা এই প্রস্তাব শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে সাংবাদিকের শরণাপন্ন হয়।
সাংবাদিক মোঃ রাব্বি মিয়া সরকার অভিযোগকারী লেবারদের ভিডিও সাক্ষাৎকার নিয়ে সে বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করলে ২৬ জুন সকাল ১০ ঘটিকায় চেয়ারম্যান ক্ষুব্ধ হয়ে ৯ নং হরিনাথপুর ইউনিয়নের লিচুর ভিটা নামক স্থানে সাংবাদিক রাব্বী মিয়াকে ডেকে প্রকাশ্য জন সম্মুখে বলেন, যে আমার বিরুদ্ধে লেখালেখি করলে জীবনের মায়া ত্যাগ করবি,তোরা মাঝে মাঝেই আমার বিরুদ্ধে লেখালেখি করিস। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে তোদের অস্তিত্ব রাখবো না বলে হুমকি দেন।
উল্লেখ্য,উক্ত চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে বিগত দিনে ভিজিএফের চাল বিতরনে অনিয়মের অভিযোগ আছে।এবং বর্তমানে ভিজিডির চাল তুলে নিয়ে আসার পর বিতরনের করার আগেই 30বস্তা চালবিক্রি করেছেন যার ভিডিওসহ সাক্ষাৎকার নিয়েছে সাংবাদিক রাব্বী মিয়া।
সব মিলিয়ে চেয়ারম্যান কবির হোসাইন জাহাঙ্গীরের অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করার কারণেই চেয়ারম্যান এই হুমকি দেন বলে রাব্বী মিয়া অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান কবির হোসাইন জাহাঙ্গীরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে সাংবাদিক রাব্বি মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,আমি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি চেয়ারম্যানের অনিয়ম দুর্নীতির তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি।
