ব্রেকিং নিউজ

ঝিনাইগাতীতে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের

গোলাম রব্বানী—টিটু:(শেরপুর) প্রতিনিধি : শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতীবান্ধা ইউনিয়নের ঘাগড়া সোনারপাড়া গ্রামে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে বাড়ির পাশে সামান্য খড়ের পালায় নিজেরাই আগুন দিয়ে পুড়িয়ে এবং নাটকীয় ভাবে দোকান ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দিয়েছে জনৈক্য মোছা. লাকী(৫৬) নামে এক নারী। এই নাটকীয় দোকান ভাংচুর ও অগ্নিকান্ডকে পুঁজি করে আদালতে ৯ নারী পুরুষের নামে মিথ্যা মামলা দারেয় করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ওসি ঝিনাইগাতীকে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ প্রদান করেছেন। সরজমিনে পরিদর্শন, এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলে এবং আদালতে দায়ের করা মামলার সুত্রে জানা গেছে, হাতীবান্ধা চক ঘাগড়া গ্রামের মমিজ উদ্দিনের ছেলে মোখলেছুর রহমান ওরফে মোগর আলী গংদের সাথে ঘাগড়া সোনারপাড়া গ্রামের মৃত দুলা মিয়ার ছেলে সেকান্দর আলীর জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে উভয় পরিবারের মধ্যে একাধিক বার মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইতিপূর্বেও মোছা. লাকীর দায়ের করা মামলায় মোখলেছুর রহমান ওরফে মোগর আলী গংরা জেল খেটে জামিনে বের হয়ে আসে। অপরদিকে মোখলেছুর রহমান ওরফে মোগর আলী গংদের দায়ের করা মামলায় বর্তমানে বিবাদী লাকীর বড় ছেলে সেকান্দর আলী জেল হাজতে থাকায় গত ১১ জুন /২০২৩ইং সেকান্দরের জামিন হওয়ার ফলে বিজ্ঞ আদালত সেদিন সেকান্দরকে জামিন না মঞ্জুর করেন।সেকান্দরের জামিন না হওয়ায় তার মা লাকী প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ছোট্র একটি খরের পালায় আগুন লাগিয়ে দেয়। ওই দিন সন্ধ্যায় মোখলেছুর রহমান ওরফে মোগর আলীর বৃদ্ধ মাতা মাহফুজা বেগম (৭০) নালিতাবাড়ী উপজেলার দোহালিয়ায় জামাই বাড়ী থেকে নিজ বাড়ী ফেরার পথে লাকী গংরা তাকে পথরোধ করে আটক করে। খবর পেয়ে স্থানীয় ২ ইউপি সদস্য ও স্থানীয়রা বৃদ্ধা মাহফুজা বেগমকে উদ্ধার করে বাড়ী নিয়ে যায়। ঘটনার দিন আনুমানিক ১ ঘন্টা পরে নিজেদের বাঁচাতে আগুন ও দোকান ভাংচুরের মিথ্যা ঘটনা তৈরী করে লাকী গংরা। সংবাদ পেয়ে ঝিনাইগাতী থানার উপ পরিদর্শক সুমন ও সহকারি উপ পরিদর্শক হরিপদ পাল এবং স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনে প্রকৃত রহস্য বুঝতে পেরে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে অনুরোধ করেন। সেই সাথে দুই পক্ষকে বসে আপোষ মিমাংসারও প্রস্তাব দেন। কিন্তু লাকী আক্তার থানা পুলিশের সরণাপন্ন না হয়ে শেরপুরে আদালতে গিয়ে ৯ নারী পুরুষের নামে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। যাহার সিআর মামলা নং— ১৭০/২০২৩ইং তারিখ—১৪/০৬/২০২৩ইং। এ ব্যাপারে হাতীবান্ধা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য সাখাওয়াত হোসেন ও ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইউসুফ আলী, এলঅকাবাসী ময়দান আলী, সুরুজ আলী, জমশেদ আলী, এ প্রতিনিধিকে জানান, আগুন লাগানো ও দোকান ভাংচুরের ঘটনাটি পুরোটাই মিথ্যা বানোয়াট জমি সংক্রান্তর জের ধরে তাদের সাথে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে। এলাকার শান্তি বিনষ্ট করার জন্য লাকী একের পর এক মিথ্যা মামলা করে আসছে ,সে আমাদের কোন কথাই মানছেনা। এসব ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের দাবী জানান।মোখলেছুর রহমান ওরফে মোগর আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে একের পর এক মিথ্যা ঘটনার চিত্র সাজিয়ে মামলা দিয়ে আমাদেরকে হয়রানী করছে লাকী গংরা। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে সুষ্ট তদন্তের দাবী জানান তিনি। এ ব্যাপারে মোছা. লাকী আক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আমার বাড়িতে প্রবেশ করে আগুন ও দোকানঘর ভাংচুর করেছে তাই আদালতে মামলা দ্বায়ের করেছি ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.