চট্টগ্রামের লোহাগাড়া হতে অপহৃত ১৪ বছরের নাবালিকা মেয়েকে পটিয়া হতে উদ্ধার ও মুক্তিপন আদায় ও হত্যার পরিকল্পনাকারী দুই অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
১। বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
২। অপহৃত ভিকটিম ১৪ বছর বয়সের এবং চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া থানাধীন একটি স্কুলে ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। ভিকটিমের প্রতিবেশী মোঃ তারেকুর রহমান তাকে প্রায় সময়ই স্কুলে আসা যাওয়ার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করত। ভিকটিম তারেকের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় তারেক ভিকটিমকে হুমকি দেয় যে, সে যেকোন সময় তাকে অপহরণ করে নিয়ে যাবে।
৩। পরবর্তীতে গত ১৮ মে ২০২৩ ইং তারিখ সকাল আনুমানিক ১০০০ ঘটিকায় ভিকটিম স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ী হয়ে বের হলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আসামী তারেক এবং তার ৪/৫ জন সহযোগী ভিকটিমকে অপহরণ করে একটি সিএনজি যোগে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিম সময়মত বাসায় না ফেরায় ভিকটিমের বাবা আত্মীয় স্বজনদের বাসাসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-২২, তারিখ-১৯ মে ২০২৩খ্রিঃ, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০(সংশোধিত-২০২০) এর ৭/৩০।
৪। ভিকটিমের বাবা তার মেয়েকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বিষয়টি মানবিকতার সাথে গ্রহণ করতঃ অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী ও ছায়াতদন্ত অব্যহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩০ মে ২০২৩ইং তােিখ র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানাধীন একটি ভাড়া বাসায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। তারেক হোসেন (২৫), পিতা-মৃত আলমগীর, সাং-বরুলিয়া, থানা-পটিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম এবং বর্নিত মামলার ঘটনায় জড়িত ও আশ্রয়দানকারী আসামী ২। মোঃ রহিম বাদশাহ (৪৩), পিতা- মৃত আব্দুল সাত্তার, সাং-বড়লিয়া, থানা-পটিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম’দ্বয়কে গ্রেফতার এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে স¦ীকার করে তারা অসৎ উদ্দেশ্যে নাবালিকা ভিকটিমকে অপহরণ করে বর্ণিত বাসায় আটকে রেখেছিল।
৫। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ আরও জানা যায়, ভিকটিমকে অপহরনের সময় আসামী মোঃ রহিম বাদশাহ মামলার প্রধান আসামী তারেক হোসেন এর সাথে ছিল এবং আসামী মোঃ রহিম বাদশাহ নিজে তাদেরকে কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানাধীন গহীন পাহাড়ের নির্জন বাড়িতে নিয়ে যায়। র্যাব-১৫ আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য উখিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করলে সেখান হতে তারা ভিকটিমকে নিয়ে পালিয়ে চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানাধীন একটি ভাড়া বাসায় চলে আসে। পরবর্তীতে উক্ত চক্রের অন্য সদস্য সহ আসামী মোঃ রহিম বাদশাহ মুক্তিপন দাবি করার পরিকল্পনা করে ও মুক্তিপন না পেলে ভিকটিমকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল।
৬। গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ হেলাল উদ্দিন © সর্বস্বত্ত সংরক্ষিত
Copyright © 2023 স্বাধীন বাংলা নিউজ | তথ্য মন্ত্রনালয় নিবন্ধন নং-১৭৯