ব্রেকিং নিউজ

বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন শান্তির মাধ্যমেই ন্যায়বিচার, সমতা অর্জন করা যায়: সায়মা ওয়াজেদ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্রী ও ন্যাশনাল অ্যাডভাইজারি কমিটি অন অটিজম ও নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডারস- এর চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তিতে বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন একমাত্র শান্তির মাধ্যমেই সততা, ন্যায়বিচার ও সমতা অর্জন করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, ‘আমার নানা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সামাজিক সমতা ও সম্প্রীতি অর্জনে গোটা জীবন এই শান্তির জন্য কাজ করে গেছেন।’

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত দুদিনের বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে আজ ‘পিস থ্রো ইন্টার-ফেইথ ডায়ালগ, কালচার এন্ড হ্যারিটেজ’ শীর্ষক আলোচনায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন সায়মা ওয়াজেদ। খবর বাসসের।

তিনি বলেন, ‘সামাজিক ন্যায়বিচার ও সততা হচ্ছে সবকিছুর ভিত্তি। তিনি (বঙ্গবন্ধু) তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই এটি অনুসরণ করে আসছেন।’

জেনেভায় জাতিসংঘ কার্যালয় ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার ইউনাইটেড ন্যাশন্স ইউনিভার্সিটি ফর পিস-এর স্থায়ী পর্যবেক্ষক ডেভিড ফার্নান্দেজ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে গত শনিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত দু’দিনের এই বিশ্ব শান্তি সম্মেলন উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং বক্তব্য রাখেন। সম্মেলনে ১৬ দফা ঢাকা ঘোষণা গৃহীত হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জেমস গর্ডন ব্রাউনের একটি ভিডিও বার্তা দেখানো হয়।

এছাড়া সমাপনী অনুষ্ঠানে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী গো চক টং, বুলগেরিয়ার রাজনীতিবিদ ও ইউনেস্কোর সাবেক মহাপরিচালক আইরিনা জর্জিয়েভা বোকোভা এবং সিনিয়র ফেলো হোসাইন হাক্কানীও বক্তব্য রাখেন।

জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি-মুন এবং পূর্ব তিমুরের সাবেক প্রেসিডেন্ট জোস রামোস হোর্তাসহ ৫০টি দেশের প্রতিনিধিরা ভার্চুয়ালি ও সশরীরে যুক্ত হয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.