ব্রেকিং নিউজ

বিদ্যুৎয়ান মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা চুরি ও কুইক রেন্টালের নামে কুইক চুরি করছে সরকার-বিএনপি

ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী

বিদ্যুৎতের লোডশেডিং ও দুর্নীতির প্রতিবাদে বিদ্যুৎ অফিসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী (বিএনপি)। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে রাজশাহী জেলা বিএনপির উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় রাজশাহীর নেসকো অফিসের সামনে বিএনপির অংঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেই। বিদ্যুৎ খাতে নজির বিহীন দুর্নীতি হয়েছে। যার কারণে সারাদেশে আজ বিদ্যুতের বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। সরকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেয়ার নামে এখন গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করছে। অবস্থানের পর বিএনপির নেতৃবৃন্দ নেসকোর সচিব সালমা খাতুনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

স্মারকলিপিতে উল্ল্যেখ করা হয়েছে, জৈষ্ঠ্যের তাপদাহে মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে। বিদ্যুৎতের লোডশেডিং এর কারনে মানুষ দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে রয়েছে। চাহিদার তুলনায় ৩০/৩৫ শতাংশ বিদ্যুৎ কম পাচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎয়ান বোর্ড। গ্রাম-গঞ্জের মানুষ ২৪ ঘন্টায় মাত্র ৩-৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছে। মফস্বল শহরগুলোতে রাতে ২ ঘন্টার বেশী বিদ্যুৎ থাকে না। মানুষের বসতবাড়িতে সীমাহীন দুর্ভোগের পাশাপাশি বিদ্যুৎতের অভাবে ক্ষুদ্র, মাঝারী ও বৃহৎ শিল্প-কলকারখানা। উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে ও পর্যায়ক্রমে সেগুলি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। যার কারনে কর্মহীন হবে লক্ষ লক্ষ মানুষ। সরকারের সর্বোচ্চ ব্যক্তিদের আত্মীয় স্বজনকে প্রাইভেট কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ প্রকল্প দেয়া হয়েছে। তাদের বিপুল- অর্থবিত্তের মালিক বানানোর জন্য এই সকল প্রকল্প স্থাপনের সুযোগ দেয়া হয়। যাদের মধ্যে কেউ সিঙ্গাপুরে গিয়ে সর্বোচ্চ ধনীর তালিকায় স্থান পেয়েছে। অথচ জনগণের পকেট কেটে হাজার হাজার কোটি টাকা আদায় করা হচ্ছে কেবলমাত্র এই খাতে ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য।

বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেই ক্যাপাসিটি চার্জের নামে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার উপরে পরিশোধ করা হচ্ছে। এই লুটপাটের পরিণতিই হচ্ছে অভাবনীয় লোডশেডিংয়ের আত্মপ্রকাশ। বর্তমান দুর্বিষহ পরিস্থিতির জন্য বর্তমান সরকারের গণবিরোধী নীতিই দায়ী। বিদ্যুৎ খাতে লুটপাটকে বৈধ করতেই ইনডেমনিটি আইন করা হয়েছে। আ’লীগ সরকার সবসময় বড় গলায় উদ্বৃত্ত বিদ্যুতের কথা বলে এসেছে। পরিবেশ ও মানুষের অস্তিত্বের কথা বিবেচনা না করে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির নামে রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। তাহলে আজ কেন এতো অসহনীয় বিদ্যুৎ বিপর্যয়। প্রকৃত অর্থে সরকারের আমলে বিদ্যুৎ খাতে চলেছে দুর্নীতির মহা তেলেসমাতি।

বিএনপি মনে করে বিদ্যুৎ খাতে লুটপাটের সুযোগ দিয়ে আ’লীগ সরকার ফৌজদারী অপরাধ করেছে। সেজন্য এই রেন্টাল-কুইক রেন্টালের সাথে যারা জড়িত তাদের বিচার হওয়া উচিৎ। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্র এবং নির্বাচনকে বরবাদ করে আমজনতার মৌলিক নাগরিক চাহিদার সমাধানের পথে না গিয়ে মেগা প্রজেক্টের প্রতি অতি আগ্রহের প্রতিফলনই হলো বর্তমান দুর্বিষহ লোডশেডিং। মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা চুরি ও কুইক রেন্টালের নামে কুইক চুরি বর্তমান সরকারের ঘোষিত কর্মসূচি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.