ব্রেকিং নিউজ

বাবার লাশ বাড়িতে রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিল লাবিবা

শামীম খান জনী,ঝিনাইদহ।

ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে স্ট্রোক জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বাবা ফয়জুল হক লাবু (৪০) মারা গেছেন। শোকে বিহŸল ¯^জনেরা নিচ্ছেন লাশ দাফনের প্রস্তুতি। এমন অবস্থায় বাবার লাশ বাড়িতে রেখে লাবিবা নামের এক শি¶ার্থীকে এসএসসি পরী¶ায় অংশ নিতে হলো।
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ¯^রুপপুর ইউপির কুসুমপুরে আজ বুধবার এ ঘটনা ঘটে। লাবিবা দত্তনগর এস এম ফার্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়েন শি¶ার্থী।
লাবিবার পরিবার ও স্থানীয় লোকজন জানান, কুসুমপুর গ্রামের মৃত দিদার বক্রের ছেলে ফয়জুল হক লাবু। তাঁর মেয়ে লাবিবা আজ এসএসসি পরী¶ার ইংরেজী প্রথম পত্র পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। স্টোক জনতি কারণে ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে গতরাতে ফয়জুল হক লাবুর মৃত্যু হয়। বাড়ি জুড়ে শোকের আবহ,চলছে লাশ দাফনের প্রস্তুতি। বাবার মৃত্যুর পর লাবিবা ভেঙে পড়লেও ¯^জনদের কথায় এসএসসি পরী¶ার কেন্দ্রে পরী¶া দিতে যায় সে।
দত্তনগর এসএম ফার্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহাবুব হুসাইন বলেন,লাবিবা আমার স্কুলের খুবি ভালো ছাত্রী ‘বাবাকে হারানো যে কারও জন্য খুবই কষ্টদায়ক। তারপরও এসএসসি পরী¶ার্থী লাবিবা বাবা হারানোর কষ্ট নিয়ে পরী¶ায় অংশ নিয়েছে। আমরাও তার পরী¶ার সময় যতটা সম্ভব পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।
পরী¶া শেষে লাবিবা বলল,‘বাবা আমাকে অনেক ভালোবাসতেন। বাবা চাইতেন আমি যেন পড়ালেখা করে অনেক বড় হই। তাই এমন অবস্থায়ও আমি পরী¶ায় অংশ নিয়েছি। বাবার আত্মাকে আমি কষ্ট দিতে চাই না।’
মহেশপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রসচিব রঞ্জন কুমার বলেন, লাবিবা ২০৪ নং রুমে ¯^াভাবিক ভাবেই পরীক্ষা দিচ্ছে।‘লাবিবার বাবার মৃত্যুর বিষয়টি আমরা সকালেই জানতে পেরেছিলাম। সবার সঙ্গে বসে পরী¶া দিলে তার জন্য ভালো হবে ভেবে তার জন্য বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমরা চেয়েছিলাম সে সবার সঙ্গে ¯^াভাবিকভাবেই পরী¶া দিক। সে এক হাতে রুমাল দিয়ে বারবার চোখ মুছছিল। আর অন্য হাতে পরী¶ার খাতায় লিখেছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.