ব্রেকিং নিউজ

ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করলেন অধ্যক্ষ গোলাম মাওলা

স্টাফ রিপোর্টার : শহীদ মামুন মাহমুদ পুলিশ লাইনস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মাওলা বিগত কয়েক মাস থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিতর্কীত হয়ে আসছেন। এবার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রকে বিনা দোষে বেধরক পিটিয়ে পুনরায় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে ৮ জুন দুপুরে টিফিনের বিরতির সময়।
৬ ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র সারোয়ার হাসানের পিতা সাইদ হাসান এ বিষয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করে। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন তার ছেলে সারোয়ার হাসান বাসায় ফেরার কিছু সময় পরে জ্বরে আক্রান্ত হয়। তখন তিনি লক্ষ করে দেখেন ছেলের হাতে আঘাতের দাগ। এরপর ভালো করে দেখেন পুরো শরীর বেশ কয়েক জায়গায় মারার আঘাতের দাগ। এমন দাগের কথা তার ছেলেকে জানতে চাইলে তার ছেলে সারোয়ার হাসান কান্নায় ভেঙ্গে পরেন, এবং বলেন স্যার তাকে মেরেছে। কেনো মেরেছে জানতে চাইলে তার ছেলে সারোয়ার হাসান সঠিক কারন বলতে পারেনি। তবে তিনি পরে জানতে পারে তার ছেলে টিফিনের বিরতির সময় অক্ষর মেলানো খেলছিলো তখন অধ্যক্ষ গোলাম মাওলা স্যারকে কোন এক ছাত্র বলে সারোয়ার মেয়েদের নাম লিখছে এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অধ্যক্ষ গোলাম মাওলা স্যার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিশু ছাত্র সারোয়ার হাসান কে বেধরক পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালশিরা দাগ করে দেন। ছাত্র সারোয়ার হাসানের পিতা ৯ তারিখ রবিবার বেলা ১২ টায় রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ছেলেকে বাসায় নিয়ে যায়।
ছাত্রের পিতা গণমাধ্যমকে জানান আমার ছেলে বেয়াদবি করলে শাসন করার অধিকার শিক্ষকের আছে খুব খারাপ কিছু করলে অভিবাবকে ডেকে জানাতে পারতো বা স্কুল থেকে টিসি দিয়ে দিতো কিন্তু এভাবে পিটিয়ে আহত করার কোন মানে হয়? আমার ছেলে ভয়ে আতংকিত সে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত।
তিনি আরো জানান আমি অধ্যক্ষ গোলাম মাওলার বিরুদ্ধে পুলিশ কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি এবং জেলা পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করে বিস্তারিত জানিয়েছি। পুলিশ সুপার জানিয়েছে তিনি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন।
এ বিষয়ে পুলিশ লাইনস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মাওলার সাথে জানতে চাইলে তিনি ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে এবং ছাত্রকে এভাবে মারাটা তার উচিত হয়নি বলেও স্বীকার করে। তিনি আরও বলেন আমার মানসিক অবস্থা তখন ভালো ছিলোনা হটকরে এভাবে ছেলেটাকে মারবো এটা আমি নিজেও বুঝতে পারিনি। আমার নিজেকে খুব খারাপ লাগছে। আমি আমার শিক্ষকদের পাঠিয়েছি ছাত্রটার খোঁজ খবর নিতে। তার সুচিকিৎসার যাবতীয় দ্বায়িত্ব পালন করার কথাও বলেন অধ্যক্ষ গোলাম মাওলা। তিনি এমন ঘটনার জন্য দু:খ প্রকাশও করেন।
শহীদ মামুন মাহমুদ পুলিশ লাইনস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মাওলা বিগত কিছু দিন থেকে বিভিন্ন কর্মকান্ডের জন্য বিতর্কীত হচ্ছেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.