ব্রেকিং নিউজ

টাঙ্গাইলে একাধিক মামলার পলাতক আসামি মোঃ রাজীব খানকে গ্রেফতারের দাবি। আসামি বহাল তবিয়তে

টাঙ্গাইলে একাধিক মামলার পলাতক আসামি মোঃ রাজীব খানকে গ্রেফতারের দাবি। আসামি বহাল তবিয়তে

মোঃ রেজাউল করিমঃ

টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার একাধিক মামলার পলাতক আসামি মোঃ রাজীব খান কে গ্রেপ্তার না করায় ভূক্তভোগীসহ সচেতন এলাকাবাসীর ক্ষোভ প্রকাশ।

টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার মৃত আবু মিয়ার পুত্র মোঃ তুহিন খান একজন শান্তিপূর্ণ ব্যবসায়ী মানুষ। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ শিবনাথ স্কুল মার্কেট, পুরাতন বাস স্ট্যান্ড,ঢাকা রোড টাঙ্গাইলের বাংলাদেশ অটো সেন্টারের স্বত্বাধিকারী ছিলেন।
সততা ও নিষ্ঠায় ব্যবসার সুপরিসর ঘটলে ব্যবসার সুবাদে মোঃ রাজীব খান পিতাঃ মনির হোসেন খান, গ্রামঃ কুমিল্লী নামদার খান পাড়া, পোঃ করোটিয়া, থানাঃ টাঙ্গাইল সদর, টাঙ্গাইল কে উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। কিছুদিন পরে তুহিন খান রাজীব খানের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধির জন্য রাজীব খানের নিকট থেকে সামান্য পরিমাণ টাকা নিয়ে তাকে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের পার্টনারশীপ হিসেবে আত্ম মর্যাদা দেন। কিন্তু কিছু দিন পর প্রতারক রাজীব খান তুহিন খানের সরলতাকে কাজে লাগিয়ে শুকৌশলে গোপনে তুহিন খানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে তার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে রাজীব খান তুহিন খানকে ব্যবসার হিসাব বুঝিয়া না দিয়ে তালবাহানা শুরু করেন। এক পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যে আলোচনা সৃষ্টি হলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ রাজীব খানকে তুহিন খানের ব্যবসার হিসাব বুঝে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে সালিশের আয়োজন করেন। কিন্তু প্রতারক রাজীব খান এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কোন কথা কর্নপাত না করায় এলাকাবাসী তুহিন খানকে একটি সালিশ নামা লিখে দেন এবং তাকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার জন্য সহযোগিতা করেন। তখন তুহিন খান টাঙ্গাইল সদর থানায় রাজিব খানের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন, যার নম্বর- ১২৫২ তারিখ- ২০/০৮/২০১৯। এতেও রাজিব খান বিষয়টি তুহিন খানের সঙ্গে সমাধান না করে তিনি তুহিন খানকে আরো হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি দেওয়ায় ১২/১২/২০২৯ ইং তারিখে তুহিন খান রাজীব খান কে একটি লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন। ইহাতে রাজিব খান আর ও ক্ষিপ্ত হয়ে তুহিন খানকে বিভিন্ন ধরনের ভয় ভীতি ও প্রাণ নাশেসের হুমকি দেন। এতে তুহিন খান রাজীব খানের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত টাঙ্গাইল সদর থানা টাঙ্গাইলে ৪০৬/৪২০/৫০৬ ধারায় সি আর মামলা নং ৩২/২০২০ দায়ের করেন। উক্ত মামলায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে জানা গেছে, রাজীব খান এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়ে প্রকাশ্যে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছেন। টাঙ্গাইল সদর থানা সূত্রে আরও জানা গেছে, রাজীব খানের বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু মামলা রয়েছে, যার একটিতেও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়ে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দেধারছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছেন। থানা তথ্য অনুযায়ী মামলা গুলো হলো- সি আর মামলা নং ১৪৬৪/২৩ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত জামালপুর, দায়রা-৫৬৩/২০,সি আর -১২০৩/১৯ যুগ্ন দায়রা জজ ১ম আদালত টাঙ্গাইল, সি আর-১৫৩/২১ যুগ্ন দায়রা জজ ১ম আদালত টাঙ্গাইল, দায়রা ১১৪১/১৯,সি আর -১১১২/১৮ যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালত টাঙ্গাইল, দায়রা -৮০৪/২০২০,সি আর – ৯৩৩/১৯ যুগ্ন দায়রা জজ ৪র্থ আদালত টাঙ্গাইল।
এই প্রতারক রাজীব খানের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন আদালতে আরো মামলা আছে বলে জানিয়েছেন, রাজীব খানের নিকট প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগী নাহিদুজ্জামান খান।

সচেতন এলাকাবাসী জানান, রাজীব খান এলাকার লোকজনের নিকট থেকে
ব্যবসার প্রলোভন দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাদেরকে নিঃস্ব ও সর্বস্বান্ত করেছে এবং দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সিএনজি শোরুম দেখিয়ে সেসব এলাকা থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গরিব অসহায় মানুষকে সর্ব শান্ত করে দেশে বেকারত্বের সৃষ্টি করছে এবং ব্যবসার প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস নষ্ট করে বেকার যুবকদের বিপদে ফেলেছে।
তারা আরোও জানায় দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতারণার সকল অর্থ রাজীব খান তার ভগ্নিপতি পরিচয় দানকারী মোঃ ইব্রাহিম খান অনিককে টাঙ্গাইলে একটি লোক দেখানো সিএনজি শোরুমের ম্যানেজার নিয়োগ দিয়ে তার অঢেল অবৈধ সম্পত্তি রক্ষা করছেন। আরও জানা যায়, এই মোঃ ইব্রাহিম খান অনিককের দ্বারাই সকলকে ম্যানেজ করে এই অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে এবং এই অনিকের মাধ্যমে রাজিব খান এলাকায় কিশোর গ্যাং ও ক্যাডার সৃষ্টি করে রাম রাজত্ব কায়েম করার পাঁয়তারা করছেন। রাজীব খান এলাকায় শত অন্যায় করলেও তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পাচ্ছে না রাজীব খানের বিরুদ্ধে কথা বললেই তাকে মামলা হামলা ও বিভিন্ন হয়রানি শিকার হতে হচ্ছে।

এবিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সচেতন এলাকাবাসীর জিজ্ঞাসা- কে এই রাজিব খান? এর খুটির জোর কোথায়? কোন ক্ষমতার বলে কার আশ্রয় প্রশ্রয়ে একাধিক মামলার আসামি হয়েও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালিয়ে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ছেন?
সচেতন এলাকাবাসী ও রাজীব খানের নিকট প্রতারিত হওয়া ভুক্তভোগীগণের দাবি রাজিব খানের নামধারী ভগ্নিপতি মোঃ ইব্রাহিম খান অনিক ও রাজীব খানের বাবা মোঃ মনির হোসেন খান কে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই রাজীব খানের বিষয়ে সকল তথ্য পাওয়া যাবে বলে তাদের প্রত্যাশা ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.