ব্রেকিং নিউজ

ঝিনাইগাতীতে কুইচা মাছের কদর থাকলেও খালবিলে মিলছে না মাছ

গোলাম রব্বানী—টিটু:(শেরপুর)প্রতিনিধিঃ
শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলায় দিন,দিন কুইচা মাছের কদর থাকলেও খালবিলে মিলছে না মাছটি ফলে বেড়েই চলছে এর কদর। এই উপজেলায় মহারশী নদী,গজারী মারা বিল,ধলী বিল,কাইয়ামারা বিল,কাটাখালী বিল ও পাহাড়ের বিভিন্ন ঝর্ণার সুরঙ্গে রাত পোহালেই উপজাতি সম্প্রদায়ের লোকেরা কুইচা মাছ শিকারের জন্যে ঘর থেকে বাহির হয়ে যায়। রোদকে উপেক্ষা করে সারা দিন প্রতি জন ৩ থেকে ৪ কেজি কুইচা মাছ শিকার করে নিয়ে আসে বাজারের আড়তে বিক্রির উদ্দেশ্যে । তাতে ৯শ থেকে ১২শ টাকা আয় করে গারো ,কোচ,হাজংরা আনন্দে উল্লাসে বাড়িতে ফিরে যায়। ১৫ বছর আগেও এই মাছের কোন কদর ছিল না । মাছ বাজারে কুইচা মাছ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। আড়তদার সুরুজ্জামান জানায় আমি প্রথম দিকে কুইচা মাছ ক্রয় করেছি প্রতি পিস বড়টা ১০ ছোটটা ৫ টাকা করে, পরে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় কেজি দরে । আস্তে আস্তে এর কদর বেড়ে যাওয়ার ফলে হু—হু করে দাম বৃদ্ধি হতে থাকে বলে এখন ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছি। ঢাকায় এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, স্থানীয় ভাবেও খিছু লোক কুইচা মাছ ক্ষেতে ভালোবাসে। হেলাল,বিল্লাল প্রতিদিন কুইচা মাছ ক্রয়ের জন্যে মেন রোডে সন্ধ্যার আগ মুহুর্তে মাপযন্ত্রপাতি সহ বসে পড়ে ৩০ থেকে ৪০ কেজি মাছ সংগ্রহ করে ঢাকায় নিয়ে যায় বিক্রির উদ্দেশ্যে তারাও এখন মাছ না পাওয়ার ফলে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। তারা আরো জানায়, বর্তমানে ৩০০টাকা কেজিতে এই মাছ আমাদের ক্রয় করতে হয় ঢাকায় যাওয়া আসা পরিবহন খরচ সহ ৩৫০ টাকায় পরে যায়। তাতে সামান্ন লাভ হয় তা দিয়ে ১০/১২ বছর যাবত কুইচা মাছের ব্যাবসা করে সংসার চালিয়ে আসছি এখন ব্যবসা বন্ধ। তারা আরো জানায়,এই কুইচা মাছকে বিদেশী লোকেরা বেশী পছন্দ করে ফলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হয়ে থাকে বলে এর কদর বেড়েই চলছে। এখন এই কুইচা মাছ না পাওয়ার ফলে ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে অন্য ব্যবসায় জড়িত হয়ে গেছে তারা । হাঠাৎ কিছু মাছের দেখা মিললেও তা খাবারের জন্যে উপজাতিরা ক্রয় করে থাকে মাছটি আস্তে আস্তে বিলুপ্তি হতে যাচ্ছে । উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি হারুন অর রশিদ বলেন এক সময় বাণিজ্যিক ভাবে এই মাছের চাষ হতো এখন তা আর চোখে পড়ে না ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.