রাজশাহী ব্যুরো : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাহিন সরকার বলেছেন, আন্দোলনের সময় পরিচয় না পাওয়া শহীদদের নাম দ্রুত সময়ের মধ্যে লিপিবদ্ধ করতে হবে। বিশেষজ্ঞ টিমের মাধ্যমে ফিল্ডওয়ার্ক করে পরিচয় না পাওয়া শহীদদের তথ্য বের করতে হবে। তা না হলে আমাদের এ আন্দোলন, বিপ্লবের ইতিহাস মুছে যেতে সময় লাগবে না।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে জেলার শহীদ ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের উদ্দেশে তিনি বলেন, রাজশাহীতে দুইজন শহীদের পরিবার আছে। তাদের আমি ভাগ্যবান বলতে চাই। এটি শুনতে খারাপ লাগলেও সত্য কথা। অসখ্য মরদেহ এখনো পাওয়া যায়নি। আর কোনোদিন পাওয়া যাবে কিনা তাও অনিশ্চিত। টিএসটিতে আমাদের কাছে কিছু পরিবার আসেন তাদের হারানো সদস্যদের খুঁজে দেওয়ার দাবিতে। তারা প্রতিটি মর্গে মর্গে ঘুরেছেন কিন্তু কোথাও স্বজনের মরদেহ পাননি।
তিনি বলেন, আন্দোলনের সময় উত্তরার একটি বড় হাসপাতালে ঢুকে জানতে পারি সেখানে ৩২ জন শহীদের মরদেহ এসেছে। কিন্তু হাসপাতালে রেজিস্ট্রি করা আছে ১১ জনের নাম। এখন প্রশ্ন হলো- বাকি ২১ জনের মরদেহ কোথায়? যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করেছে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক কুররাতুল আইন কানিজ, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মেহেদীসহ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, বিইউপি, এনএসইউ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৩২ জন সমন্বয়ক। এছাড়া রাজশাহী জেলার আন্দোলনে আহত ১২০ জন আন্দোলনকারী এবং রাজশাহীতে শহীদ দুইজনের পরিবারের সদস্যরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট রাজশাহীর ছাত্র আন্দোলনে নিহত আলী রায়হানের কবর জিয়ারত করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের প্রতিনিধি দল। পরে তার পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারা। পরে এদিন দুপুরে নগরীর টিকাপাড়া কবরস্থানে শহীদ সাকিব আঞ্জুমের কবর জিয়ারত করেন তারা। তালাইমারীতে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে বিকেল ৪টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের খোঁজ খবর নেন তারা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ হেলাল উদ্দিন © সর্বস্বত্ত সংরক্ষিত
Copyright © 2023 স্বাধীন বাংলা নিউজ | তথ্য মন্ত্রনালয় নিবন্ধন নং-১৭৯