ব্রেকিং নিউজ

শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে ছাত্রদের এক দফা

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেছে কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা মোর্চা-বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

আজ শনিবার এক দফা দাবি ঘোষণা করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মন্ত্রিসভার সব সদস্যের পদত্যাগ দাবিতে আগামীকাল রোববার সারা দেশে সর্বাত্মক অসহযোগ শুরু হবে বলেও সমাবেশ থেকে ঘোষণা দেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।

অসহযোগ আন্দোলন সফল করতে ছাত্র-জনতার উদ্দেশ্যে নির্দেশনা পাঠ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।

নির্দেশনাগুলো হলো—

১ / কেউ কোনো ধরণের ট্যাক্স বা খাজনা প্রদান করবেন না।
২ / বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানির বিলসহ কোনো ধরণের বিল পরিশোধ করবেন না।
৩ / সকল ধরণের সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত ও কল কারখানা বন্ধ থাকবে। আপনারা কেউ অফিসে যাবেন না, মাস শেষে বেতন তুলবেন।
৪ / শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
৫ / প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে কোনো ধরণের রেমিটেন্স দেশে পাঠাবেন না।
৬ / সকল ধরণের সরকারি সভা, সেমিনার, আয়োজন বর্জন করবেন।
৭ / বন্দরের কর্মীরা কাজে যোগ দিবেন না! কোনো ধরণের পণ্য খালাস করবেন না।
৮ / দেশের কোনো কলকারখানা চলবেনা, গার্মেন্টসকর্মী ভাই বোনেরা কাজে যাবেন না!
৯ / গণপরিবহন বন্ধ থাকবে, শ্রমিকরা কেউ কাজে যাবেন না।
১০ / জরুরি ব্যাক্তিগত লেনদেনের জন্য প্রতি সপ্তাহের রবিবারে ব্যাংকগুলো খোলা থাকবে।
১১ / পুলিশ সদস্যরা রুটিন ডিউটি ব্যাতিত কোনো ধরণের প্রটোকল ডিউটি, রায়ট ডিউটি ও প্রটেস্ট ডিউটিতে যাবেন না। শুধুমাত্র থানাপুলিশ নিয়মিত থানার রুটিন ওয়ার্ক করবে।

১২ / দেশ থেকে যেন একটি টাকাও পাচার না হয়, সকল অফশোর ট্রান্জেকশন বন্ধ থাকবে।
১৩ / বিজিবি ও নৌবাহিনী ব্যাতিত অন্যান্য বাহিনী ক্যান্টনমেন্টের বাইরে ডিউটি পালন করবে না। বিজিবি ও নৌবাহিনী ব্যারাক ও কোস্টাল এলাকায় থাকবে।
১৪ / আমলারা সচিবালয়ে যাবেন না, ডিসি বা উপজেলা কর্মকর্তারা নিজ নিজ কার্যালয়ে যাবেন না।
১৫ / বিলাস দ্রব্যের দোকান, শো রুম, বিপনী-বিতান, হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকবে।

এছাড়া আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, হাসপাতাল, ফার্মেসি, জরুরি পরিবহন সেবা যেমন—ঔষধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পরিবহণ, অ্যাম্বুলেন্স সেবা, ফায়ার সার্ভিস, গণমাধ্যম, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য পরিবহণ, জরুরি ইন্টারনেট সেবা, জরুরি ত্রাণ সহায়তা এবং এই খাতে কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিবহণ সেবা চালু থাকবে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানপাট বেলা ১১-১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শহীদ মিনার এলাকা ছাড়াও আশপাশে লোকে লোকারণ্য ছিলো। এ সময় ছাত্রদের পাশাপাশি অভিভাবক ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.