বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি/
বরিশালের বাকেরগঞ্জে একদা অনুন্নত পৌরসভা থেকে প্রথম শ্রেনীর পৌর সভায় রুপদানের রুপকার পৌরসভার মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়ার বিরুদ্ধে শ্রীমন্ত নদী দখল, সরকারি জেলখানার খাল দখল ও পৌর বাস টার্মিনাল, যাত্রী ছাউনি, পাবলিক টয়লেটসহ সড়ক ও জনপদের জমি দখল করে অবৈধ ভাবে পৌরসভার নামে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করে শপিং মল, হোটেল রেস্তোরা, দোকান ঘর লিজ দেয়ার নামে ও অধিক মূল্যে ভাড়া দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতি নেওয়ার মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ তুলে মনগড়া প্রচারনায় মেতে পৌরমেয়রের ইমেজ নষ্টের চেষ্টা চালাচ্ছে সংশ্লিষ্ট দুষ্ট চক্র। প্রকৃত পক্ষে এগুলো সবই পৌর মেয়রের বিচক্ষণতা ও সফল প্রচেষ্টার ফসল যার সব কিছুই পৌর কর্তৃপক্ষের উন্নয়ন ও সরকারি রাজস্ব আদায়ের বৃহত্তম মাধ্যম। ভিতরে অনুসন্ধান ছাড়াই মনগড়া তথ্যের মাধ্যমে তাঁকে বিতর্কীত করতে অশুভ প্রচেষ্টা ছাড়া কিছুই না। আসন্নবর্তী পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে তার ইমেজ নষ্ট করতেই এ অশুভ প্রচেষ্টা বলে অভিব্যক্তি প্রকাশ করে। মেয়র লোকমান ডাকুয়া জানান এক সময় বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বিশাল আকৃতির ডোবা পৌরসভার অর্থায়নে ভরাট করে সেখানে জনস্বার্থে অত্যাধুনিক বাজার ও বিভিন্ন স্থাপনা নির্মান করে পৌর সভার অধিনে কাঁচা বাজার ইজারা দেওয়া হয়েছে, এছাড়া দোকানগুলো ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী নির্ধারিত খরচের বিনিময়ে নির্মান পরবর্তী তাদের কাছে মাসিক ভাড়া চুক্তিতে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার সমূদয় টাকা প্রতিমাসে পৌর কতৃপক্ষ রসিদের মাধ্যমে উত্তোলন পরবর্তী রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করেন। এ বিষয় আমার হাতে বা আমার ব্যাক্তিগত একাউন্টে এক সিকি পয়সা ও জমা হয়না। বরং জনস্বার্থে এগুলো করতে আমাকে অনেক পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়েছে। এমন কি মিথ্যা মামলায় হাজিরা দিয়েছি তারপর ও পিছু হটিনি। এছাড়া বিগত ২০২১-২২ অর্থ বছরে শ্রীমান্ত নদীর পানি প্রবাহ বন্ধ করে রাখা অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে পুনরায় পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে একটা প্রকল্পের আওতায় নদী পূনঃ খনন করা হয়। যা পরবর্তীতে তালিকাভুক্ত দখলদার ব্যবসায়ীদের পূর্ণবাসনের লক্ষ্যে নদী তীর বর্তী রাস্তার সাইডে নির্ধারিত খরচে দোকান নির্মান করে ব্যবসায়ীদের পূনবাসন করা হয়েছে। যার সমূদয় হিসাব ও মাসিক ভাড়া পৌর রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ রয়েছে। যা সরকারি রাজস্ব হিসেবে গন্য। এছাড়া সদর রোডের মাঝখানে জেল খালটি বহুদিন যাবত পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিলো যা পৌরবাসীর কোনো কাজে আসতো না বরংশ ঝড় জলোচ্ছ্বাসে পাড় ভেঙে দু সাইডের মানুষের ব্যপক ক্ষতি সাধন ঘটার অভিযোগ পাওয়া যেতো, পরবর্তীতে পৌরসভার উদ্যোগে সেখানে অত্যাধুনিক ড্রেনেজ নির্মাণ করে উপরে ঢালাই করে আগাবাকের লেনের সাথে সংযোগ ব্রীজ ও রাস্তা তৈরি করে জনস্বার্থে জনদূর্ভোগ দুর করা হয়েছে। ওখানে কারো অবৈধ স্থাপনা থেকে থাকলে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ বিবেচনার বিষয়। অথচ না জেনে আমার ইমেজ নষ্ট করতেই দুষ্টচক্রটি আমাকে জড়িয়ে মনগড়া তথ্যে পরিবেশন করে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন ৮৪ সালে সেই স্কুল ছাত্র থেকে ছাত্র লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত আছি। বঙ্গবন্ধুর চেতনায় বিশ্বাসী থেকে কলেজ ছাত্রলীগ, উপজেলা ছাত্র লীগের পরবর্তী যুবলীগ ও আজকের আওয়ামীলীগের উপজেলা সাধারন সম্পাদক হিসেবে এক যুগের বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করছি। এর মধ্যে তৃতীয়বারের মতো পৌর সভার মেয়র হিসেবে দায়িত্বে আছি। পৌরসভার উন্নয়নে আমি আমার সর্বত্র চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি মানুষ হিসেবে কেমন তা পৌরবাসী সহ উপজেলার প্রতিটি মানুষ জানেন। আমার বিরুদ্ধে মনগড়া গল্প সাজিয়ে লাভ নেই। সম্প্রতি সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করায় তার কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পৌর রাজস্ব আদায়ে গড়িমসি করেছে। ওদের উপর চাপসৃষ্টি করলে ওরাই সম্ভবত আমার পিছু নিয়েছে। তিনি এ বিষয় তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
এ বিষয়ে পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন পৌরসভার আওতায় পৌর মেয়র বিধি লঙ্ঘন করে কোথায় ও কিছু করছে এমন কোনো বিষয় আমার কাছে কোনো অভিযোগ নেই যদি সে রকমের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায় তবে খতিয়ে দেখা হবে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ খালেদ বিন অলীদ বলেন, শ্রীমন্ত নদী ও জেলখানার খালটির বিষয় জানা নেই, কোনো বিষয় অভিযোগ পাইনি পেলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, নদী ও জেল খাল এগুলো পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায়, এগুলোর বিষয় আমার কাছে কোনো অভিযোগ নেই।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ হেলাল উদ্দিন © সর্বস্বত্ত সংরক্ষিত
Copyright © 2023 স্বাধীন বাংলা নিউজ | তথ্য মন্ত্রনালয় নিবন্ধন নং-১৭৯