মোঃ ইয়াছিন পলোয়ান।(ফরিদগঞ্জঃ)
চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৫নং রুপসা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পূর্ব গাব্দেরগাঁও গ্রামের হাজী মোঃ সফিউল্লাহ খানের ছেলে মোঃ দেলোয়ার হোসেন খান। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ।
২০০৩ সালে ঢাকার কালীগঞ্জের একটি হাসপাতালে নির্মাণকাজ করার সময় রডের সঙ্গে বিদ্যুতের তার লেগে যায়। এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন মোঃ দেলোয়ার। তার দুই হাত ও এক পা ঝলসে যায়। তখন চিকিৎসা নিয়ে পা বাঁচলেও দুই হাত ১৬ দিনের মধ্যে কেটে ফেলতে হয়।
দেলোয়ার হোসেন খান জানান, দুই হাত হারানোর পর ২-৩ বছর বেকার ছিলেন। পরে নিজের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে একটি এনজিওতে চাকরি নেন। কিন্তু আবার হাতে সমস্যা দেখা দেওয়ায় চাকরি ছেড়ে চিকিৎসা নেন। পরে নিজ বাড়ির পাশে চায়ের দোকান দেন। বর্তমানে তিনি ভালো আছেন।
তিনি বলেন, মোটরসাইকেল চালাতে পারি, চা-কপি তৈরি করতে পারি, লিখতে পারি, মোবাইলে লোড করতে পারি, কৃষি কাজও করতে পারি। ক্যারম খেলতে পারি। ঝাড়ু দিতে পারি।
দুই হাত হারানোর পর দেলোয়ার নিজেকে নতুনভাবে তৈরি করেন। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা হার মেনেছে তার প্রবল ইচ্ছাশক্তির কাছে। নিজেকে তৈরি করেছেন আত্মনির্ভরশীল হিসেবে। দুই হাত না থাকা সত্ত্বেও মোটরসাইকেল চালাতে পারেন তিনি। চা-কপি তৈরি, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি পালন ও কৃষিকাজ করতে পারেন। তিনি লিখতে পারেন। ক্যারম খেলতেও পারেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ হেলাল উদ্দিন © সর্বস্বত্ত সংরক্ষিত
Copyright © 2023 স্বাধীন বাংলা নিউজ | তথ্য মন্ত্রনালয় নিবন্ধন নং-১৭৯