স্টাফ রিপোর্টার : নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার ৪ নং মিঠাপুর ইউনিয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া গরীব দুঃখীর দেওয়া ঈদ উপহার ভিজিএফ চাল গত ১৩ জুন বিতরণে করছিলেন সকাল ১০ টা থেকে টানা ২ টা পর্যন্ত।খাওয়ার বিরতির পর বৈকাল সাড়ে ৩ টায় সাধারণ কার্ড ধারীদের উপস্থিতি কম ছিল। ঘরের দরজা বন্ধ করে ভিতর থেকে মুরগির ফিডের বস্তা ভর্তি চাল কতিপয় ব্যাক্তি পিঠে করে বারংবার বহন করে নিয়ে যাচ্ছিল। এমন সময় দৈনিক ইনকিলাব ও দৈনিক অপরাধ অনুসন্ধান বদলগাছী উপজেলা প্রতিনিধি ও বদলগাছী মডেল প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল কবীর এনাম ভিডিও ধারন করছিলেন।
বিষয়টি চেয়ারম্যান ফিরোজ হোসেনের নজরে পড়লে চেয়ারম্যান প্রথমে বলে কোন সাংবাদিক নিউজ করলে তাকে ধরে এনে টাঙ্গে পিঠের চামড়া তুলে দিবো। আমি বললাম কোন সাংবাদিক মানে তখন সে বলে চাল ৪ বালতি নাও।আমি বললাম ঐ চাল আমি কেন নিবো।
তিনি আবার বলেন তাহলে কি নিউজ করবে, আমি বললাম নিউজ হতে পারে। তখন ক্ষিপ্ত হয়ে জুতা খুলে মারতে চান,এবং বলে সাওয়ার বেটারা সাংবাদিক হয়েছে। ২১২২জন উপকারভোগীর তালিকা থাকলে ও বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী মাসুদ রানা, সোহেল, আলম সহ কয়েক জন জানান সাড়ে ৮ কেজি থেকে ৯ কেজি পর্যন্ত চাল বিতরণ সহ বস্তা বস্তা চাল যাচ্ছিল বিক্রির স্থানে। সেটা সাংবাদিক ভিডিও করবে এটাই স্বাভাবিক।এতে দোষের কিছু হতে পারেনা।
যুববান্ধব নেতা আতিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন জন প্রতিনিধিদের দোষ গুণ তুলে ধরাই সাংবাদিকদের কাজ।সেটি সাংবাদিকদের দোষ না তাদের নৈতিকতা।
ইউনিয়ন পরিষদের সচিব নাহিদ আক্তার, সহকারী সচিব আনোয়ার হোসেন বলেন বিষয় টি দুঃখ জনক, চেয়ারম্যান বিষয় টি ভুল করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদের সামনে সার ব্যবসায়ী ফাইন জানান চালের বস্তুার ভিডিও ধারনের দোষ ধরে চেয়ারম্যান সাংবাদিক কে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ সহ পায়ের জুতা দিয়ে মারতে যান আমার দোকানের সামনে।
এবিষয়ে মিঠাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফিরোজ হোসেনের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে বদলগাছী মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি ফেরদৌস হোসেন সহ একাধিক সাংবাদিক বারংবার ফোন দিলে চেয়ারম্যান বেশিরভাগ ফোন রিসিভ করেন না। দুই একজনের ফোন ধরলেও পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন।
ট্যাগ অফিসার প্রেমকুমারের মোবাইল ফোনে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি উপস্থিত ছিলাম না, ঘটনা ঘটে থাকলে দুঃখ জনক, তবে সচিবের কাছে জেনে বলব।
উক্ত বিষয়ে মিঠাপুর ইউপির চেয়ারম্যান ফিরোজ হোসেনের ০১৭১৩-৭৪৮৭৩৬ মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি বলেন " সাংবাদিকের সাথে তার এমন কোন ঘটনা ঘটেনি, তার বিরুদ্ধে যারা স্বাক্ষী দিয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন কে কে স্বাক্ষী দিয়েছে তাদেরকে আমার সামনে নিয়ে আসেন, আমার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলবে না।"
উল্লেখ্য, সিনিয়র সাংবাদিক এনামুল কবীর এনাম বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি।
উক্ত হীন ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি (বিএমএসএস)-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান খন্দকার আছিফুর রহমান তোতা, মহাসচিব মো: ছগীর আহমেদ সহ সকল কেন্দ্রীয় এবং রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির সভাপতি মাসুদ আলী পুলক ও সাধারন সম্পাদক হুমায়ুন কবীর সহ সকল নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি রাজশাহী বিভাগীয় কমিটি উক্ত ঘটনায় লাঞ্ছিত সাংবাদিকের পাশে থেকে যে কোন কর্মসূচিতে থাকার ঘোষনা দেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ হেলাল উদ্দিন © সর্বস্বত্ত সংরক্ষিত
Copyright © 2023 স্বাধীন বাংলা নিউজ | তথ্য মন্ত্রনালয় নিবন্ধন নং-১৭৯