মোঃ ফরিদুর ইসলাম,
ভোলা জেলা প্রতিনিধি।
ভোলার বোরহান উদ্দিন থানায় রাইটার পদে অস্থায়ী ভাবে কাজে নিয়োজিত সোলায়মানের ক্ষমতার দাপটের কাছে জিম্মি হয়ে আছে তার আপন দুই বড় ভাই ও পরিবারের সদস্যরা। মিথ্যা মামলা- হামলায় অতিষ্ঠ হয়ে তারা বিচার দাবী করে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না। ফলে মামলাবাজ সোলায়মান আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
সোলায়মানের বাড়ি চরফ্যাশন উপজেলার দুলার হাট থানার আবুবকর পুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে। সে মৃত নুর মোহাম্মদ এর ছোট ছেলে। সোলায়মানের সেজ ভাই মাওলানা মিজানুর রহমান অভিযোগ করে জানান, সোলাইমান বর্তমানে বোরহানউদ্দিন থানায় রাইটার অস্থায়ী হিসেব কাজ করে আসছে। ইতিপূর্বে সে ভোলা সদর মডেল থানা ও চরফ্যাশন থানায়ও রাইটার পদে কাজ করে ছিল। সেই সুবাদে থানা প্রশাসনের সাথে তার গভীর সক্ষতা রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে পারিবারিক জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে আমি ও আমার মৃত বড় ভাই আয়ুব আলীর পরিবারের উপর অত্যাচার নির্যাতন এবং বিভিন্ন জায়গার বিভিন্ন ঘটনায় আমাদেরকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে। আমার বড় ভাই আইউব আলী ৪ সন্তান ও স্ত্রী রেখে ২০১৪ ইং সালে মৃত্যুবরণ করেন। ভাইয়ের মৃত্যুর পর থেকেই সোলাইমান বড় ভাবীর প্রতি কুনজর দেয়। তার কুপ্রস্তাবে ভাবী রাজি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তার জমিজমা জোরপূর্বক দখল করে মানুষিক নির্যাতন চালিয়ে তাকে বাড়ী ছেড়ে যেতে বাধ্য করে সোলায়মান। বর্তমানে আমাদের ওই ভাবী তার ৪ সন্তান নিয়ে ভোলা সদর শিবপুর ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামে তার পিত্রালয়ে রয়েছেন।
মাওলানা মিজানুর রহমান আরো জানান, বড় ভাবীকে অত্যাচার নির্যাতন করায় আমি প্রতিবাদ করতে গিয়ে সোলায়মানের রোষানলে পরে আমিও মানবেতর জীবন যাপন করছি । ২০১৮ সালে আমার বিরুদ্ধে ভোলা জজ আদালতে আমার অন্য ভাই জামালের স্ত্রী মোসাঃ সালমা বেগমকে দিয়ে একটি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা করে। যাহা কমপ্লেইন পিটিশন নং—৪৯৪/২০১৮। ২০১৮ সালে ভোলা সদর ইলিশা ইউনিয়নের একটি বিষ্ফোরক মামলায় ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আমাকে আসামী করে। মামলা নং—জিআর ৭১৭/২০১৮ইং। একের পর এক মামলায় জড়িয়েও থেমে থাকেনি মামলাবাজ সোলায়মান। সাম্প্রতিক গত ২৯/০৫/২০২৪ তারিখে সোলাইমানের স্ত্রী নাজমা বেগমকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে দুলার হাট থানায় একটি মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে অভিযোগ দায়ের করে। আমার বিরুদ্ধে একের পর এক বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে।
বর্তমানে একটি জাল স্টাম্প তৈরি করে আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি জবর দখল করে রেখেছে। আমাকে বাড়ী থেকে উচ্ছেদের জন্য আমার সম্পত্তি হইতে জোর পূর্বক ঘর ভাংচুড়, গাছপালা কর্তন এবং পুকুরের মাছ ধরে নিয়ে গেছে । এসবের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে ব্যাপক মারধর করে সোলাইমান। আমি চরফ্যাশন জিন্নাগর ইউনিয়নের মসজিদে মদিনা জামে—মসজিদে ইমাম হিসেবে কর্মরত আছি। আমার স্ত্রী একা বাড়ীতে থাকায় সোলাইমান আমার স্ত্রীর বড় ধরণের ক্ষতি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তার ক্ষমতার কাছে আমরা জিম্মি হয়ে আছি।
ভুক্তভোগী মাওলানা মিজানুর রহমান সোলাইমানের অত্যাচার—নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সঠিক তদন্ত পূর্বক প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কমনা করছেন।
অভিযুক্ত সোলায়মানের সাথে যোগাযোগ করলে সে জানায়, তাদের কাছে আমার জমি পাওনা রয়েছে। অন্য কোন বিরোধ নয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ হেলাল উদ্দিন © সর্বস্বত্ত সংরক্ষিত
Copyright © 2023 স্বাধীন বাংলা নিউজ | তথ্য মন্ত্রনালয় নিবন্ধন নং-১৭৯