মো: মেহেদী হাসান রাজিব, স্টাফ রিপোর্টার রাজশাহী বিভাগ:
যমুনা নদী ভাঙনের কবলে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার শিমুলতাইড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। গত কয়েকদিন ধরে নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে বিলীন হতে চলেছে এই বিদ্যালয়টি। একই সাথে হুমতিকে রয়েছে এই এলাকার পরিবারসহ শিক্ষার্থীরাও। বিদ্যালয়টি বাঁচানোর আশা ছেড়ে দিয়ে নিলামে বিক্রির প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন উপজেলা প্রশাসন।
জানা যায়, সারিয়াকান্দিতে গত কয়েকদিন ধরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও এখন তা কমতে শুরু করেছে। পানি কমলেও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। রবিবার সকালে উপজেলার চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের শিমুলতাইড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে যমুনা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করে। বিদ্যালয়টির একাংশ ইতিমধ্যেই যমুনা নদীর ভাঙন কবলে পড়ে বিলীন হতে চলেছে। এজন্য বিদ্যালয়টি নিলাম দিতে দ্রুত প্রক্রিয়া চালাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন। গত বছর এ বিদ্যালয়ের পাশে ভাঙন দেখা দিলে দ্রুত ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন বগুড়া জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধানে ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও এবং টিও ব্যাগ ফেলা হয়। এতে এই এলাকায় যমুনা নদীর ভাঙন কিছুটা রোধ হয়। কিন্তু রবিবার দুপুরে আবারো একই এলাকায় যমুনা নদীর ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙন সৃষ্টি হওয়ায় শিমুলতাইড় গ্রামের শতাধিক পরিবার ও শিক্ষার্থীসহ আশ্রয়ন প্রকল্প হুমকিতে রয়েছে। এছাড়া ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা নিয়ে চিন্তিত অভিভাবকরাও।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম কবির জানান, ভাঙন কবলে পড়ে বিদ্যালয়টির পরিস্থিতি খুবই খারাপ। তাই এটি নিলামে বিক্রির জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন দেয়া হয়েছে।
বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জানান, বিদ্যালয়টি রক্ষার জন্য প্রাপ্ত বরাদ্দ অনুযায়ী বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও এবং টিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, স্কুলসহ এলাকাবাসীকে বাঁচাতে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুর রহমান জানান, বিদ্যালয়টির পরিস্থিতি ভালো না। একাংশ ইতিমধ্যেই যমুনা নদীর ভাঙন কবলে পড়েছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে বিদ্যালয়টি নিলামে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।