ব্রেকিং নিউজ

বগুড়ার মালগ্রামের আলী হাসান হত্যা মামলার মূল রহস্য উদ্ঘাটন ও ঘটনার সহিত সরাসরি জড়িত প্রধান আসামী গ্রেফতার।

বগুড়া জেলা প্রতিনিধি
মোঃ আজিজুল হক রাজু
বাদী মোঃ আলী জিন্না (৫৪), পিতা-মৃত আবেদ আলী প্রামানিক, মাতা-মোছাঃ রওশন আরা বেগম, সাং-মালগ্রাম শান্তিনগর, থানা ও জেলা-বগুড়া বগুড়া জেলার সদর থানায় হাজির হইয়া এজাহার দায়ের করেন যে, বাদীর ছেলে আলী হাসান (৩২) ও এজাহারে অভিযুক্ত সবুজ সওদাগর এর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক ছিল। তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক হওয়ায় দুইজনে একই সঙ্গে চলাফেরা করত এবং তারা একে অপরের বাড়ীতে অবাধে যাতায়াত করত। একপর্যায়ে ডিসিস্ট আলী হাসান ০১ বছর পূর্বে জেল হাজতে থাকা অবস্থায় অভিযুক্ত সবুজ সওদাগার আলী হাসানের স্ত্রী মোছাঃ মিতু বেগম (২৫) এর সহিত পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে বিবাহ করে। পরবর্তীতে আলী হাসান জেল হইতে জামিনে বাহির হলে অভিযুক্ত মোঃ সবুজ সওদাগর এর সহিত ডিসিস্ট আলী হাসানের উক্ত বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মোঃ সবুজ সওদাগার ও আলী হাসান নিজেরাই তাহাদের মধ্যেকার বিষয়টি আপোষ-মিমাংসা করে পুনরায় একত্রে চলাফেরা শুরু করে। এমতাবস্থায় ১৪/০৫/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ বেলা অনুমান ১১.৩০ ঘটিকার সময় ১নং অভিযুক্ত সবুজ সওদাগর কৌশলে আলী হাসানকে বগুড়া সদর থানাধীন ০১নং ফঁপোড় ইউনিয়নের শহরদিঘী পশ্চিমপাড়া গ্রামস্থ অভিযুক্তদের বসতবাড়ীতে ডেকে নিয়ে যায় এবং সবুজ সওদাগর ও অন্যান্য এজাহার নামীয় অভিযুক্তগণ সহ অজ্ঞাতনামা অভিযুক্তরা ১নং অভিযুক্ত সবুজ সওদাগরের শয়ন ঘরের ভিতর নিয়ে গিয়ে ইং ১৪/০৫/২০২৪ তারিখ বেলা অনুমান ১২.০০ ঘটিকা হইতে দুপুর অনুমান ০২.০০ ঘটিকার মধ্যে যে কোন সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে ডিসিস্ট আলী হাসানের বুকের ডান পার্শ্বে স্টেপ করিয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। পরবর্তীতে সবুজ সওদাগর ও অন্যান্য এজাহার নামীয় অভিযুক্তগণ সহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা ডিসিস্ট আলী হাসানের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় সিএনজি যোগে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বগুড়ায় এনে জরুরী বিভাগে ভর্তি করে কৌশলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ডিসিস্টের পরিবারের লোকজন দ্রুত শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বগুড়ায় এসে দেখেন যে ডিসিস্ট আলী হাসান মৃত অবস্থায় জরুরী বিভাগে পড়ে আছে। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে বগুড়া সদর থানায় মামলা নং-৪৫ তাং-১৫/০৫/২০২৪ ইং ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড রজু হয়।

তাৎক্ষণিকভাবে বগুড়া জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম, পিপিএম (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জনাব মোঃস্নিগ্ধ আখতার পিপিএম (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল জনাব মোঃ শরাফত ইসলাম ও অফিসার ইনচার্জ, সদরথানা, বগুড়া মোঃসাইহান ওলিউল্লাহ পিপিএম এর দিক নির্দেশনায় বগুড়া সদর থানার একটি চৌকস টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তাসহ গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ১৭/০৫/২০২৪ খ্রি. তারিখ উল্লিখিত মামলা প্রধান অভিযুক্ত মোঃ সবুজ সওদাগর (৩৪), পিতা-মৃত সিরাজ সওদাগর, সাং- সাং-শহরদিঘী পশ্চিমপাড়া, ও জেলা-বগুড়াকে বগুড়া সদর থানাধীন বেলাইলের হাজীর মিল এলাকা হতে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নামঃ

১। মোঃ সবুজ সওদাগর (৩৪), পিতা-মৃত সিরাজ সওদাগর, সাং- সাং-শহরদিঘী পশ্চিমপাড়া, ও জেলা-বগুড়া।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী জানায় যে, ডিসিস্ট আলী হাসান (৩২) ও সবুজ সওদাগর এর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক ছিল। তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক হওয়ায় দুইজনে একই সঙ্গে চলাফেরা করত এবং তারা একে অপরের বাড়ীতে অবাধে যাতায়াত করত। একপর্যায়ে ডিসিস্ট আলী হাসান ০১ বছর পূর্বে জেল হাজতে থাকা অবস্থায় সবুজ সওদাগার আলী হাসানের স্ত্রী মোছাঃ মিতু বেগম (২৫) এর সহিত পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীতে আলী হাসান জেল হইতে জামিনে বাহির হলে মোঃ সবুজ সওদাগর এর সহিত ডিসিস্ট আলী হাসানের উক্ত বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি পারিবারিকভাবে আপোষ-মিমাংসা হলে তারা পূনরায় একত্রে চলাফেরা শুরু করে। কিন্তু উক্ত ঘটনাটি নিয়ে পূনরায় সমস্যা তৈরি হইলে আসামী সবুজ ডিসিস্ট আলী হাসানকে কৌশলে ১৪/০৫/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ বেলা অনুমান ১১.৩০ ঘটিকার সময় তাহার শহরদিঘী পশ্চিমপাড়া গ্রামস্থ বসতবাড়ীতে ডেকে নিয়ে যায় এবং ধৃত আসামী সবুজ সওদাগর ও অন্যান্য এজাহার নামীয় অভিযুক্তগণ মিলে সবুজের শয়ন ঘরের ভিতর নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ডিসিস্ট আলী হাসানের বুকের ডান পার্শ্বে স্টেপ করিয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। পরবর্তীতে ডিসিস্ট আলী হাসানের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় সিএনজি যোগে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বগুড়ায় এনে জরুরী বিভাগে ভর্তি করে কৌশলে পালিয়ে যায়।

ধৃত আসামী মোঃ সবুজ সওদাগরের পিসিপিআর যাচাই অন্তে জানা যায় যে, তাহার বিরুদ্ধে ০২ টি হত্যা মামলা ও ০২ অস্ত্র মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন।

প্রকাশ থাকে যে, ধৃত আসমীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হইবে। এছাড়া পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান আছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.