মিষ্টির লোভ দেখিয়ে শিশুকে ধর্ষণ করেছে এক কিশোর

ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী
রাজশাহীর চারঘাটে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক কিশোরের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যাক্তির বিরুদ্ধে চারঘাট মডেল থানায় একটি ধর্ষণের মামলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে অভিযুক্ত কিশোর ওই শিশুকে মিষ্টি লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। অপরাধী যে হোক না কেন তাকে দ্রুত আটক করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে, জানান থানা ওসি মাহবুবুল আলম।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানাগেছে, অভিযুক্ত কিশোর চারঘাট উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা। মোঃ মনির প্রামানিকের ছেলে মোঃ মুন্না (১৭)। ওই কিশোর ও শিশুটি একই এলাকার বাসিন্দা। শিশুটির বাসায় ফ্রিজ না থাকায়। তার মা ওই কিশোরের বাড়িতে কোরবানির মাংস রেখেছিলেন।গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে শিশুটির মা ওই কিশোরের বাড়িতে মাংস আনতে পাঠাই।কিশোরের বাড়িতে কিশোর ছাডা আর কেউ ছিল না।এ সময় ফাঁকা বাড়ি পেয়ে শিশুটিকে মিষ্টি দেওয়ার কথা বলে ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়।এরপর শিশুটিকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত কিশোর।এলাকাবাসী বলেন, অভিযুক্ত কিশোর নানা রকম অপকর্ম করলেও মুখ খুলতে ও প্রতিবাদ করতে ভয় পায় এলাকার মানুষ। ধর্ষণ করেও প্রকাশ্য দিবালোকে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে অভিযুক্ত কিশোর। ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবারকে মামলা না করার ও মীমাংসার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। পরিবারটি মামলা করতে ভয় পাচ্ছিল। শিশুটির বাবার কাছে জানতে চাইলে বলেন, বেশ কয়েকবার থানায় মামলা করতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছলাম। কিন্তু এলাকার কয়েকজন বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য আমাকে চাপ প্রয়োগ করেছিলেন। অভিযুক্তর পরিবার শুক্রবার মাঝ রাতেএসে মামলা করতে নিষেধ করে যাই, কিন্তু আমি তাদেরকে বলি মামলা করব।
অভিযুক্ত মুন্নার বাবা মনির প্রামানিক বলেন, আমার ছেলে মেয়েটির শরীরে স্পর্শ করেছে ধর্ষণ করেনি। ছেলে একটা ভুল করে ফেলেছে, বিষয়টা অর্থেও বিনিময়ে মীমাংসা করতে চাচ্ছি। একথা বলেই শুক্রবার রাতে আমরা চলে এসেছি কোনরকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করি নাই।
চারঘাট মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ মাহবুবুল আলম, রিপোর্টাস ইউনিটিকে জানান, ধর্ষণের বিষয়ে একটি মামলা রুজু হয়েছে। থানা পুলিশ আসামীকে আটককের জন্য কাজ করছে। আইনের আওতায় নিয়ে এসে সকল প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।