সাইন বোর্ডের আড়ালে ডাক্তার সেজে চিকিৎসার নামে প্রতারণার অভিযোগ

গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ (মোঃ রেজাউল করিম)
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় কাটাবাড়ী ইউনিয়নের ফুলোহার গ্রামের নাছিরসবাদ গোবিন্দগঞ্জ ঘোড়াঘাট আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন আবুল কালাম কমিউনিটি হাসপাতােল নেই কোন নিজস্ব এম,বি,বি,এস ডাক্তার, নেই কোন প্রশিক্ষিত প্যাথলজিক্যালম্যান, নার্স, এক্সেম্যান ও স্বাস্থ্য সেবিকা। কিন্তু অদৃশ্য শক্তির বলে সকলকে ম্যানেজ করে উক্ত ক্লিনিকের পরিচালক নামধারী হাবিবুর রহমান ডাক্তার সেজে হাড়ভাঙ্গা রোগীসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে হাবিবুর রহমানকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, সকল ডাক্তারের সাইনবোর্ড খুলে রেখেছি আমি নিজেই রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। নামমাত্র লেখাপড়া জানা হাবিবুর রহমান বলেন, জেলা সিভিল সার্জন অফিস এর আনারুল ইসলাম আমার জন্য সব কিছু করে থাকেন। সিভিল সার্জনসহ প্রশাসনের কেউ আমাকে কিছু করতে পারবে না। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোবিন্দগঞ্জ জনাব আরিফ হোসেনকে বারবার অবগত করা হলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। সিভিল সার্জন ডা:আক্তার হোসেনকে মুঠোফোনে বারবার অবগত করা হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে রহস্যজনক কারণে হাবিবের সঙ্গে আতাত করে পকেট ভারি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। হাড়ভাঙ্গা থেকে শুরু করে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা নিতে এসে প্রতারিত হয়ে ভুক্তভোগী রোগীগণ নানা ধরনের কথা বার্তা বলেন এবং তারা এক পর্যায়ে উপর আলার ওপর বিচার দিয়ে চলে যান। পরিচালক হাবিব ডাক্তার নামধারী তিনি প্রতিটি রোগীর ফি বাবাদ ৩০০-৫০০ টাকা নেন বলে জানা গেছে। তার নিজস্ব ডিসপেনচারী থেকে অধিক মুল্যে ঔষধ দামে বিক্রি করে থাকেন। আবুল কালাম কমিউনিটি হাসপাতালর পরিচালক ডাক্তার নামধারী হাবিবুর রহমানের রুম শীতাতপ নিয়ন্ত্রিতসহ এবং হাসপাতাল এলাকাটি সি, সি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত যা বিধি বহির্ভুত। তিনি ইতিমধ্যেই গোবিন্দগঞ্জের মহিমাগঞ্জ রোড সংলগ্ন বুজরুক বোয়ালিয়া এলাকায় আলিশ্বান বাড়ি তৈরী করেছেন এবং ভিআইপি গাড়ি দ্বারা চলাচল করেন। দুর্ণীতি দমন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা গ্রহণের অন্য দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।