ব্রেকিং নিউজ

দলিল জাল করে ভাইয়ের জমি আত্মসাতের চেষ্টা, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ

আবুল কাশেম জামালপুর প্রতিনিধিঃ-

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ভাবকী গ্রামে পৈত্রিক ওয়ারিশের জমি জালদলিল করে বেদখলের চেষ্টায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
রবিবার (৪ জুন) সকালে নিজবাড়িতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবার এ দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে ভাবকী গ্রামের মৃত তালেব আলী সরকারের ছেলে মো. কিতাব আলী বলেন, আমার পিতা তালেব আলী সরকার মারা যাবার পর আমার মা হনুফা বেগম, আমি কিতাব আলী, আমার ভাই মো. হানিফ উদ্দিন কালো, মো. হাবিবুর রহমান ভুট্টো এবং আমার বোন মোছা. ফুলু বেগম, মোছা. বুলু বেগম ওয়ারিশ থাকেন। আমার পিতা মৃত্যুর পূর্বে তার পৈত্রিক ও ক্রয়সূত্রে প্রাপ্ত সকল স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি কোরানিক হিস্যা মোতাবেক বন্টন করে তার স্থলবর্তী ওয়ারিশগণের মধ্যে দখল হস্তান্তর করেন। আমার পিতার পৈত্রিক ও ক্রয়সূত্রে প্রাপ্ত ভাবকী মৌজার ১৭ নং খতিয়ানের ১৩৫, ১৩৭, ১৪৬ নং দাগে অবস্থিত সকল সম্পত্তি ওয়ারিশগণের কাছে বিক্রি, দান বা অছিয়ত করে যান নাই। অথচ আমার ভাই মো. হাবিবুর রহমান ভুট্টো জালদলিল উপস্থাপন করে আমাদের সকল জমি দখল করার চেষ্টা করেন। জাল দলিল দুইটিতে স্বাক্ষরও ভিন্ন রকম এবং দলিলে গ্রহীতার ছবি থাকলেও দাতার কোনো ছবি নেই। তবুও গ্রামের কিছু অসাধু ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকদের সাথে নিয়ে আমার ভাই মো. হাবিবুর রহমান ভুট্টো আমাদের জমি দখল করার জন্য আমাদের উপর একাধিকবার হামলা করেন। এমতাবস্থায় আমি আদালতের শরণাপন্ন হই এবং আমার ভাই মো. হাবিবুর রহমান ভুট্টেকে বিবাদী করে একটি মামলা দায়ের করি। আদালতের মাননীয় বিচারক ২০১৭ সালের ০৯ ফেব্রুয়ারি মামলাটির রায় দেন। সেই রায়ে নালিশী ভূমিতে আমাকে বেদখল করা হতে বিবাদী পক্ষকে বারিত করা হয়। মামলার রায়ের দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও বিবাদী পক্ষ এখনো আমাকে সেই নালিশী ভূমিতে প্রবেশ করতে দেয়নি এবং আমার জমির গাছপালা কেটে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এতে আমার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমার ভাই মো. হাবিবুর রহমান ভুট্টো ও এলাকার সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অত্যাচার নির্যাতন আমি আর সহ্য করতে পারছি না। এ নিয়ে আমার এবং পরিবারের লোকজনের প্রাণ শঙ্কায় পড়েছে। প্ৰশাসন যদি দ্রুত এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে তারা আমার ব্যাপক ক্ষতি সাধন করবে। তাই আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী কিতাব আলীর স্ত্রী রাখিয়া বেগম, ছেলে রাজু আহমেদ ও আজাদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.