ব্রেকিং নিউজ

লাইলাতুলকদরে, চাইতে থাকো আল্লাহর দরবারে।

প্রতি বছর সারা বিশ্বের মানুষ কিছু বিশেষ দিবস পালন করে থাকে।
ঠিক, আমরাও বিশেষ কিছু দিবস পালন করে থাকি। যেমন,ভাষা দিবস( শোক দিবস)২১ শে ফেব্রুয়ারী।
তারপর,স্বাধীনতা দিবস,২৬ শে মার্চ। তারপর, বিজয় দিবস,১৬ ই ডিসেম্বর মাস। এই মাস গুলোতে আমরা বিশেষ দিবস পালন করে থাকি। এই দিবস গুলোর নির্দিষ্ট একটা কারণ আছে, একটা মাস আছে তারিখ আছে।
ঠিক তদ্রূপ, আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের জন্য একটা বিশেষ রাত রেখেছেন, যে রাতটি হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। যাকে বলে, লাইলাতুলকদর। বরকতময় রাত, তাকদিরের রাত,আল্লাহ তায়ালার কাছে মন খুলে চাওয়ার রাত।

এই বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা সূরা কদরে বলেন,নিশ্চয়ই আমি নাযিল করেছি লাইলাতুলকদর।লাইলাতুলকদর কি?
লাইতুল কদর হচ্ছে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। ( আল-কোরআন)
আমরা যদি একটু খেয়াল করি আল্লাহ তায়ালা কদরের রাত্রিটা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম বলেছেন।এখানে আল্লাহ তায়ালা কোন দিনের কথা বলেন নাই? কত হাজার মাস তাও বলেন নাই।শুধু বলেছেন,হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। যে মাসের কোন শেষ নাই। আমরা যদি আরেকটু চিন্তা করি, এক মাসে কয়দিন? আমরা জানি সাধারণত এক মাসে ৩০ দিন।এক বছরে কয় মাস? আমরা জানি এক বছরে ১২ মাস।প্রতিটি মাসের শেষ আছে,প্রতিটি বছরের শেষ আছে।কিন্তু, লাইলাতুলকদরের এতো ফজিলত যার কোন শেষ নাই। যে রাতটি নাযিল হয়েছে রমজান মাসে,যে রাতে নাযিল হয়েছে মহা গ্রন্থ আল-কোরআন।

লাইলাতুলকদর কবে?
লাইলাতুলকদর কখন বা কবে সেটার বিষয়ে নির্দিষ্ট কোন একটি তারিখ উল্লেখ করা হয় নাই। কিন্তু মাসের কথা বলা হয়েছে । সে মাসটি হচ্ছে রমজান মাস।আর তারিখ বিষয়ে রাসুল ( সাঃ) বলেছেন,তোমরা রমজান মাসের শেষের বেজোড় রাত্রিতে লাইলাতুল কদর তালাশ কর? ( আল-হাদীস) সেই বেজোড় রাত্রি গুলো কি কি? সেগুলো হচ্ছে, ২১তম রাত,২২তম রাত,২৫তম রাত,২৭তম রাত,এবং ২৯তম রাত।এই রাত্রিতে লাইলাতুল কদর তালাশ করতে বলা হয়েছে। তাহলে বুজা গেলো নির্দিষ্ট কোন একটি তারিখ উল্লেখ করা হয় নাই।

এখন আমরা কি করবো? যেহেতু নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ করা হয় নাই, সেহেতু আমাদেরকে প্রতিটি রাত্রিতেই লাইলাতুলকদর তালাশ করতে হবে।প্রতিটি রাত্রিতেই লাইলাতুলকদর মনে করে আল্লাহ তায়ালার কাছে চাইতে হবে।

লাইলাতুলকদরে আমরা কি করবো?
লাইলাতুলকদরে আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের জন্য সকল আসমানের দরজা এবং রহমতের দরজা খুলে দেন।অসংখ্য ফেরেশতা যমিনে আসতে থাকে বান্দারা কি করে তা দেখতে থাকে এবং তার বান্দাদের জন্য দোয়া করতে থাকে।আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদেরকে চাওয়ার জন্য সকল বিষয় উন্মুক্ত করে দেন।আর বলতে থাকে কে আছ? আমার কাছে চাও,আমি তোমাদের ভাগ্য পরিবর্তন করে দিবো, আমার কাছে যা চাইবা আমি আল্লাহ তোমাদেরকে তাই দিবো দুনিয়া অথবা আখিরাতে।
এখন,আমাদের উচিৎ রমজান মাসের ২১,২৩,২৫,২৭,এবং ২৯ রাত্রি গুলোতে আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করা,নামাজ আদায় করা,জিকির করা, কোরআন তেলাওয়াত করা।
আর মন খুলে আল্লাহর কাছে চাইতে থাকা।নিজের মতো করে চাইতে থাকা।যেমন,সন্তান তার পিতা-মাতার কাছে চায়।ছোটরা যেমন বড়দের কাছে চায়।তেমনি করে আমরাও আমার আল্লাহর দরবারে মন খুলে চাইতে থাকবো।
লাইলাতুলকদরে,
চাইতে থাকো আল্লাহ তায়ালার দরবারে।

✍️:- রিয়াদ হোসাইন

Leave A Reply

Your email address will not be published.