ব্রেকিং নিউজ

ঝিনাইদহে আগুনে ৫০ বিঘা পানের বরজ পুড়ে ভস্মীভূত

শামীম খান জনী,ঝিনাইদহ।

ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডুতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটায় ৫০ বিঘারও অধিক পানের বরজ পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পান চাষীদের দাবী, এতে অন্তত ৩ কোটির টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সোমবার সকালে (১০ এপ্রিল) উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের বরিশখালী-শ্রীরামপুর মাঠে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, অগ্নিকাণ্ডের সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়ায় মাঠের সেচ পাম্পগুলো অচল হয়ে পড়ে। এতে পানির অভাবে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।

কৃষক দোয়ামত আলী বলেন, সকালে মাঠে কাজ করার সময় হঠাৎ পানের বরজে আগুন দেখতে পায়। কিছুক্ষণের মধ্যে এই আগুন পার্শ্ববর্তী ক্ষেতগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। আমারও দুই বিঘা পানের বরজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

তিনি অভিযোগ করেন, মাঠে আগুন লাগার পরপরই তা নেভাতে তারা পার্শ্ববর্তী বাড়ির পানির পাম্প ও মাঠের বিভিন্ন সেচ পাম্প থেকে ঘটনাস্হল পর্যন্ত পাইপ টানা হয়। কিন্তু আগুন লাগার খবর শুনে স্হানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঐ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ অচল করে দেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও আধাঘন্টা দেরীতে ঘটনাস্হলে পৌছায়। এই সময়ে দফায় দফায় পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএমকে ফোন দিলেও বিদ্যুৎ সচল করা হয়নি। বিদ্যুত লাইন সচল থাকলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান আরও কম হত।

ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম অনিক অধিকারীর কাছে বিদ্যুৎ বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে আগুন লাগার পর সেটি বিদ্যুতের লাইনের মাধ্যমে যেন ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্যই বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ফারুক আলী নামের ক্ষতিগ্রস্ত আরও এক কৃষক বলেন, এত ভয়াবহ আগুন আমি জীবনে দেখিনি। তারও দুই বিঘা পানের বরজ পুড়ে গেছে। এই আগুনে সবমিলিয়ে কৃষকদের প্রায় ৩ কোটি ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

হরিণাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন জানান, বিড়ি সিগারেট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত করে জানানো হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.