ব্রেকিং নিউজ

পৃথিবীতে আর শবে মেরাজ হবে না

আরবি বর্ষপঞ্জিকা অনুযায়ী আজ রজব মাসের ২৬ তারিখ। অধিকাংশ ঐতিহাসিকদের মতে মতে এ দিবাগত রাতেই পবিত্র শবে মেরাজ সংঘটিত হয়েছিল ।
মহিমান্বিত এ রাতে দুনিয়া ও আখেরাতের সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক আল্লাহ তায়ালার হুকুমে আল্লাহর প্রিয় নবী ও রসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.) আরশে আজিম পর্যন্ত ঊর্ধ্বলোক গমনের সৌভাগ্য লাভ করেছিলেন। এ সময় তিনি মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিনের দিদার লাভ করেন এবং আল্লাহর কাছ থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নিয়ে একই রাতে আবার দুনিয়াতে ফিরে আসেন।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুওত লাভের একাদশ বছরের রজব মাসে (৬২০ খ্রিস্টাব্দে) রাতে হজরত জিবরাইল (আ.) এর সঙ্গে বোরাক নামক বাহনে চড়ে প্রথমে পবিত্র কাবা থেকে পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত সফর করেন। সেখানে অন্যান্য নবী-রসুলের সঙ্গে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করেন। তারপর সেখান থেকে সপ্তম আসমান পেরিয়ে সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত সফরে হজরত জিবরাইল (আ.)-এর নবীজির (সা.) সঙ্গে পরিভ্রমণ করেন। এ সময় নবীজি (সা.) নভোমণ্ডল, বেহেশত-দোজখ ও সৃষ্টির বিভিন্ন রহস্য প্রত্যক্ষ করেন এবং পূর্ববর্তী নবীদের সাক্ষাৎ লাভ করেন। পরে রফরফ নামক বাহনে চড়ে নবীজি (সা.) আল্লাহ রব্বুল আলামিনের আরশে আজিম পর্যন্ত যাওয়ার ও মহান রব্বুল আলামিনের দিদার লাভের সৌভাগ্য লাভ করেন। নবীজি (সা.) আল্লাহর কাছ থেকে উম্মতে মোহাম্মদীর জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসেন। প্রতিদিন নামাজে আত্তাহিয়্যাতু পাঠের মাধ্যমে উম্মতে মোহাম্মদী সেই ঘটনার সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এ কারণেই রাতটি মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। মুসলিম বিশ্ব অলৌকিক ও ঐতিহাসিক এ ঘটনার স্মারক দিবস হিসেবে প্রতিবছর ২৬ রজবের দিবাগত রাতটিকে শবে মেরাজ হিসেবে পালন করে থাকে।
বাংলাদেশেও ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ মহিমান্বিত রাতটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ আদায়, জিকির-আসকার, দোয়া-দরুদ ও ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে পালন করবেন।

ফারসি ‘শব’ শব্দের অর্থ রাত ও আরবি মেরাজ শব্দের অর্থ ঊর্ধ্বারোহণ বা ঊর্ধ্বগমন। যে রাতে সাল্লাল্লাহু স. সৃষ্টিকর্তা আল্লাহতালার নিকট গিয়েছিলেন সে রাতেই শবে মেরাজ সংগঠিত হয়েছিল। এখনো যদি আবার শবে মেরাজ হতে হয় কেউকে না কেউকে আল্লাহর কাছে যেতে হবে? প্রশ্ন হলো আল্লাহর কাছে যাবে কে? আল্লাহর কাছে যাওয়াও সম্ভব না সেজন্য শবে মেরাজও আর কোনোদিন হবে না। হা তবে ওই দিবসটি ঘুরে ঘুরে প্রতিবছর আমাদের মধ্যে আসবে। শরীয়তে ওই দিবসকে কেন্দ্র করে আলাদা কোন এবাদত বন্দেগীর নির্দেশনা নেই। নিজস্ব বানানো এবাদত বন্দিগীগুলো স্পষ্ট বেদাআত হিসেবে পরিগণিত হবে।
ইশতিয়াক মু. আল-আমিন
চীফ নিউজ রিপোর্টার
shadhinbanglanews.com

Leave A Reply

Your email address will not be published.