ব্রেকিং নিউজ

ডা. মুরাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ, প্রজ্ঞাপন জারি

ডা. মুরাদ হাসান- ফাইল ছবি

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য ডা. মুরাদ হাসান যে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন তা গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর ইতোমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

বিতর্কিত মন্তব্য ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর তুমুল সমালোচনার মধ্যে সোমবার সকালে ঢাকা ছেড়ে চট্টগ্রাম গিয়েছিলেন ডা. মুরাদ হাসান। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মঙ্গলবার ই-মেইলে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য পদত্যাগপত্র পাঠান। তবে অনলাইনে পাঠানো পদত্যাগপত্রটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে গৃহীত হয়নি।

এরপর ডা. মুরাদ হাসান চট্রগাম থেকে ঢাকায় এসে পদত্যাগপত্রে নিজ হাতে স্বাক্ষর করে পাঠান। তবে ঢাকায় তিনি কোথায় আছেন এ তথ্য জানা যায়নি।

এদিকে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক পদ থেকে ডা. মুরাদ হাসানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক জরুরি সভা থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ডা. মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী উপজেলা) আসনের সংসদ সদস্য। তার বাবা প্রয়াত মতিউর রহমান তালুকদার জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। এর আগে ডা. মুরাদকে ২০১৯ সালের ১৯ মে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল।

বেশ কিছু দিন ধরে বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কিত বক্তব্য এবং কর্মকাণ্ডের কারণে মুরাদ সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিমন্ত্রীর কিছু অডিও-ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় দেশজুড়ে নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় বইছে।

এতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সরকার। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে না পারলেও সারা দেশে দলের নেতাকর্মীরা তার ওপর বিরক্ত এবং ক্ষুব্ধ। এ ঘটনায় বিএনপিসহ বিভিন্ন নারী সংগঠনও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা ডা. মুরাদের পদত্যাগ দাবি করেন।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবারের মধ্যেই পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে মুরাদকে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.